সড়কে তৎপর বাস মালিক নেতারা, উপেক্ষিত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা
ঢাকা: ঈদের পর সড়কে আবারও তৎপর হতে দেখা গেছে বাস মালিক নেতাদের। বিশেষ করে চুক্তিতে বাস চালানো বন্ধ এবং ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন তারা। আর এ কাজে সহায়তা করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চলন্ত অবস্থায় বাসের দরজা বন্ধ রাখা, গাড়িতে চালক ও হেলপারের পরিচিতি প্রদর্শন, যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ, আন্ডারপাস ও ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার বাড়ানোসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ১৭টি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। আগস্টের মধ্যেই এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে বাস-ট্রাক ওনাসর্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক তালুকদার সোহেল বার্তা২৪.কম'কে বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশেই শুধু দরজা খোলা রেখে বাস চালানো হয়। আর কোথাও এমন দৃশ্য দেখা যায় না। রাজধানীর সব সড়কে এমন চিত্র দেখা যায়। এমনকি সড়কে চলন্ত অবস্থায় যাত্রী উঠানামাও করানো হয়। তাই এসবের মধ্যে নির্দেশনা যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের দেখা মিলছে না।'
জানা গেছে, গণপরিবহনের দরজা বন্ধ রাখার নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিআরটিএ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি)। এছাড়াও বাসের দৃশ্যমান স্থানে চালক ও হেলপারের ছবিসহ নাম, চালকের লাইসেন্স নম্বর ও মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়, কিন্তু তা মানা হচ্ছে না।
বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সামাদানী খন্দকার বার্তা২৪.কম'কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের তৎপরতা দেখা না গেলেও মালিকরা ঈদের আগে যেভাবে রাস্তায় নেমেছিলেন, ঈদের পরও একইভাবে নেমেছেন। শনিবার বিমানবন্দর সড়কের শেওড়ায় ৫টি বাসের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মামলা, গুলিস্তান জিপিও পয়েন্টে ৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা এবং সায়েদাবাদে কুমিল্লা স্ট্যান্ডে ৬টি গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'
এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে মালিক সমিতি গঠিত ভিজিলেন্স টিমের কার্যক্রম চলবে বলেও জানান সামাদানী খন্দকার।
প্রসঙ্গত, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ১৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা ও ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা শহরের সব সড়কের রোড ডিভাইডারের উচ্চতা বাড়ানো বা স্থানের ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ দেখা য়ায়নি। তবে মহাখালী ফ্লাইওভারের পর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত দুটি স্থায়ী মোবাইল কোর্ট বসানোর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে দেখা গেছে।