বৃষ্টির পরও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি
স্বস্তির বৃষ্টির পরও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ২১ শতাংশ।
এর আগে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টি হয়। তাতেও কমেনি তাপমাত্রা। প্রচণ্ড রোদ-গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ বুধবার বেলা তিনটায় রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত একটার দিকে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
তিনি আরও জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।
টানা কয়েকদিনের তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে চুয়াডাঙ্গায় গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে বৃষ্টি জন্য নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এসময় তারা মহান আল্লাহর দরবারে রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করে কেঁদে কেঁদে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর রাতেই শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি। তবে বৃষ্টির পরও কমেনি এ জেলার তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের মুদি ব্যবসায়ী মারুফ হাসান জানান, রাতে বৃষ্টির পর ভেবেছিলাম গরম হয়ত একটু কমবে। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখছি তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।
পুকুর খনন করতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ শ্রমিকের মৃত্যু
বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মো. নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক নয়া মো. মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিড স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।
ট্রাক্টরের নিচে পড়ে প্রাণ গেল চালকের
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাজার ভিটায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ট্রাক্টর ড্রাইভার ট্রাক্টরের নিচে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারেসুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত চালক চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ি ফকিরের কুটি গ্রামের মরহুম ভোলা মাহমুদের ছেলে।
এলাকাবাসীরা জানায়, নজরুল ইসলাম নামে ওই ড্রাইভার দীর্ঘদিন ধরে রাজারভিটার মিঠু মিয়ার ট্রাক্টরে চালক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজার ভিটা জোলার মোড়ের পাশে বাঁধের রাস্তায় মাটি নামিয়ে দিয়ে গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে দ্রুত চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঐ ট্রাক্টরটি বিআইডব্লিউটিএ এর বাঁধ নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিলো। এব্যাপারে দ্বায়িত্বে থাকা ঠিকাদার মোস্তাফিজার রহমান সাজু বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ঐ কাজটি অন্য এক ঠিকাদারকে সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়েছি।
চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারেসুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। যতদূর জেনেছি চালক একা একা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়েছেন। বিষয়টি আরও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা ভোট: প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বসবে ইসি
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সারাদেশের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে দিক নির্দেশনা দেবে ইসি। ওদিন বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে বৈঠকটিতে নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।