জয়পুরহাটে নৌকার পালে উদ্দাম হাওয়া লেগেছে
নাটোরের পর গোধুলিতে জয়পুরহাটে নৌকায় পালে উদ্দাম হাওয়া লেগেছে। সেই হাওয়ায় উদ্বেলিত আওয়ামী লীগ নেতারা। পথসভায় উপস্থিত উৎফুল্ল জনতা আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তোলেন।
শনিবার ( ৮ সেপ্টেম্বর) গোধুলি বেলায় জয়পুরহাটে পৌঁছায়। জয়পুরহাট স্টেশনের দুই প্লাটফর্ম জনতার উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
এই জনতার ঢল দেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নৌকা পালে উদ্দাম হাওয়া লেগেছে। বিলবোর্ডে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে হবে। আমি এসেছি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা নিয়ে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাক বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্য বদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি কি চায়? আন্দোলনে জনগণের আস্থা নেই। বিএনপি আন্দোলন নামে নাশকতা পরিকল্পনা করছে, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
জয়পুরহাটে বিএনপি এমন কোন কাজ দেখাতে পারবে যে, সেটা দেখিয়ে ভোট চাইতে পারে। পারবে না।
পথসভা উপলক্ষে নীলসাগর এক্সপ্রেস রুটের প্রতিটি স্টেশনে সকাল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যানার, প্লাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে জড়ো হোন। পথসভাকে ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।
এ সময় কাদের বলেন, আমাদের কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে, অনেকেই আপনাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। আমি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। যারা খারাপ আচরণ করছে, তাদের বলবো সংশোধন হোন।
নিজদলের নেতাদের গিবত গাইবে না বলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে উঠান বৈঠক হবে। জনপ্রিয়তা ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে।
এর আগে বগুড়া জেলায় সান্তাহার স্টেশনে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো দেশের অবস্থা হবে বিএনপিকে ক্ষমতা দেখতে চায় না জনগণ।
সন্ধায় সাড়ে ৬টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশন পৌছায় সেখানে পথসভা চলছে। এরপর পার্বতীপুর। তারপর নীলফামারী সৈয়দপুর ও নীলফামারীতে সমাবেশ হবে। সমাবেশ শেষে নীলফামারীতে অবস্থান করবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।
রোববার সকালে ১০টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানা গেছে।