সাগরে বেড়েছে জলদস্যুতা, বেকায়দায় জেলে



মুহিববুল্লাহ মুহিব, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাগরে বেড়েছে জলদস্যুতা, বেকায়দায় জেলে। ছবি: বার্তা২৪.কম

সাগরে বেড়েছে জলদস্যুতা, বেকায়দায় জেলে। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুদের বিচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ জলদস্যুতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে ফিশিং ট্রলার মালিক ও শ্রমিকরা। জলদস্যুদের ভয়ে মালিকরা মাছ ধরার জন্য ট্রলার সাগরে পাঠাচ্ছে না। এতে বেকার হয়ে পড়েছে হাজারো জেলে।

কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে প্রায় অর্ধ-শতাধিক ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। এসব ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লাদের বেধড়ক মারধর ও গুলি করে জলদস্যুরা। এছাড়াও ট্রলারে থাকা মালামাল, আহরণকৃত মাছ, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যায়। এতে চরম আতঙ্কে রয়েছে কক্সবাজার উপকূলের হাজারো জেলে।

সমিতি সূত্রে আরও জানা যায়, কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রেই গড়ে উঠেছে জলদস্যুদের একটি সিন্ডিকেট। যারা প্রতিনিয়ত জলদস্যুদের সহযোগিতা করে। জলদস্যুরা যে মালামাল নিয়ে আসে তা বিক্রি করে এ চক্রটি। তাই এই চক্রকে আইনের আওতায় আনলে সাগরে জলদস্যুতা অনেকাংশে কমে যেত।

গত বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের লাশের খাড়ি নামক স্থানে কুতুবদিয়া উপকূলের ৫টি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫টি ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এতে জলদস্যুদের গুলিতে মাঝি শফিউল্লাহ (৪০), মো. আলী (৩০), কামাল (২৮), মো. আনিচ (৩২) নামে ৪ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত সোমবার বঙ্গোপসাগরের ১৮ মইল এলাকায় ১৪ জেলেকে কুপিয়ে আহত করে জলদস্যুরা। আহত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর ১৪ জেলে মহেশখালী উপকূলে ফিরে আসে। এরপর তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও গত এক মাসে এ ধরনের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/09/1536486776392.jpg

জলদস্যুদের কবলে পড়া ট্রলার এফবি সাদিয়ার মালিক কামাল উদ্দিন আহত জেলেদের বরাত দিয়ে বার্তা২৪.কমকে জানান, গত বুধবার সকালে কুতুবদিয়া উপকূলের আকবর বলী ঘাট হতে গভীর সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশে যায়। বৃহস্পতিবার কুতুবদিয়া উপকূল হতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার অদূরে বঙ্গোপসাগরের লাশের খাড়ি নামক স্থানে মাছ ধরারত অবস্থায় অন্য ট্রলার যোগে ১৪/১৫ জন অস্ত্রধারী জলদস্যুর দল তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে জলদস্যুরা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় তার ট্রলারের চার জেলে গুলিবিদ্ধ হয়।

মহেশখালীর জহির মাঝি বলেন,‘মালিকের লোকসান হলেও আমাদের করার কিছু নেই। সমুদ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে আমরা সাগরে যেতে চাই না। যদিও মাছ ধরতে না পেরে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।’

জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন,‘সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি না হাওয়া পর্যন্ত আমাদের কোনো সদস্য সাগরে যাবে না। জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। জলদস্যুরা হত্যা করলেও এর কোনো প্রতিকার নেই।’

কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বার্তা২৪.কমকে জানান, ভয়ে মাঝি-মাল্লারা সাগরে যেতে চায় না। কিন্তু প্রতিটি শ্রমিকই বিপুল টাকা অগ্রিম নিয়েছে। তারা না যাওয়ায় মালিক পক্ষ চরম লোকসানে পড়েছে। তবে জীবনের মূল্য সবার আগে। তাই মাছ ধরার জন্য ট্রলার সাগরে পাঠানো হচ্ছে না।’

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইসচার্জ (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস বার্তা২৪.কমকে জানান, কুতুবদিয়া থানার তালিকাভুক্ত অধিকাংশ জলদস্যুকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। যারা কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুতা করছে তারা বাঁশখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বার্তা২৪.কমকে জানান, কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা আগের চেয়ে অনেক বেশি। কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে। যারা কূলে থেকে জলদস্যুদের সহযোগিতা করছে তাদেরকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। তবে দায়িত্বটা বেশি কোস্টগার্ডের।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্বজোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার মো. সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে জানান, সাগরের যে সকল স্থানে জলদস্যুতা চলে সেখানে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জলদস্যুদের ধরতে জেলেরা কোনো ধরনের সহযোগিতা না করায় তা দমনে একটু সময় লাগছে।

তিনি আরও জানান, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ি, টেকনাফসহ সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন স্টেশনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় জলদস্যুতা দমনের অভিযান থমকে যায়। যার ফলে জলদস্যুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

   

কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসহনীয় তাপদাহে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করছে দেশবাসী। তাই বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন কুষ্টিয়ার মুসল্লিরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। বিশেষ দোয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করেন মুসল্লিরা।

এতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

নামাজ ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন।

মাওলানা মুহাদ্দিস শারাফাত হোসাইন বলেন, মানুষের পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইসতিসকার নামাজ তিন দিন আদায় করা সুন্নত।

প্রসঙ্গত, কালবৈশাখীর মৌসুমেও প্রায় এক মাস বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে উঠছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসল ।

নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। তবে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

;

লেখক পরিচয়ের আড়ালে ভয়ংকর শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি, টার্গেট পথশিশু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লেখক পরিচয়ের আড়ালে ভয়ংকর শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি, টার্গেট পথশিশু

লেখক পরিচয়ের আড়ালে ভয়ংকর শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি, টার্গেট পথশিশু

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে আর্ন্তজাতকি শিশু পর্নোগ্রাফির চক্রের বাংলাদেশের মূলহোতা এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি’র স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের এন্টি ইললিগ্যাল আর্মস রিকোভারী টিম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের নাম: টি আই এম ফখরুজ্জামান ওরুফে টিপু কিবরিয়া, এবং তার সহযোগী মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর। তাদের থেকে রক হাজার শিশুর ২৫ হাজারের বেশি শিশু পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট, পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম জব্দসহ একজন শিশু ভিকটিম উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসি প্রধান জানান, গ্রেফতারকৃত ফকরুজ্জামান এক সময়কার খুব জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক। সে টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত। টিপু কিবরিয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বাংলায় স্মাতক এবং ১৯৮৮ সালে স্মাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯১ সালে সেবা প্রকাশনীর মাসিক “কিশোর পত্রিকা”য় সহকারী সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শিশু সাহিত্য রচনা করতেন। তার অর্ধ শতাধিক এর উপরে বই রয়েছে যার বেশিরভাগই সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।

তিনি আরও জানান, ২০০৫ সাল থেকে শিশু পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণে জড়ায় টিপু কিবরিয়া। দীর্ঘদিন এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার পর ২০১৪ সালে সিআইডির কাছে গ্রেফতার হন এবং তার নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। ২০২১ সালে জেল  থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সাহিত্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে টিপু কিবরিয়া। “একশো এক” নামে একটি কবিতার বই প্রকাশ করে। একই সঙ্গে, সাহিত্য চর্চার আড়ালে পুনরায় শিশু পর্নোগ্রাফির সেই পুরনো পথেই হাঁটতে শুরু করে টিপু কিবরিয়া।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি কন্টেন্ট বানায়। সে নিজে গুলিস্তান, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাংবাদিক বেশে ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের সামান্য কিছু অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজের বাসায় ডেকে এনে তার নিজের ক্যামেরার সাহায্যে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির নগ্ন ছবি, শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গের ছবি তোলে এবং ভিডিও করে। নিজের বাসা ছাড়াও বিভিন্ন পার্কের নির্জন ঝোপ ঝাড়ে এই ছিন্নমূল ছেলে শিশুদের একই প্রক্রিয়ায় অশ্লীলছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এই ছিন্নমূল ছেলে শিশুদের সংগ্রহ করার জন্য তার কয়েকজন সহযোগীও রয়েছে। যাদের মধ্যে একজন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো হতে প্রায় ২০ জন পথশিশুর ছবি ভিকটিম হিসেবে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে এই অশ্লীল ছবিগুলো বিভিন্ন নিষিদ্ধ ও পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটে আপলোড করে। এ সকল ওয়েবসাইট গুলো বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষগুলোর একধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার অধিকাংশ সদস্য মূলত উন্নত বিশ্বের মানসিক বিকারগ্রস্থ নাগরিকরা। এই ওয়েবসাইটগুলো থেকেই টিপু কিবরিয়ার আপলোড করা ছবিগুলো দেখে অনেক বিকৃত রুচির ব্যক্তিরা তার সাথে যোগাযোগ করে। তারা টিপু কিবরিয়ার কাছে ছেলে শিশুদের বিভিন্ন রকমের অশ্লীল ছবির চাহিদা দেয় এবং টিপু কিবরিয়া অর্থের বিনিময়ে ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের ব্যবহার করে তাদের চাহিদা চরিতার্থ করে।

আসাদুজ্জামান বলেন, 'অভিযান পরিচালনার সময় তার বাসায় তার ব্যবহৃত ডেস্কটপটি পরীক্ষা করে দেখা যায় সে MEGA এবং Totanota নামক দুইটি এনক্রিপ্টেড এপস এর মাধ্যমে তার ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে। এ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও জর্মানির নাগরিকসহ প্রায় ২০/২৫ টি Totanota ও MEGA আইডি সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যারা এসব আইডি দিয়ে মূল হোতা টিপু কিবরিয়ার সাথে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন কনটেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করতো।'

সিটিটিসি প্রধান আরও জানান, তার ব্যবহৃত ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫ হাজার পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে তোলা স্থির চিত্র ও প্রায় ১ হাজার ভিডিও কনটেন্ট এর সন্ধান পাওয়া গেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

হাইকমিশনার বলেন, আমাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে এটি আমার প্রথম বৈঠক, বলতে পারেন সৌজন্য সাক্ষাৎ। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই।

তিনি বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। এছাড়াও কোয়ালিশন পর ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্টাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন– রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। দুর্যোগমুক্ত একটি প্রজন্ম তৈরি করতেও আমরা কাজ করব।

;

ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এরআগে বিমানটি আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সফরে এখানে এসেছেন।

সফরকালে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষে আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে সই করবে।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরকারী পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষে পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন এবং তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। একই দিন শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এই সময় দু’নেতা নথি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন।

সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমল-লক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সাথে থাকবেন।

বহুপাক্ষিক ব্যস্ততায় প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

;