গুজব সৃষ্টিকারী ১২ শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য গুজব সৃষ্টিকারী ১২ জন শিবিরের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান উপপুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান।

মাসুদুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তারেক আজিজ, তারেক, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাহিদুল ইসলাম, আল আমীন, জহিরুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, ইফতেখার আলম, মেহেদী হাসান রাজিব, মাহফুজ, সাইফুল্লাহ ও রায়হানুল আবেদিন।

এদিকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ দাবি করেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজকুনীপাড়া এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে বিভিন্ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মনোগ্রাম সম্বলিত ১২ সেট ড্রেস, ১৩ টি ফিতাসহ আইডি কার্ড (উল্লিখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন মিল নেই), হ্যান্ডমাইক, ম্যাগনিফাই গ্লাস, হাতুড়ি, স্ক্রু-ড্রাইভার, ৩টি ল্যাপটপ, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্ম পদ্ধতি ও বিভিন্ন ফর্ম, শিবির কর্তৃক প্রকাশিত কিশোর কন্ঠসহ বিভিন্ন ইসলামী বই, বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয় লেখা ডায়েরি ও ফেসবুকে পোস্টকৃত বিভিন্ন ভিডিওসহ স্থির ছবি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে তাদের ফেসবুক ওয়ালে থেকে বিভিন্ন পোস্ট আমলে নেওয়া হয়েছে। যেমন জিগাতলাই কি হয়েছে স্টুডেন্টের মুখ থেকে শুনুন, ৪ জন মারা গেছে, ৪ জন ধর্ষণ, শিক্ষা মন্ত্রীর গাড়ির লাইসেন্স নাই, গাড়ি ভিতর মুড়ি, পুলিশ ঘুষ খায়, মন্ত্রী এমপি সবাই চোর।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা গত ২৯ তারিখ শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ২ জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি এবং চলমান আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন উসকানিমূলক লেখা/পোস্ট/ফটো/ভিডিও দ্বারা গুজব ছড়ায়।

এ সংক্রান্তে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

   

আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

;

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

;

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

;

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;