স্ত্রী-ভাইয়ের পরকীয়ায় বলি মনু
ঢাকা: স্ত্রী কাজল রেখা (৩০) ও ছোট ভাই আজমল হক মিন্টুর মধ্যে ৯ বছর ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তবে হঠাৎ করে এই দুজনের পরকীয়ায় কাটা হয়ে দাঁড়ান মনিরুজ্জামান মনির ওরফে মনু (৩৫)।
অবশেষে স্ত্রী ও ভাই মিলে পথের কাটা মনুকে সরাতে ৩ জন ভাড়াটিয়া খুনি ভাড়া করেন। পরে সুযোগ বুঝে ভাড়াটিয়া খুনিরা মনুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহত মনুর স্ত্রী কাজল রেখা তার ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু এবং তিন ভাড়াটিয়া খুনি আব্দুল মান্নান, সোহাগ ও ফাহিমকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি ছুরি ও মনুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গুলশান বিভাগের ডিসির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিসি মোস্তাক আহমেদ।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন সাতারকুল এলাকায় রাস্তার পাশে গলা ও পেটে ছুরিকাঘাত করা একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেলে খুনি আজমল নিশ্চিত করেন এটি তার বড় ভাই মনিরুজ্জামান মনির ওরফে মনুর লাশ।
ডিসি মোস্তাক আহমেদ জানান, নিহতের স্ত্রী ও তার ছোট ভাই আজমল হক পিন্টুর মধ্যে ৯ বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। তাদের এই অবৈধ সম্পর্কের মাঝখানে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মনু। তাই তাকে হত্যা করার জন্য ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ঢাকার ৩ জন ভাড়াটিয়া খুনির সঙ্গে চুক্তি করে স্ত্রী ও ভাই। তারা খুনিদের অগ্রিম ৩০ হাজার টাকাও দেন। পরে সুযোগ মতো খুনিরা মনুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
পরে নিজেদের ওপর থেকে সন্দেহের তীর এড়ানোর জন্য বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে মনুর স্ত্রী ও তার ছোট ভাই।
তিনি আরও জানান, মামলাটি তদন্তকালে বাড্ডা থানা পুলিশের সন্দেহের তালিকায় চলে আসেন মনুর স্ত্রী ও তার ছোট ভাই। এক পর্যায়ে নিহতের স্ত্রী কাজল রেখাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজল রেখাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এই খুনের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন।
ইতোমধ্যে কাজল রেখার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদলতে পেশ করা হয়েছে বলেও জানান ডিসি মোস্তাক আহমেদ।