সেতুতে উঠতে বাঁশই ভরসা



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেতুতে উঠতে বাঁশই ভরসা। ছবি: বার্তা২৪.কম

সেতুতে উঠতে বাঁশই ভরসা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর: দশম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্র কবির হোসেন। বইখাতার ব্যাগ কাঁধে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছে স্কুলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু পথে বাঁধা ১৮ ফুট উচ্চতার হিমালয়! নিচ থেকে এতো উপরে উঠতে তাকে সাহায্য করছিল সহপাঠী আবু সুফিয়ান। এর মধ্যে দুইবার পা পিছলে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তার। ভয়ে কাঁপছিল। বেশ কষ্ট করেই সাইকেল নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে উপরে উঠল ওরা। এ সময় কবির হোসেনের সঙ্গে কথা বলে বার্তা২৪কম।

কবির বার্তা২৪.কমকে জানায়, প্রতিদিনই এভাবে ঝুঁকি নিয়ে ওঠা-নামা করতে হয়। কারণ মূল সড়ক দিয়েই স্কুলে যেতে হয় তাকে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রতিদিনই এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

কবিরের সঙ্গে কথা বলার সময় চোখে পড়ে এক বৃদ্ধকে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়ার কারণে ওই উপর থেকে নিচে নামতে কাঁপছিলেন তিনি। অন্যের সহযোগিতায় নিচে নামেন তিনি। এ সময় কথা হয় ওই বৃদ্ধ আবুজার রহমানের সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, দিনে কয়েকবার বাঁশ বেয়ে নতুবা অন্যের হাত ধরে নিচ থেকে উপরে উঠতে হয়। গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর মূল সড়কে উঠতে হলে ১৮ ফুট নিচ থেকে ওঠা ছাড়া উপায় নেই। এভাবেই বিগত ৫ বছর ধরে যাতায়াত করছেন তিনি।

এখানে কথা হয় কৃষক সিরাফুল হকের সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, যাতায়াতের জন্য বাঁশই তাদের ভরসা। কৃষি পণ্য নিয়ে যাওয়া-আসাতে উপরে উঠতে ও নিচে নামতে বাঁশ ব্যবহার করেন। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ওঠা নামা করতে হয়। বাঁশ ধরেই উপরে উঠে মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে মেডিকেলে যেতে হয়। এতো নিচ থেকে মূল সড়কে উঠতে প্রতিদিনই কেউ না কেউ দুর্ঘটনার শিকার হন। এই দুর্ভোগের কথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানেন। তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু কাজ হয় না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/18/1537265506328.jpg

গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছলি গ্রামের নিত্যদিনের দুর্ভোগের চিত্র এটি। নদী ভাঙনের কবলে ভিটে মাটি হারিয়ে এই গ্রামে ঠাঁই নিয়েছেন সিরাফুল হক। নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে তার মতো এখন অনন্ত ২ শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। সকলে মিলে গড়ে তুলেছে একটি সবুজ গ্রাম।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদীর অববাহিকায় ছোট্ট এই গ্রামের অবস্থান। এটি লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছলি গ্রাম হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালে তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে স্থানীয়রা এই গ্রামটি গড়ে তোলে।

পশ্চিম ইছলি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত নয়। একটি মাত্র পিচঢালা রাস্তা রয়েছে এই গ্রামের পাশে। সেই রাস্তাটি গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুতে ওঠার সংযোগ সড়কের প্রায় ১শ গজ আগে শেষ হয়েছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা বা রাস্তা না থাকায় মাটির তৈরি আঁকা-বাঁকা রাস্তা বেয়ে মূল সড়কে উঠতে প্রায় ১৮ ফুট উঁচুতে তাকাতে হয়। নিচ থেকে ১৮ ফুট উঁচুতে উঠলেই শেখ হাসিনা সেতুর সংযোগ সড়ক। এই সড়কে উঠতে প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৮ ফুট নিচ থেকে উপরে উঠতে হয় পশ্চিম ইছলি গ্রামের লোকজনকে।

সেতু নির্ভর এই গ্রামের লোকজনকে নিচ থেকে উপরে উঠতে বেশির ভাগ সময়ই বাঁশ ব্যবহার করতে হয়। বাঁশ ধরে ধরে উপরে উঠতে এবং নিচে নামতে হয় ছোট শিশু-বৃদ্ধদেরও। এতে অনেক সময় ঘটছে উল্টে পড়ে যাওয়ার ঘটনা। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেতুতে উঠতে বাঁশের ওপর ভরসা করেই চলছে পশ্চিম ইছলির মানুষ।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী বার্তা২৪.কমকে বলেন,‘আমি গ্রামের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যার কথা পরিষদে আলোচনা করেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই গ্রামের মানুষের যাতায়াত সমস্যার সমাধান হবে।’

অন্যদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমীম নাহার বলেন,‘পশ্চিম ইছলি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের কষ্টের বিষয়টি আমি জানি। মাত্র ১শ গজ জায়গায় মাটি ঢালু করে দিলেই তারা সহজে যাতায়াত করতে পারবে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’

   

মেঘনায় লঞ্চে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৩ নামে একটি লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় চালক কৌশলে লঞ্চটি একটি চরে ভেড়ালে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় শত শত যাত্রী। তাদের একটি চরে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই আগুনে কোনো প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও ‍চরম দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

লঞ্চের যাত্রীরা জানান, ভোলার ইলিশাঘাট থেকে প্রায় ৯০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুই ঘণ্টা চলার পর হঠাৎ মধ্য মেঘনায় ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীরা আতঙ্কে লঞ্চের ভেতর ছোটাছুটি ও চিৎকার করতে থাকে।

তারা জানান, লঞ্চ স্টাফরা নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে চালক লঞ্চটি কোনো মতে চাঁদপুর এলাকায় একটি চরের কাছে নিয়ে গেলে যাত্রীরা নদীতে লাফিয়ে পড়ে তীরে আশ্রয় নেয়। এসময় শত শত যাত্রীদের পানিতে ভিজে, রোদে পুড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা চরম বিপাকে পড়েন। 

কর্ণফুলী লঞ্চের ভোলা অফিসের কর্মকর্তা লিটন জানান, আগুন নেভানো হয়েছে। যাত্রীদের চাঁদপুরে হরিনা এলাকা থেকে অন্য লঞ্চে করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। 

;

মোটরসাইকেল সড়কের বড় উপদ্রব: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইদানিংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এটা (মোটরসাইকেল) এখন সড়কের বড় উপদ্রব।

তিনি বলেন, সড়কের জন্য এখন কোনো দুর্ঘটনা হচ্ছে এমন দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এবছর ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইদানিংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এটা এখন সড়কের বড় উপদ্রব। এখন সড়কের জন্য কোন এক্সিডেন্ট হচ্ছে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে। এখানে সমন্বয়ের সমস্যা আছে। বিভিন্ন রকমের স্টেক হোল্ডার আছে। এদের সকলের সমন্বয়টা জরুরি।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেশী দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সৌদি আরবে, আমেরিকায় আমাদের চেয়েও বড় বড় দুর্ঘটনা হয়, সেটা নিয়ে সেখানে কোন উচ্চবাচ্চ হয় না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক সঙ্গে অনেক হতাহত হয়। এরকম দুর্ঘটনা আকাঙ্ক্ষিত নয়। আমরাও চাই না কিন্তু আমাদের এখানে কিছু সমস্যা আছে। সমন্বয়ের অভাব আছে সেটা আমরা মনিটর করছি। আজকে রাস্তা ভাল হয়েছে, সেখানে একটা স্পিড আছে, স্পিডটা সবাই যদি মেনে চলতো তাহলে হয়তো এমনটি হতো না।

বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আমাদের এখনো হয়নি। তবে জনগণের কাছে আমরা বিএনপির সন্ত্রাসী রাজনীতির ব্যাপারে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিতে পারি। তাদেরকে জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন, আরও অপ্রাসঙ্গিক করার বিষয়ে প্রয়াস আমরা চালাতে পারি। কারণ বিএনপি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেওয়ার মতো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপিকে কানাডার ফেডারেল আদালত পর্যন্ত সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আসলে বিএনপি কোন রাজনৈতিক দলের কোন বৈশিষ্ট্য এখন প্রকাশ করে না। তাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসীদের মতো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ সাবেক চেয়ারম্যান আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অস্ত্র ও গুলিসহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাদিমপুর স্কুলমাঠ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত সোহেল রানা বিশ্বাস (৪৭) বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে বহলবাড়ীয়া এলাকায় মাদক অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় খাদিমপুর স্কুলমাঠ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ সোহেল রানাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে, সোহেল রানা বর্তমানে যুবলীগের কোনো দায়িত্বে নেই বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক স্বপন। তিনি বলেন, ‘সোহেল রানা বর্তমান কমিটির কেউ নন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।’

;

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা: পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পারিবারিক কলহের জের ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক গৃহবধূ স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গৃহবধূ ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোররাতে কলারোয়ার পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আজহারুল ইসলাম উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আজহারুল ইসলামের দুই স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ঝর্না খাতুন। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে গত কয়েকদিন দিনে ধরে স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনের সঙ্গে আজহারুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলছিল। তার জের ধরে শনিবার রাতে আজহারুল ইসলামকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান ঝর্না খাতুন। পরে ঘুমন্ত স্বামী আজহারুল ইসলামের হাত-পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি। এ সময় ঝর্না খাতুনও ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ভোররাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্টার ডা. মানস কুমার জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই ঝর্না খাতুনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;