নাফ নদীরপাড়ে দেশের প্রথম ‘সোলার পার্ক’



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাফ নদীরপাড়ে দেশের প্রথম ‘সোলার পার্ক’। ছবি: বার্তা২৪.কম

নাফ নদীরপাড়ে দেশের প্রথম ‘সোলার পার্ক’। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফ থেকে ফিরে: বিদ্যুৎখাতে নতুন চমক নিয়ে আসছে নব নির্মিত দেশের একমাত্র ‘সোলার পার্ক’। যা গড়ে তোলা হয়েছে দেশের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফের নাফ নদীর পাড়ে। এখান থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় সঞ্চালন গ্রিডে যোগ হবে সৌরবিদ্যুৎ। ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হলে দেশের বিদ্যুৎখাতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ ও ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান জুলস পাওয়ার লিমিটেড (জেপিএল)।

জুলস পাওয়ার লিমিটেড (জেপিএল) সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি জেপিএলের সঙ্গে বিপিডিবির চুক্তি হয়। এর মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশের প্রথম সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে জেপিএলের নাফ নদীরপাড়ের এ সোলার পার্কটি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ কিনে জাতীয় সঞ্চালন গ্রিডের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করবে। ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

জুলস পাওয়ার লিমিটেড (জেপিএল) সূত্রে আরও জানা যায়, কেন্দ্রটি থেকে বছরে ৪৩ হাজার মেগাওয়াটের আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে টেকনাফের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ সরবরাহ করা যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার নাফ নদীরপাড়ে সারি সারি বসানো হয়েছে ৮৭ হাজার সৌর প্যানেল। এসব প্যানেলের মাঝখানে রয়েছে পাঁচটি সাবস্টেশন। একই সঙ্গে প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে কয়েকটি সড়কও। এসব সৌর প্যানেল থেকে উৎপাদিত ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রথমে মূল স্টেশনে রাখা হয়। পরে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদায় অবস্থিত পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশনে সরবরাহ করা হবে।

এদিকে দেশের প্রথম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হওয়ার খবরে বেশ উচ্ছ্বসিত টেকনাফের মানুষ। এ পার্কের মাধ্যমে লোডশেডিং যন্ত্রণার অবসান হবে বলে মনে করছে টেকনাফের সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা।

টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, দেশের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ একটি বাণিজ্যিক এলাকা। এ উপজেলায় রয়েছে একটি স্থলবন্দরও। যার কারণে টেকনাফে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন। লোডশেডিং রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ‘সোলার পার্কটি।

লেদা এলাকার ফরিদুল আলম বলেন,‘লোডশেডিংয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছিল সাধারণ মানুষ। কোনো ইলেকট্রনিক্স কাজ করতে পারত না। একবার গেলে আর বিদ্যুতের আসার নাম থাকত না। হয়তো সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে আমাদের দুর্ভোগের সমাধান হবে।’

হ্নীলার বাসিন্দা আনোয়ার ইসলাম নয়ন বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকার যন্ত্রণা আমাদের নিত্যদিনের। এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে আমাদের লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে। পাশাপাশি টেকনাফের মানুষের যে বিদ্যুৎ সংকট সেটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’

উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি বার্তা২৪.কমকে মুঠোফোনে বলেন, ‘টেকনাফের মানুষের বিদ্যুৎ সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ প্রকল্প পুরোপুরি চালু হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে টেকনাফের মানুষ। জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তার হাত ধরেই উদ্ধোধন করা হবে।’

টেকনাফ সোলারটেক এনার্জির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুহের লতিফ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন,‘এ সোলারটেক থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। দেশের টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানির আরও প্রকল্পে ভবিষ্যতে সংযুক্ত থাকতে পারলে ধন্য হব। মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। আশা করছি এরই একটি অংশ টেকনাফ সোলারপার্কে থেকে যাবে।’

জুলস পাওয়ার লিমিটেডের (জেপিএল) পরিচালক রায়ান মঈন বার্তা২৪.কমকে জানান, পরীক্ষামূলক অপারেশন শেষ হতে আরও দু’একদিন লাগবে। এরপর বাণিজ্যিকভাবে চালুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ২০ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পটি সোলার পাওয়ার হিসেবে একটি বড় প্রকল্প।

তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব, তা মোকাবেলায় ক্লিন এনার্জির মাধ্যমে দেশের পাশে দাঁড়াতে পারা খুবই আনন্দের ও গর্বের। সোলার পার্কের প্রথম প্রকল্প হিসেবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়নে আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়েছে। তবে সরকারের আন্তরিকতায় প্রকল্পটি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা গেছে।’

   

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টা না পেরোতে আবারো ১১ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। এ নিয়ে বর্তমানে ২৮৫ জন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে টেকনাফের জীম্বংখালী সীমান্ত দিয়ে ৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি ৮ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেন। 

এর আগে গতকাল রাতে টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে কোস্ট গার্ডের কাছে ১৩ জন বিজিপি সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে কোস্টগার্ড বিজিপি সদস্যদেরকে বিজিবি'র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে (১১ বিজিবি) হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গতকাল ১৩ জন এবং আজকে ১১ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা সবাই বিজিবি হেফাজতে আছে।   

;

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৮২৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাস মনে হয়: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা কর্মীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সার্কাস মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসন খানি' নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বানর যেমন নাচে সার্কাসে বিএনপি নেতা কর্মীর কার্যক্রম সে রকম ভাবেই ফুটে উঠে। কোনো কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ধরনা দেয়। বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা সেখানেই। চেয়ে চেয়ে তারা মিটিং নেন, বিদেশিদের সাথে আলোচনা করেন। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোন বিদেশি তাদের ক্ষমতার আসনে বসাতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক এ দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হয়েছে। ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার খল নায়ককে (জিয়াউর রহমানকে) নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ অপচেষ্টার ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সে বিতর্কের কবর রচনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। খালেদা জিয়া পহেলা বৈশাখ পালনে বাধা দিয়েছিলেন। তবে শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ছুটি ঘোষণা দিয়েছেন। ভাতা চালু করেছেন। সংস্কৃতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা তা সব স্থানেই প্রশংসিত।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আছে উল্লেখ করে বলেন, নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অর্জন বিশ্বে বিরল।

;

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;