ঘটি গরমের আরেক নাম ‘মিসকল’



এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া: নাম তার মন্টু মিয়া। বয়স পঞ্চাশের উপরে। সেই মন্টু মিয়া এখন ঘটি গরমওয়ালী বা ‘মিসকল’ নামেই পরিচিত।

মন্টু মিয়ার বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ গ্রামে। আড়াই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই ঘটিগরম বিক্রি করেন।‘মিসকল’ বলে ডাকতেই কাঁধে ঝোলানো ঝুড়ি নিয়ে ছুটে চলে আসেন মন্টু মিয়া।

প্রথমে একটু করে হাতের উপরে দেওয়া মানেই ‘মিসকল’। আর সেটুকু মুখে দিয়ে যদি ভালো লাগে তখন ৫-১০ কিংবা ২০ টাকার পরিমাণ দিতে বললেই নাকি ‘কল’ চলে আসে। অর্থাৎ ক্রেতার কাছে তখন কাগজের ঠোঙায় ভর্তি করে ঘটি গরম দেন তিনি।

বিকেল থেকে সন্ধ্যা আবার কখনো রাত পর্যন্ত তার দেখা মেলে কুষ্টিয়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীর শেখ রাসেল সেতুর উপরে।

ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মাঝে মাঝেই প্রচলিত কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে অনবরত কথা বলতে থাকেন। এ জন্য তিনি আলাদাভাবে পোশাক পরা কিংবা সাজসজ্জা করেন না। একেবারেই সাদামাটা মানুষের মতো লুঙ্গি আর হাফ শার্ট পরেই ঘটিগরম বিক্রি করেন তিনি।

এদিকে বাপ-দাদার সময় থেকেই বাড়িতে লুঙ্গি, গামছা তৈরির কাজ করেন মন্টু মিয়া। পাশাপাশি একটু বাড়তি আয়ের জন্য এ ব্যবসা শুরু করেন তিনি।

তিনি জানান, গত ৩০ বছর ধরে পোড়াদহ ও কুষ্টিয়া শহর ঘুরে ঘুরে ঘটি গরম ভাজা বিক্রি করছেন তিনি। বাড়িতে লুঙ্গি, গামছার কাজ শেষে বিকেলে পোড়াদহ থেকে ট্রেনে কুষ্টিয়ায় আসেন। ঘটিগরম বিক্রি শেষে আবার রাত ৯-১০টার মধ্যে বাড়িতে ফিরে যান।

ঘটি গরম বা মিসকল ভাজার উপকরণ হচ্ছে- চানাচুর, চিড়া ভাজা, পেয়াজ আর রসুন ভাজা। কাগজের ঠোঙায় ৫-১০ আবার ২০ টাকাও বিক্রি করা হয় এই ঘটি গরম।

মন্টু মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন,‘এক সময় সকাল থেকে বিকেল অবধি শহরের বিভিন্ন সড়ক ও মার্কেটে এই ঘটি গরম বিক্রি করতাম। কিন্তু বছর খানেক হল আর সকালে বের হই না। কারণ বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এই ব্রিজে অনেক লোকজনের সমাগম থাকে। তাই অল্প সময়েই আমার ঘটি গরম শেষ হয়ে যায়। অবশ্য এর জন্য আমাকে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ব্রিজের প্রায় এক কিলোমিটার ৫-৭ বার পায়ে হেঁটে হেঁটে বেড়াতে হয়।’

তিনি বলেন,‘বিকেলে এসে রাত পর্যন্ত ঘটি গরম বিক্রি করে প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা লাভ থাকে। সারা বছরই বাড়ির কাজের পাশাপাশি এই ঘটি গরম বিক্রি করি। এ কাজের জন্য আমার স্ত্রী অনেক সহযোগিতা করে। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ভালো আছি।’

স্থানীয় কনক রেজা ও সোহানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, দিন শেষে প্রায়ই এই ব্রিজের উপর আসা হয়। বেশ ভালো লাগে। শহরে বিনোদন কেন্দ্র তেমন না থাকায় এই ব্রিজের উপরে অনেক মানুষ আসে। এখানে আসলেই মন্টু মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়।‘মিসকল’ বলতেই ছুটে এসে হাতের মুঠোয় ঘটি গরম দেয়। শুধু আমাকেই নয়, ব্রিজে দাঁড়ানো অন্যরা মিসকল বলে ডাকলেই তাদের হাতের মুঠোও একটু করে ঘটি গরম দেন তিনি। এরপর তারা সেই ঘটি গরম কিনে খায়।’

   

নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাঁধা দিতে না পারে এবং কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এই ম্যাসেজ গুলো আমরা দিয়েছি।

তিনি বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কিন্তু আন-অফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে। এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয় এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি বলেন, নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাঁধা দিতে না পারে এবং কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এই ম্যাসেজ গুলো আমরা দিয়েছি। অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কিন্তু আন-অফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে।

নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার সহযোগিতায় একটি উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে আরও উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেহেনা আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ সরকারি আরও অনেক দপ্তরের কর্মকর্তা।

;

রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এই মৌসুমের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রখর রোদে সুস্থ থাকতে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে রাজশাহীতে চলমান তীব্র তাপদাহ জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। শহরের মানুষজন মধ্যাহ্নভোজের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘরের ভেতর অবস্থান করছেন, রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে সচেতন করে তাপদাহ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। শিশু ও বয়স্কদের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সুস্থ থাকতে প্রচুর পানি পান করুন, হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা এবং সরাসরি সূর্যের আলো থেকে বাঁচার জন্য ছাতা বা টুপি ব্যবহার করা উচিত।

অস্বাভাবিক এই তাপমাত্রার পিছনে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন কারণ দেখছেন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এল নিনো ঘটনা এবং স্থানীয় পর্যায়ে বৃক্ষনিধন ও শহরায়ন প্রক্রিয়া এর জন্য দায়ী হতে পারে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক এএসএম গাওসুজ্জামান বলেন, শনিবার রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল দীর্ঘ ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

;

বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইন্টিগ্রেটেড সাউথওয়েস্ট প্রজেক্ট ফর ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এডিবি এ ঋণ দেবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। 

শনিবার ( ২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

;

হিট স্ট্রোকে ২ জনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। তীব্র এই দাবদাহে চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিট স্ট্রোকে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ।পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গায় আজ সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক কৃষক হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

জাকির হোসেনের বাবা আমির হোসেন ও দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জাকিরের বাবা আমির হোসেন বলেন, তীব্র গরমে মাঠের ধান মরার মতো অবস্থা। তাই জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে মাঠে যায় জাকির হোসেন। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে স্ট্রোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই সে মারা যায়।

এদিকে, দুপুরে পাবনায় তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে সুকুমার দাস (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।

জানা গেছে, পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন সুকুমার দাস। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, কয়েক দিন ধরেই পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজকে রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

;