কমছে না অবৈধ অটোরিকশার দাপট



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমছে না অবৈধ অটোরিকশার দাপট। ছবি: বার্তা২৪.কম

কমছে না অবৈধ অটোরিকশার দাপট। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর: গণপরিবহন সেবা না থাকায় রংপুরে দিন দিন বেড়ে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সংখ্যা। বিভাগীয় এই নগরীর সড়ক জুড়ে এখন অটোরিকশার লাগামহীন দাপট।

সিটি করপোরেশনের দেয়া ৪ হাজার ৮০০ বৈধ লাইসেন্সের বিপরীতে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি অটোরিকশা চলাচল করছে। প্রতিদিনই এসব অটোরিকশার গ্যাড়াকলে তীব্র যানজটে পড়তে হয়। এতে একদিকে বাড়ছে ভোগান্তি, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত গণপরিবহন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী।

সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও অবৈধ অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বরং অটোরিকশার বেপরোয়া চলাচল আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে বেড়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। সঙ্গে রয়েছে নিত্যদিনের যানজট নামক যন্ত্রণা। এমন পরিস্থিতিতে নগরীতে দ্রুত গণপরিবহন সেবা চালু করার পাশাপাশি তিন চাকার অবৈধ অটোরিকশার চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনার পরামর্শ সচেতন মহলের।

রংপুর মহানগরীতে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। এই নগরীতে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ প্রতিদিন কোনো না কোনো কাজে শহরমুখী হচ্ছে। এতে যানবাহন ব্যবহারে তিন চাকার অটোরিকশার ওপর নির্ভর করতে হয় বেশির ভাগ মানুষকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর মহানগরীর মডার্ন মোড়, পার্কের মোড়, কলেজ রোড লালবাগ, শাপলা চত্বর, গ্রান্ড হোটেল মোড়, জাহাজ কোম্পানি মোড়, সুপার মার্কেট ট্রাফিক মোড়, সিটি বাজার মোড়, কাচারী বাজার জিরো পয়েন্ট, মেডিকেল মোড়, সাতমাথা মোড়, মাহিগঞ্জ, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল রোডে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সময় ভয়াবহ যানজটে আটকা পড়তে হয় নগরবাসীকে। এতে করে অনেক সময় চরম ভোগান্তিতে হাঁপিয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ।

এদিকে অবৈধ অটোরিকশার ছড়াছড়ি, যত্রতত্র অটো স্ট্যান্ড ও মোটরসাইকেলসহ কার-মাইক্রো, পিকআপ ভ্যানের পার্কিং এবং ফুটপাত দখল করে ব্যবসার পসরা সাজিয়ে চলছে দিব্যি বেচাকেনা। এতে নগরীর প্রধান সড়কগুলোর দু’ধারের ৫৮ ফুট ফোরলেন সড়কের প্রায় পুরোটাই অটোরিকশা আর হকারদের দখলে গেছে। এসব দখল মুক্ত করতে এবং অবৈধ অটোরিকশার লাগাম টেনে ধরতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে দুষছে নগরবাসী।

এ নিয়ে কথা হয় নগরীর ধাপ চেকপোস্ট এলাকার মাসুম ইবনে মিল্লাতের সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, রংপুরে এখন পাল্লা দিয়ে অটোরিকশা চলছে। শহরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকেও এখানে অটোরিকশা আসছে। এতে প্রায় দিনই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বাসা থেকে বের হয়ে ভালোভাবে যাতায়াত করা দুষ্কর। সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ চাইলে এসব দুর্ভোগ শেষ হবে বলে মনে করেন তিনি।

পায়রা চত্বর এলাকার হাসনাইন, তারিকুল, মানিক মিয়া, আব্দুল মজিদ ছট্টু অভিযোগ করে জানান, নগরীর অধিকাংশ অটোরিকশার চালক অদক্ষ ও অযোগ্য। এদের বেশির ভাগই অপ্রাপ্ত বয়সের চালক। মাঝে মধ্যে বেপরোয়া অটোরিকশার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। যা সিটি করপোরেশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছে।

অটোরিকশার দৌরত্ম বন্ধে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতার জন্য মেয়রকেও দায়ী করে যানজট নিরসনে নগরীতে একই রঙের অটোরিকশার চলাচলের ব্যবস্থা করা, নগরীর বাইরের অটোরিকশার প্রবেশ বন্ধ এবং বিভিন্ন পয়েন্টে নির্দিষ্ট অটোস্ট্যান্ডে গাড়ি পার্কিং করে রাখার ব্যবস্থা করার জন্য পরামর্শ দেন তারা।

অন্যদিকে রংপুর জেলা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা মালিক শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার কবির সুমন বলেন,‘নগরীর অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম কমাতে আমরা বারবার সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে না নেয়ায় লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশার নগরীতে পরিণত হয়েছে রংপুর। ৪ হাজার ৮০০ লাইসেন্সের বিপরীতে নগরীতে প্রায় ত্রিশ হাজারেরও বেশি অটো চলাচল করছে।’ অবৈধ অটোরিকশার চলাচল বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই শ্রমিক নেতা।

রংপুর সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা হাসান গোর্কি জানান, রংপুরে অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আর কোনো লাইসেন্স ইস্যু হয়নি। বিগত সময়ের দেয়া ৪ হাজার ৮০০ লাইসেন্সই বহাল রয়েছে।

এ ব্যাপারে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন,‘নগরীতে অবৈধ অটোরিকশার চলাচল বন্ধে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই অবস্থার পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে গণপরিবহন সেবা চালুর জন্য মটর মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি।’

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারী জানান, দ্রুত মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি গঠন করে গণপরিবহন চালু করা হবে।

অন্যদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন,‘রংপুর মহানগরীর ফুটপাত দখল মুক্তসহ যানজট নিরসনে আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে মাইকিং, পোস্টারিং ও লিফলেটের মাধ্যমে নগরীতে অবৈধ যানবাহনের প্রবেশ নিষেধ ও দখলে রাখা ফুটপাত পথচারীদের ব্যবহারে ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে।’

   

গাজীপুরের কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে পাওয়ার ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ১০ মেগাওয়াটের ট্রান্সফরমারে যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটে এসে পাশের ফ্যাশন পয়েন্ট নামে পোশাক কারখানার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততোক্ষণে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

কোনাবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত তাপে ১০ মেগাওয়াট পাওয়ার ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। এখান থেকে শুধু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।

কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আশরাফ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

;

টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফের বাহারছড়ায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ কচ্ছপিয়া ঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালীন কচ্ছপিয়া ঘাট সংলগ্ন ঝাউবনে কতিপয় ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড এর আভিযানিক দল কর্তৃক তাদেরকে টর্চ লাইট ও বাঁশির মাধ্যমে থামার সংকেত প্রদান করা হয়। তারা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঝাউবনের অভ্যন্তরে ১টি বস্তা ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত বস্তাটি তল্লাশী করে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা ও ১টি দেশীয় অস্ত্র (রাম দা) জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

;

জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথার ওপর বৈশাখের কাঠফাটা রোদ। সেটি উপেক্ষা করে ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ের চারপাশ ঘিরে অসংখ্য দর্শকের হৈ-হুল্লোড়। রেফারির বাঁশি বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো শক্তির লড়াই। দাঁতে দাঁত চেপে, মাথায় মাথা লাগিয়ে শুরু হলো বাঘা শরীফ ও রাশেদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।

ঘামে ভিজে, রোদে পুড়ে অস্থির। তবু যেন ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। কিন্তু থামতে যে হবেই! ৩১ মিনিটেও কেউ কারও পিঠ রিংয়ের বালুতে ছোঁয়াতে পারেনি। তবে শেষমেশ আর না পেরে হার মেনে নেন রাশেদ বলী। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক এই বলীখেলা পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।

১১ রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে রেফারি বাঘা শরীফের হাত উঁচিয়ে বললেন, ‘ওই এবারের আবদুল জব্বার বলীখেলার চ্যাম্পিয়ন’। মন ভাঙলেও মেনে নেন কুমিল্লারই আরেক বলী রাশেদ।

একটা সময় জব্বারের বলীখেলা মানেই ছিল কক্সবাজারের দিদার বলীর হাতে ট্রফি। রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন দিদার ২০১৭ সালে অবসরে যাওয়ার পর থেকে আসল দ্বৈরথটা হচ্ছে জীবন ও শাহজালালের মধ্যে। ২০১৯ সালের বলীখেলায় ফাইনালে জীবনকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন শাহজালাল। পরেরবার শিরোটা পুনরুদ্ধার করেন জীবন। এরপর গতবার শোধ নেন জীবন। তবে এবার দুজনেই নাম প্রত্যাহার করেন।

যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। কিন্তু করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। এরপর গত বছরও এই মেলা হয়নি একই কারণে। এবারও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় তিন বছর পর বলীখেলা দেখল নগরবাসী।

এবার আবদুল জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিতে ৮৪ জন বলী নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্যে ২৫ বছরের তরুণ যেমন ছিল, তেমনি ছিলেন ৭০ বছরের বলীও। প্রথম রাউন্ডে শখের বশে খেলতে আসা বলীরা অংশ নেন। এরপর হয় চ্যালেঞ্জ রাউন্ড। এই রাউন্ড থেকেই জয়ী হয়ে বাঘা শরীফ, রাশেদ, রাসের ও সৃজন চাকমা যান সেমিফাইনালে।

সেমিফাইনাল শেষে ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ। ফাইনালে দুই দুরন্ত বলীর লড়াইয়ে এক প্রস্থ নাটকও হলো। ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ে শক্তির লড়াইয়ে কেউ কাউকে ফেলতে পারছিলেন না। দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাক্কাধাক্কিও হলো।

পিঠ নিচে ফেলতে না পারলেও অবশ্য বাঘা শরীফ বারবারই পরাস্থ করেন রাশেদতে। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় রাশেদ বলে উঠতে না পেরে সরে দাঁড়ান।

কুমিল্লার হোমনা বাসিন্দা বাঘা শরীফ মাংস বিক্রেতা। কাজের ফাঁকে যে টুকু অবসর মিলে তার পুরোটা দেন বলীখেলায়। কুমিল্লার অন্যতম সেরা বলী হিসেবে পরিচিতি আছে তার। সেজন্য তার নাম হয়ে দাঁড়ায় বাঘা শরীফ।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাঘা শরীফ বলেন, প্রথমবারের মতো অংশ নিলাম। আর প্রথমবার অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হলাম। যারা সুযোগ করে দিয়েছেন। সামনের আসরগুলোতে আরও শিরোপা চাই।

;

দুই দপ্তরের অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুই দপ্তরের অডিট আপত্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই দুই দপ্তরের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এমপি। কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান, মো. মুজিবুল হক, মো. জাহিদ মালেক, ফজিলাতুন নেসা, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নূর মোহাম্মদ, আখতারউজ্জামান, এস. এ. কে একরামুজ্জামান, মো. রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট নম্বর ৩৫/২০২১ এ অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নং- ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮ এবং ০৯ এর বিষয়ে আলোচনা ও প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায়পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টভুক্ত অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলোর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষ্পত্তির জন্য প্রমাণকসহ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরণের পরে সিএজি কর্তৃক নিষ্পত্তির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সিএজি কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, খাদ্য অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিজিডিএফ কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;