আধা রম্য: আমরা কারা এই আমজনতা?



মাজেদুল নয়ন; স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
আমরা কারা এই আমজনতা, ছবি: সংগৃহীত

আমরা কারা এই আমজনতা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি ঢাকা থেকে ফেনী যাচ্ছিলাম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার পরপরই তীব্র যানজট। বাসের শেষ সিটে বসে গরমে ঘামছি। যেমন তেমন হোক বাসে যে জায়গা পেয়েছি- এইতো বেশি; যেখানে সায়েদাবাদে বাসই পাচ্ছিলাম না। কুমিল্লার গৌরিপুর পার হওয়ার পর গাড়ির জট কিছুটা কমে আসে। এবার বাসচালকের বেপরোয়া গতি। সাপের মতো এঁকেবেঁকে গাড়ি চলছে। এই বুঝি পাশের গাড়িতে লাগে লাগে তখনই আবার হেঁচকা টানে বাসের মুখ ঘুরিয়ে টান দেয় চালক। রীতিমতো ভয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। আমজনতা হিসেবে আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। সাবধানে চালাতে বলি। হায়! বাসের চুপ করে থাকা যাত্রীরা ছাড়া অন্যসব আমজনতা যাত্রী আমাকে শান্ত হয়ে বসতে বলেন।

আমার পাশের যাত্রীই আমাকে বললেন, এতোক্ষণ যানজটে থাকার পর এখন জোরে না টানলে সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরতে পারবো না। জবাবে বললাম, বাড়ি দরকার হলে ২ ঘন্টা পর পৌঁছান, এর চেয়ে নিরাপদে পৌঁছানোটাই জরুরি। আমার কথা আমলেই নিলেন না। আরেকজন বললেন, কোনো চালকই ইচ্ছে করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। জবাবে বললাম, ইচ্ছে করে তারা দুর্ঘটনা ঘটান না, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তারা অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে গাড়ি সামলাতে পারেন না। আর দুর্ঘটনার গাড়িগুলোতো কোনো না কোনো চালকই চালান!

যাত্রীকূলের কেউ আমাকে পাত্তা দেন না। বরং গাড়ি চালানোর সময় চালককে বিরক্ত না করতে আমাকে অনুরোধ করেন। অবাক হই! আমি এবং এই যাত্রীরাইতো আমজনতা! যারা কিনা কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বৈঠকে, চায়ের আড্ডায় বা রাজপথে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলাম। এই কি তবে আমজনতার হাল!

নাহ! এরা আমজনতা নয়, এরা গুটিকয়েক। এই সান্ত্বনা নিয়ে নিজেকে বোঝাই। মহাখালী থেকে গুলশানের পথে বাইক চালিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বলা নেই- কওয়া নেই, পথের মাঝে বাস থেমে যায়। যাত্রী ওঠেন-নামেন। একদিন বাসের দরজার সামনে বাইক থামিয়ে নেমে যাওয়া একযাত্রীর কাছে জানতে চাইলাম, এটা কি আপনার নামার জায়গা? আমার কাছে ওই ভদ্রলোক উল্টো জানতে চাইলেন, আপনে জিজ্ঞাসা করার কে? এইতো আমজনতা! আমিও আমজনতা, যে কিনা মাঝে-মাঝে যানজট এড়াতে ফুটপাতের ওপর মোটর সাইকেল তুলে দেই আর বাসযাত্রীসহ পথের সকল পথচারীদের গুষ্ঠি উদ্ধার করি! মনে মনে আফসোস করে বলি, এরা কেউই যে কেন নিয়ম মানে না! দূরে পুলিশ দেখে ফুটপাত থেকে রাস্তায় নেমে আসি- আর দেশের সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করি, পারলে জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা করি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/26/1537931644222.jpg

আমাদের এই আমজনতার সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- আমরা অতি সাধারণ মানুষ! আমরা দেশের চিকিৎসা সেবার বদনাম করি, ডাক্তারের হাতে ডাকাতের মতো দেশি ধারালো অস্ত্র দেখি, প্রশাসনকে গালি দেই, পুলিশ দেখলেই মনে করি ঘুষ খেতে জিহবা বের করে রেখেছে, বাস আর ট্রাক চালকদের দেখলেই মনে করি নেশাগ্রস্ত, আমরা উকিলদের দেখলেই ভাবি- এই লোক কোনোদিন সত্য বলেনি, সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হলেই তার গায়ের সব পোশাক আমরা হলুদ দেখি, আমরা রিকশাওয়ালাকে দেখলে ছোট লোক বলি, বাজারে গেলে বিক্রেতাদের দিকে তাকালে মনে করি কিছু অর্থ পিপাসু বসে আছে লাউ, মাছ বা কাঁচা মরিচ নিয়ে।

আমরা অতি সাধারণ এই আমজনতা এসব ব্যবস্থার রাতারাতি অবসান চাই। আমরা চাই সমাজের সব সুন্দর হবে। আমরা শহীদ মিনারে বসে বাদামের খোসা ফেলবো আর পাহারা দেব কেউ যেন জুতা পায়ে মিনারের বেদিতে উঠতে না পারে!

এসব ব্যবস্থার পরিবর্তন চাওয়া এই আমাদের পেশা কি? আমরা সাধারণ পেশার মানুষ। আমরা অতি সাধারণ স্কুল শিক্ষক- যিনি চিকিৎসকের কাছে যেয়ে ভালো চিকিৎসা সেবা পানা না। আমরা রোগীর প্রতি দরদী ডাক্তার- যাদের বিরুদ্ধে শুধু শুধু সাংবাদিকরা মিথ্যা কথা লিখে বেড়ায়। আমরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক- যাদের পদে পদে পুলিশ হয়রানি করেন। আমরাই সৎ পুলিশ অফিসার- যাদের পান থেকে চুন খসলে বদলি করে দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। আমরাই সেই নির্লোভ প্রশাসনিক কর্মকর্তা- যাদেরকে হয়রানি করেও ক্ষান্ত হন না আইনজীবীরা। আর আমরাই সেই সত্যবাদী আইনজীবী- যার সন্তান শিক্ষকের কাছে টিউশনি পড়েনি বলে স্কুলের পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া হয়েছে।

আমরাই গরিব যার পেটে লাথি মারে বড়লোকেরা। আমরাই বড়লোক যাকে সুযোগ পেলেই রিকশাওয়ালারা ঠকায়। আমরাই বাদাম থেকে শুরু করে জাহাজের ব্যবসায়ী আবার আমরাই সব অর্থলিপ্সু ব্যবসায়ীর অফিসের শোষিত কর্মচারী।

আমাদের এই আমজনতাদের আরও অগণিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমাদের মতো সৎ, সাহসী, নির্ভীক মানুষের অবশ্য এতো পেশা, আশা, নেশা বা বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত নয়। তবে মধ্যবিত্ত প্রধান এই রাষ্ট্রে আমরা আমরাইতো। আর এই কারণেই কার্ল মার্ক্সও মধ্যবিত্তকে নিয়ে দ্বন্দ্বে ভুগেছেন। আর প্লেটো ক্ষমতার উৎস হিসেবে জনতাকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন। কারণ আমজনতা মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি লোভাতুর দল, যারা পরিবর্তনকে ভয় পায়; যাদের মেধার বিকাশের চেয়ে সমালোচনা করার বিকাশ হয় ভালো।

নাহ্! আমরা আমজনতা এতোটা দ্বৈত চরিত্রেই নই। ইদানীং ঢাকার কিছু সড়কে আমজনতার পরিবর্তন এসেছে। গুলশানের সড়কগুলোতে কিন্তু এখন অনেককেই জেব্রা ক্রসিং মেনে সড়ক পার হতে দেখা যায়। আমরা এই আমজনতাই বাজারে ভেজাল খাদ্য বিক্রি করে ঘরে এসে নিজের সন্তানকে কোলে তুলে খেলা করতে থাকি। আমরা আমজনতা সবই পারি!

   

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে কমেছে উৎপাদন খরচ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে উৎপাদন খরচও কমেছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট সহ নানা কারণে একসময় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা। 

সরকারি প্রণোদনায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে অর্ধেক খরচে কম সময়ে গম কাটা ও মাড়াই করতে পারায় গম চাষ বেড়েছে কুষ্টিয়ায়। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ১২ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে। 

মেশিনে প্রতি বিঘা জমির গম কাটা মাড়াইয়ে কৃষকের খরচ হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা; যা শ্রমিক দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ের মজুরির অর্ধেকেরও কম। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে।

প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে ১৮ মণ থেকে ২০ মণ হারে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের আয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। এখন গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। 

দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিকপাড়া গ্রামের কৃষক রানা হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে গড়ে ১৮ মণ থেকে ২০ মণ হারে। 

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমেছে। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। 

মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের খয়েপুর এলাকার কৃষক তিন কৃষক (পার্টনার প্রোগ্রাম) এর আওতায় দুই একর জমিতে বারি-৩০ গম আবাদ করেছেন। এতে করে গম আবাদে তুলনামূলকভাবে খরচ কম হওয়ায় এবং লাভ বেশি হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি করে গমের আবাদ করবেন। 

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মতিয়র রহমান জানান, ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার প্রোগ্রাম) এর আওতায় আমাদের উপজেলার আমলা ব্লকে আব্দুল হালিম, আব্দুস সাত্তার ও মোস্তফা কামাল তারা যৌথভাবে দুই একর জমিতে গমের আবাদ করেন। এতে আমরা সার বীজ প্রণোদনা করেছি। পাশাপাশি কৃষি অফিসের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে গম কাটা ও মাড়াই যন্ত্র প্রদান করেছি।’  

এদিকে সরকারি প্রণোদনায় পাওয়া কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ১৫ বিঘা থেকে ২০ বিঘা জমির গম কাটা ও মাড়াই করছেন মেশিন মালিকরা। এতে তাদের উপার্জন বেড়েছে।

উন্নতজাত সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও প্রণোদনা প্রদানসহ সবধরনের সুবিধা দেওয়ায় কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশ হবে সমৃদ্ধ। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন কৃষকদের সবধরনের সুযোগ সুবিধার।

;

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা, 'পাচারকারী' আটক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় মনোরউদ্দিন নামে এক যুবককে ৭০ লাখ টাকা মুল্যের ৬টি স্বর্ণের বারসহ আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আটক পাচারকারী মনোরউদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের কদর আলীর ছেলে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোষ্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শরীরের পায়ু পথে লুকিয়ে স্বর্ণপাচারের কথা স্বীকার করলে এ স্বর্ণের বার উদ্ধার হয়।

বিজিবি জানান, গোঁপন একটি তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন পাচারকারীরা স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। এক পর্যায়ে রাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইজিবাইক চালিয়ে সীমান্তের দিকে প্রবেশের সময় তাকে ধরা হয়। এ সময় তাকে আটক করে বেনাপোল বাজারে রজনী ক্লিনিকে শরীর স্ক্যানিং করে পায়ুপথে ছয় পিস সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং তা উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭০০ গ্রাম। এবং যার মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার সোনাসহ এক পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার সোনার চালানটি যশোর ট্রেজারিতে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

;

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই আজকের এই আয়োজন। আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

গাজীপুরে চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।

অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানখেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহাড়া বসিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন। গ্রামবাসী গরুর চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী বড়বাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে একজনসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আরো চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে জানতে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

;