অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে
বাংলাদেশ যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে অচিরেই উন্নত দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এ উন্নতির প্রধান কারণ বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশী জনশক্তি ২৫ বছরের নীচে নবীন।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু এসব কথা বলেন।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ যে গতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তাতে অচিরেই উন্নত দেশে পরিণত হবে। সকল উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুই দেশের মধ্য বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে। সেটি অবশ্য ভারতের দিকে হেলে রয়েছে। তবে ভারত থেকে আমরা যা আমদানি করি তা বাণিজ্যে ক্ষতিকর কিছু নয়। আমাদের বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলোর সমাধান হচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় ভারত। তারা দুই দেশের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চায় যেখানে দুই দেশেরই সমান লাভ থাকবে।
আলোচনা শেষে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিপা) সই করতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা ভারতের বিনিয়োগকারীদের একশোটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে প্রস্তাব দিয়েছি, এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দুই দেশই লাভবান হবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের পণ্য বিক্রি বাড়াতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও বর্ডার হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রথম হাট বসবে শেরপুরে। ভারতের পক্ষ থেকে আমরা আশ্বাস পেয়েছি, তারা জুট এন্টি ডাম্পিং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের মন্ত্রী।
বাণিজ্য ও দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ অরো ভালো করতেই এ সফর। বাংলাদেশের সরকারের দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচী ও প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করতে বুধবার সকালে হেলিকপ্টারে তোফায়েল আহমদের সঙ্গে ভোলায় যান।
২৮ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা ছাড়বেন।