হত্যা মামলা নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ লতিফুর রহমান পলাশ হত্যাকাণ্ড নিয়ে চলছে বাদী এবং আসামিদের পাল্টাপাল্টি সভা সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি। এ ঘটনায় উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শেখ লতিফুর রহমান পলাশ হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর এবং আসামিদের অপপ্রচার বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে বাদী পক্ষের লোকজন।

এ সময় নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধ সাইফুর রহমান হিলু, নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রী ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিনা ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু অভিযোগ করেন, পুলিশ মামলার এজাহারের বাইরে থেকে কয়েকজনকে আটক করে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। অথচ আটককৃতদের কাছ থেকে এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/26/1537950740383.jpg

তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রকৃত হত্যাকারীদের আড়াল করতে পুলিশ বিগত ২১ আগস্ট মামলার জজ মিয়ার স্বীকারোক্তি মতো নাটক সাজাচ্ছে।

সাইফুর রহমান হিলু বলেন,‘প্রকাশ্যে আমার ভাইকে কারা হত্যা করেছে তা জেনেই হত্যাকারীদের নামে এজাহার দায়ের করেছি।’ অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক অভিযোগপত্র দাখিলের দাবি জানান তিনি। এদিকে স্বামী হত্যার বিচার চাইলেন ইউপি চেয়ারম্যান নিনা ইয়াসমীনও।

অপরদিকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী এ কর্মসূচির আয়োজন করে। ওই সময় বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি শরীফ মনিরুজ্জামান, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হত্যা মামলার আসামি স ম ওহিদুর রহমান, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হত্যা মামলার আসামি শেখ মাসুদুজ্জামান মাসুদসহ অন্যরা।

আসামি পক্ষের অভিযোগ, চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মামলার বাদী সাইফুর রহমান হিলু প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নেতাদের দমনের উদ্দেশে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করেন। পলাশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহার ভুক্ত আসামিদের নামে মামলা প্রত্যাহারসহ প্রকৃত হত্যাকারীদের নামে অভিযোগপত্র দেয়ার দাবি জানিয়েছে আসামি পক্ষের লোকজন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/26/1537950762344.jpg

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ৩ জন আসামি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত মর্মে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে গ্রেফতার এবং আদালতে আত্মসমর্পণ সহ ১১ জন বর্তমানে জামিনে রয়েছে। বাকি ৪ জন এজাহার ভুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

উল্লেখ, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি নিহত পলাশের ভাই সাইফুর রহমান হিলু বাদী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামান, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি স ম ওহিদুর রহমানসহ ১৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

   

গাংনীতে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৫ মাদক কারবারি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,মেহেরপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এদের কাছ থেকে ১১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে নগদ ১৫০০ টাকা ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। 

বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশের পৃথক পৃথক টীম কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হচ্ছেন- গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে স্বপন (৩৮) ও আয়ুব আলীর ছেলে লিটন (৪০), পলাশী পাড়ার মৃত সুজা উদ্দীনের ছেলে টেফেন ওরফে খালিদ মাহমুদ (৩০), আলমডাঙ্গার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনর রশীদ (৩০) ও ছাতিয়ান গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে স্বজল (২৭)। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মাদক পাচার রোধে গাংনী থানা পুলিশ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের নামে মাদকের মামলাসহ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

;

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, জনজীবন বিপর্যস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিনই যেন তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই উপরে উঠছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, তীব্র তাপদাহে প্রাণীকূল ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিও যেন তীব্র গরমে কাহিল। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে সচেতনতামূলক মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়ে চলতি মৌসুমের রেকর্ড ভাঙছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৯ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ জেলায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান এ তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কয়েকদিন। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গড় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। তবে আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সাথে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ জেলার ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝু্ঁকি থাকে, তাই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে আমরা জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সচেতনতামূলক মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে স্থবিরতা।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, কড়া রোদ ও গরম থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার নির্জন পরিবেশ খুঁজে বাতাসের জন্য প্রকৃতির দিকে চেয়ে আছেন। তবে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ তীব্র গরম উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।

আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরাতন মোটরসাইকেলের হাটে বাইক বিক্রি করতে আসা জসিম উদ্দীন নামের এক যুবক জানান, বাইক নিয়ে হাটে এসে পড়েছি বিপাকে। একে তো খোলা মাঠে হাট, মাথার ওপর সূর্য দাউদাউ করে জ্বলছে। রোদ আর গরমে মনে হচ্ছে শরীর একেবারে পুড়ে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে ছাতাও নিয়ে আসা হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা সদরের ডাব বিক্রেতা শমসের মন্ডল জানান, এই তীব্র গরমে তার ডাবের চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ ডাব তিনি বাজারে নিয়ে আসেন, সবই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মানুষ একটু স্বস্তি নিতে ও শরীর ভালো রাখতে ডাবের পানি পান করছেন।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, গরমের সাথে হাসপাতালে বেড়েছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। শয্যা সংকুলান না হওয়ার রোগীরা বারান্দা ও করিডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসক পরামর্শ হিসেবে বলেন, তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এসময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।

;

বরিশালে ট্রাক ভর্তি আলু লুটের মামলার আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রাক ভর্তি আলু লুটের মামলার আসামি সাইফুল ইসলামকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে জেলার গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল মোল্লা জানান, রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার তাজহাট থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সাইফুল বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। পুলিশ সুপারের এমন বার্তা পাওয়ার পর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নবীনবরন পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এলাকার আব্দুল মাজেদের ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাজহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান জানান, গত ৪ এপ্রিল রংপুরের রিয়াজ নামের আলু ব্যবসায়ী সাতক্ষীরার একটি ট্রাকের মাধম্য আলু প্রেরণের জন্য সাইফুল ইসলামের ট্রাক ভাড়া করেন। পরবর্তীতে ট্রাকে ২৩৫ বস্তা আলু ভর্তি করে পাঠানো হয়।

পরেরদিনও সাতক্ষীরায় আলু না পৌঁছানোর কারণে মোবাইল ফোনে সাইফুলের সাথে যোগাযোগের পর তিনি নানা তালবাহানা শুরু করেন। এমনকি ব্যবসায়ীর কাছে ট্রাকের যে কাগজপত্র দেওয়া ছিলো তাও ভুয়া। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।

জিল্লুর রহমান আরও জানান, বুধবার ভোলা থেকে ট্রাক চালক মোক্তার হোসেন খন্দকারকে গ্রেফতার করা হয় এবং অপর আসামি সাইফুলকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

;

করতোয়া নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে করতোয়া নদীতে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামের এক তাঁত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত মোতালেব হোসেন জেলার বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদীতে বৃদ্ধার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয়।

পরে থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাদপুর সার্কেল মোঃ কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি জানান, নিহত মোতালেব একজন তাঁত শ্রমিক ছিলো। পাশাপাশি তার মাছ ধরার নেশা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে সে মাছ ধরার সময় পানিতে ডুবে মারা গেছে। 

তিনি আরো বলেন, নিহত মোতালেব নদীতে মাছ ধরার জন্য গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো এরপর তার কোন সন্ধান মেলেনি। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

;