কমিশনের সিদ্ধান্ত জানেন না চার কমিশনার!



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র তিনমাস। নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনারদের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে চলে আসছে। চার কমিশনারের অভিযাগ কমিশনের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তাদের জানানো হচ্ছে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিব বিভিন্ন বিষয়ে তাদের না জানিয়েই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাই ইসি সচিবালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্ত ও তথ্য জানতে চেয়ে আন অফিসিয়াল নোট (ইউওনোট) দিয়েছেন চার নির্বাচন কমিশনার।

জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে ‘ইউওনোট’ দেন চার নির্বাচন কমিশনার। এই নোটের একটি কপি সিইসি বরাবরও দেওয়া হয়েছে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এই চার নির্বাচন কমিশনারকে বাদ দিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব ও সিইসি নিতে পারেন। ফলে সচিবালয়ের অনেক বিষয়ই অজানা থেকে যায় এই চার কমিশনারের। এ পরিপ্রেক্ষিতে সচিবালয়ের সিদ্ধান্ত ও কিছু বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউওনোট দিয়েছেন কমিশনাররা।

গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফেমবোসা সন্মেলন কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। সার্কভূক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এই সন্মেলনে প্রস্তুতি-অনুষ্ঠান সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনারদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়া অনুষ্ঠান কিভাবে হবে তাও তাদের জানানো হয়নি। সিইসি ও সচিবের পরিকল্পনা অনুসারে সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এই বিষয়েও চার কমিশনারের মতামত নেওয়া হয়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সিইসি ও সচিব ছিলেন। চার কমিশনারের কাউকে দেখা যায়নি। এই প্রশক্ষিণ বিষয়ে তাদের মতামত গ্রহণ এবং আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।

ইসি সচিবকে দেওয়া চার কমিশনারের ইউওনোটে বলা হয়, সংবিধানের ১১৮ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। আর ইসি সচিবালয় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ২০১০ সালে নির্বাচন কমিশন কার্যপ্রণালী বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

(আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী ইসি সচিবালয় কমিশনের প্রয়োজনীয় সব সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে এবং ইসি কর্তৃক আরোপিত যাবতীয় দায়িত্ব সম্পাদন করবে।)

“কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনি ও বিধির যথাযথ বাস্তবায়নে ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।”

আইনের ১৪ (২) ধরায় বলা হয়েছে, ইসি সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন কমিশনের সার্বিক নিয়ন্ত্রণে সচিবের কাছে দায়ী থাকবেন। তবে এখানেও ‘একক নিয়ন্ত্রণে’ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে ইউওনোটে।

বলা হয়েছে, কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকা তো দূরের কথা, অনেক ক্ষেত্রে কমিশনের সব সদস্যকে সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবহিতও করা হয় না।

আইনের ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, ইসি সচিবালয়ের জন্য অনুমোদিত বাজেটের আওতায় অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত চূড়ান্ত অনুমোদন নির্বাচন কমিশনই দেবে। কিন্তু এ বিষয়গুলো কখনোই কমিশনের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইউওনোটে।

কমিশনের কাছে উপস্থাপিত বিষয়গুলো সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করার বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘিত হয়েছে। এসব মতামতের প্রেক্ষিতে আইন ও বিধির সব বিধি বিধান প্রতিপালন করে সব কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ইউওনোটে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, কমিশনের অনেক সিদ্ধান্তই আমরা জানিনা। তাই আমরা কমিশনের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছি। বলেছি, এই বিষয়গুলো আমাদের একটু জানান। সে জন্য নোট দিয়েছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কিছু বিষয় আছে, যেগুলো আমাদের জানার কথা না। সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ-সবাই তো আমাদের কাছ থেকে জানতে চান। প্রশ্ন করলে যেন আমরা জবাবদিহি করতে পারি, তথ্যগুলো দিতে পারি। যেগুলো হয় সচিবালয়ে বা আগে হইছে বা পরিকল্পনা করা হইতেছে, সেগুলো সচিবালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে এবং তারা যেন আমাদেরকে ভবিষ্যতেও বিষয়গুলো জানায়। ইউওনোট দেওয়ার পর থেকে সচিবালয় থেকে বিভিন্ন তথ্য ও সিদ্ধান্ত তাদেরকে জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, চার নির্বাচন কমিশনার একটি নোট দিয়েছেন। সেখানে বলেছেন, নির্বাচন কার্যক্রম সম্পর্কে যেনো তাদের জানানো হয়। নির্বাচনি কার্যক্রম বিষয়ে যেনো তাদের জানানোর জন্য ফাইল উঠানো হয়। চার কমিশনার মিলে একটি নোট দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের।পাঁচজনে মিলে এই কমিশন। পাঁচ বছর পরপর জাতীয় নির্বাচন হয়, এতে ভোট দিয়ে মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। কমিশন ঐক্যবদ্ধ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার নজিরও যেমন আছে, তেমনি অতীতে এর বিপরীত দৃশ্যও দেখা গেছে।

সচিবালয়ের সঙ্গে কমিশনারদের কোনো দূরত্ব আছে কি না জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, কমিশনের সঙ্গে আমাদের গ্যাপ (দূরত্ব) আছে, এটা আপনারা মনে করছেন। কিন্তু এটা একদম ঠিক না। বিভেদ এক জিনিস মতোপার্থক্য আরেক জিনিস। চার নির্বাচন কমিশনারই সচিবালয়ের সিদ্ধান্তগুলো জানতে চাচ্ছিলেন। সচিবালয়ের কাছে প্রত্যেকে স্বতন্ত্রভাবে না গিয়ে একই নোটে চারজন স্বাক্ষর করেছেন। যাতে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের সিদ্ধান্তগুলো যেন আমাদেরকে জানানো হয়।

এরআগে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান যুক্তের বিরোধীতা করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। নোট অফ ডিসেন্ট দিয়ে তিনি কমিশন সভা বর্জন করেন। এ বিষয়ে অপর তিন কমিশনার সিইসির সঙ্গে একমত পোষণ করে আরপিও সংশোধনের সুপারিশ অনুমোদন করেন।

   

রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ১৩ অঞ্চলে রাতের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পাশাপাশি এই সময় সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

;

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে আরও ১ হাজার ৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। 

তিনি বলেন, বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে) বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বিশেষ ‘প্রকল্প পর্যালোচনা সভা’য় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপসহ মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে এবং খতিয়ানে দাগ শেয়ার করতে হবে না। ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান প্রণয়ন করা সম্ভব হলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা ও সীমানা বিরোধ অনেকাংশে কমে যাবে।

এ সময় বিডিএসকে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে অগ্রাধিকার দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

সভায় অবহিত করা হয় যে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (ইস্টাবলিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

খুব শিগগিরই আরেকটি প্রকল্পের রিভিউ শেষ হলে পটুয়াখালী, বরগুনা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার ৩২টি উপজেলায়ও বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে' পরিচালনা করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

ভূমিসচিব খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় ভূমি মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

;

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহতের নিথর দেহ উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে দুপুরের দিকে সাভার পৌরসভার সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসকের সহকারী।

হত্যাকান্ডের কারণ বা এর সাথে কারা জড়িত তা এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;