শেখ ফজলল করিম স্মৃতিপাঠাগারে ইউপি কার্যালয়!



নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কবি শেখ ফজলুল করিম/ছবি: সংগৃহীত

কবি শেখ ফজলুল করিম/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক

কে বলে তা বহুদূর,

মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক

মানুষেতে সুরাসুর।’

কবি শেখ ফজলল করিমের এ কবিতাটি ছোট বেলায় পড়েননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় হারাতে বসেছে কবির স্মৃতি বইপত্র থেকে শুরু করে পাঠাগারটিও। এলাকাবাসী ও সাহিত্যপ্রিয় মানুষদের বহুদিনের প্রত্যাশিত কবির স্মৃতি পাঠাগারটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হিসেবে।

শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কবি শেখ ফজলল করিমের ৮২তম মৃত্যুবার্ষিকী। নীরবেই কেটে যাচ্ছে সাহিত্যবিশারদ উত্তরবঙ্গের এই কবির মৃত্যুবার্ষিকী। কবির স্থানীয় ভক্তরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে হয় না মিলাদ মাহফিল, এমনকি কোন আয়োজন। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনায় কবি শেখ ফজলল করিমের স্মৃতি বিজড়িত গ্রামের বাড়িতে পারিবারিকভাবে ছোট পরিসরে দোয়া আর মিলাদ মাহফিলের মাঝে সীমাবদ্ধ কবির মৃত্যুবার্ষিকী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/28/1538133060698.jpg

জানা গেছে, ২০০৫ সালে কবির স্মৃতি রক্ষার্থে কবির বাড়ির অদূরে কাকিনা বাজারে নির্মিত পাঠাগারটিতে নেই কোন কেয়ারটেকার, নেই পাঠক, রয়েছে বইয়ের সংকট। বর্তমানে পাঠাগারটি কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ যেন সম্মানের নামে অপমান। কবির নামে এটা প্রহসন বলেও মন্তব্য করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কবি ভক্তরা।

কবির পারিবারিক সদস্যরা জানান, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকারের আমলা, মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতা, কবি, লেখক অনেকেই কবির বাড়ি পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। যা কখনই বাস্তবায়ন হয়নি। শুধুমাত্র কবির বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি পাকা হওয়া এবং কবির নামে কাকিনা বাজারে একটি দ্বিতল ভবনের পাঠাগার নির্মিত হলেও কবির বাড়ি ও ব্যবহারিক সংগ্রহশালা এখন ধ্বংসের পথে।

সরকারিভাবে কখনই পালিত হয় না কবির জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকী। পারিবারিকভাবে সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব স্মরণ করা হয় কবিকে। কবির স্মৃতিগুলো রক্ষার্থে বাড়িটি মেরামত করে তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষণ, পাঠাগারটিতে একজন লাইব্রেরিয়ানসহ পর্যাপ্ত বইয়ের ব্যবস্থা করা এবং কবির জীবনী ও তাঁর বিভিন্ন বই সংরক্ষণ করে জেলা শহরে কবির নামে একটি পাঠাগার স্থাপন করার দাবি জানান বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/28/1538132309511.jpg

২০০৫ সালে নির্মিত পাঠাগারটি দেখভালের জন্য ২০০৯ সালে উপজেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় আজিমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে ১ হাজার টাকা সম্মানীতে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে নতুন ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কারণে কাকিনা ইউপি কার্যালয় হিসেবে অস্থায়ীভাবে কবির পাঠাগারটি ব্যবহৃত হচ্ছে। কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, ‘পাঠাগারটি বন্ধ থাকায় উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানিয়ে অস্থায়ী এখানে চলছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।

কাকিনা উত্তর বাংলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী সোহান,পদক,পল্লব, জেসমিন আরা জুতি। তারা জানান, কবির স্মৃতি পাঠাগারটিতে ইউপি কার্যালয় বসিয়ে সম্মানের নামে কবিকে অপমান করা হচ্ছে। ইউপি কার্যালয় হোক তাতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বর্তমানে সেটি তালাবদ্ধ করে রেখেছে ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি যখন আসেন বই পড়ার সুযোগ থাকে না । ওনার দলীয় নেতকর্মীদের নিয়ে তিনি ব্যাস্ত থাকেন।

১৮৮২ সালের ১৪ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন শেখ ফজলুল করিম। মাত্র ১৩ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী বিনবিনা গ্রামের গনি মোহাম্মদ সর্দারের মেয়ে বসিরন নেছা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় কবির।

কাকিনার মত অজপাঁড়া গায়ে নিজ বাড়িতে শাহাবিয়া প্রিন্টিং ওয়ার্কস নামের ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। জীবদ্দশায় সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন কবি। তিনি মোট ৫৫টি গ্রন্থ লিখে ছিলেন। সংরক্ষণের অভাবে যার অনেক গুলোর এখন আর হদিস মিলে না।

সাহিত্য চর্চার সুবিধার্থে সবার জন্য উম্মুক্ত কবি বাড়িতে ১৯৯৬ সালে করিমস্ আহামদিয়া লাইব্রেরী নামের একটি পাঠাগার স্থাপন করেছিলেন। যার কোন চিহ্নই আজ আর অবশিষ্ট নেই।

বাংলা ১৩২৩ (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ) সনে ভারতের নদীয়া সাহিত্য পরিষদ তাকে সাহিত্য বিশারদ উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কবি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/28/1538132442925.jpg

উত্তর বাংলা কলেজের প্রভাষক সুভাস চন্দ্র বলেন, ‘সঠিক পরিচালনার অভাবে কবির পাঠাগারটির আজ এমন অবস্থা। পাঠারগারটি পরিচালনা করার জন্য সঠিক লোক থাকলে বা সব সময় খোলা থাকলে শিক্ষার্থীরা কিছু জানবে কিছু শিখবে।’

কবির বাড়ির ভিতরে একটি কক্ষে কবির ব্যবহৃত টুপি, দোয়াত-কলম, ছোট্ট কোরআন শরিফ, ম্যাগনিফাইং গ্লাস ও কিছু বোতাম সংরক্ষণ করে রেখেছেন কবির প্রপুত্র (নাতি) ওয়াহিদুন্নবী। তিনিও বয়সের ভারে নাজুক হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, 'কবির স্মৃতি ধরে রাখতে যত্ন করছি কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় সংস্কার করতে পারছি না। দীর্ঘদিন এমনি পড়ে থাকায় কবির ব্যবহৃত জিনিসগুলো নষ্ট হতে চলেছে।’

ওয়াহিদুন্নবী আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘সরকার যায় আর আসে কিন্তু কবির দিকে কেউ থাকায় না। আমার কানে আসে অনেক বরাদ্দ আসে কবির নামে কিন্তু এসব কোথায় যায় তার কোন খবর নেই।’

‘পাঠাগারটিতে প্রচুর পরিমানের বই রাখা উচিৎ কিন্তু সেখানে এখন ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন থাকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান যোগদান করার সময় আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, কবির সব বিষয় তিনি দেখবেন কিন্তু কোথায়! তারও কোন খবর নেই।’ 

জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে তার নামে একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থাকলেও শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সেখানেও পালিত হচ্ছে না মৃত্যুবার্ষিকী। ফলে এ প্রজন্মের অনেকেই জানেন না কবি শেখ ফজলল করিম সম্পর্কে।

লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে কাকিনায় কবির স্মৃতির উদ্দেশ্যে ছোট্ট একটি স্মৃতিফলক রয়েছে যা কবির বাড়ির দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া আর কোন উল্লেযোগ্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।

বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন হলে কবি শেখ ফজলল করিমের স্মৃতি চিহ্নগুলো সংরক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি কবির বাড়িটি দেশের উল্লেখযোগ্য স্থানে পরিণত হবে।

   

নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার পুরাতন কাঠহাটি এলাকা থেকে জানালার লোহার গ্রিল কেটে চুরি হয়ে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে, এদিন সকালে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সরল শিকারপুর গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে শামীম হৃদয় (২৪), নিরব সাজেদুর (২৭) ও আরজি নওগাঁ মধ্যপাড়ার কালু বাবুর ছেলে সরল হোসেন (২০)।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুরাতন কাঠহাটি এলাকায় মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে জানালার লোহার গ্রিল কেটে চোরের দল ঘরে ঢুকে এক জোড়া স্বর্ণের ঝুমকা, একটি স্বর্ণের কণ্ঠমালা, এক জোড়া স্বর্ণের পাশা এবং এক জোড়া ব্রোঞ্জ ও স্বর্ণের সমন্বয়ে নক্সা মুখবালা চুরি করে নিয়ে যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ঘটনার পর পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এরপর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের দিক নির্দেশনায় নওগাঁ সদর থানা-পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় শামীম, সাজেদুর ও সরল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সকল স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

;

সূর্যের প্রখরতায় জনজীবনে অস্বস্তি, ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের শুরু থেকেই সারাদেশে সূর্যের প্রখরতা বাড়ছে। সূর্য উদয় থেকেই তেজদীপ্ততা শুরু হয়, সেই থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তীব্র তাপদাহে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে জনজীবন। শুধু তাই নয় রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছে মানুষ। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি। দেশের এমন পরিস্থিতি আগামী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এদিকে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

 

;

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টা না পেরোতে আবারো ১১ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। এ নিয়ে বর্তমানে ২৮৫ জন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে টেকনাফের জীম্বংখালী সীমান্ত দিয়ে ৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি ৮ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেন। 

এর আগে গতকাল রাতে টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে কোস্ট গার্ডের কাছে ১৩ জন বিজিপি সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে কোস্টগার্ড বিজিপি সদস্যদেরকে বিজিবি'র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে (১১ বিজিবি) হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গতকাল ১৩ জন এবং আজকে ১১ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা সবাই বিজিবি হেফাজতে আছে।   

;

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৮২৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;