নিরপেক্ষদের ‘ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা’ নিয়োগের পরিকল্পনা ইসির



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের আগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে কমিশন। সংসদ নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে ইসি।

কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিটি নির্বাচনের সময় পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা আনা হয়। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে এটি সম্ভব নয়। কারণ এই নির্বাচনে একসঙ্গে তিনশটি আসনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলে সংসদ নির্বাচনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যাংক অফিসার, সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও ইতোপূর্বে যারা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছে এবং যারা নিরপেক্ষ ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ নেই তাদেরকেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে কমিশন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সরকারের উপ-সচিব পদ মর্যদার কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বিধান রয়েছে। আর অন্যদের প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী কর্মকর্তা ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন মনে করলে শুধু সরকারিই নয়, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিককেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেহেতু তিনশ আসনে নির্বাচন হবে তখন আমাদের অনেক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হবে। সে জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা, প্রাইমারি ও হাই স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিসসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা আছে। এ ছাড়াও ইতোপূর্বে যারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং যারা নিরপেক্ষ ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে কোনো দলীয় তকমা লেগেছে, এমন কোনো অভিযোগ নাই, স্বাভাবিকভাবেই আমরা তাদেরকেই সঠিক ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করব।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘সচিব কী বলছেন, সেটা আমি জানি না। এখন এগুলো তো কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়। কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে, কী হবে না হবে। এ বিষয়ে এখনো কমিশন সভা হয়নি, সিদ্ধান্তও হয়নি। সচিব সাহেব বলছেন, তা হয়তো তার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল অনুযায়ী, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুসারে, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে একজন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও দুজন পোলিং অফিসার নিয়োগ করতে হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে অতিরিক্ত প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। তা ছাড়া প্রতি জেলায় বা নির্বাচনি এলাকায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ফলাফল সংগ্রহ এবং নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য অধিকসংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রয়োজন হতে পারে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিস্তারিত তথ্যসহ নামের তালিকা সংগ্রহ করতে হবে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সব নির্বাচনেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার একাধিক তালিকা প্রণয়ন করে থাকে। এবারও তাই করা হচ্ছে। কেননা, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে অনেককেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্যদের নিয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নামের তালিকা পাঠাতে শুরু করেছে। প্যানেল তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তবে চূড়ান্ত তালিকা নির্ধারণ হবে ভোটের আগে। এরমধ্যেই ওই সব কর্মকর্তাদের সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদন নেওয়া হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল তৈরির কাজ এখনো শেষ হয়নি। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে উল্লেখ করা আছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার বিধি-বিধান তুলে ধরা হয়েছে। বিধানটিতে বলা হয়েছে-

(১) প্রিসাইডিং অফিসার: (ক) সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; (খ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ/সমমানের মাদরাসার শিক্ষক, ক্ষেত্র বিশেষে ডেমনস্ট্রেটর/কর্মকর্তা; (গ) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বীমা, করপোরেশন অথবা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; (ঘ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়/সমমানের মাদরাসার প্রধান শিক্ষক/সহকারি প্রধান শিক্ষক, ক্ষেত্র বিশেষে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক এবং (ঙ) প্রয়োজনবোধে বেসরকারি ব্যাংক, বিমা অথবা নির্ভরযোগ্য যেকোনো বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানের উক্তরূপ কর্মকর্তা/কলেজ শিক্ষক/প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা।

(২) সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার: (ক) সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; (খ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ/সমমানের মাদরাসা ডেমনস্ট্রেটর/কর্মকর্তা; (গ) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বিমা, করপোরেশন অথবা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা; (ঘ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়/সমমানের মাদরাসার প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/জ্যেষ্ঠ শিক্ষক/শিক্ষক এবং (ঙ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়/রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

(৩) পোলিং অফিসার: (ক) সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী; (খ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজ/সমমানের মাদরাসার কর্মচারী; (গ) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বিমা, করপোরেশন অথবা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী; (ঘ) সরকারি/সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়/মাধ্যমিক বিদ্যালয়/সমমানের মাদরাসার শিক্ষক/কর্মচারী; (ঙ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়/রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং (ঙ) প্রয়োজনবোধে বেসরকারি ব্যাংক, বিমা অথবা নির্ভরযোগ্য যেকোনো বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানের উক্তরূপ কর্মকর্তা/কলেজ শিক্ষক/প্রধান শিক্ষক/সহকারি প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা।

   

দালালের হাতে জিম্মি ৪, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে দাবি মুক্তিপণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাগ্য বদলাতে বিদেশে পাড়ি দিয়ে দালালদের ফাঁদে জিম্মি হয়েছেন চট্টগ্রামের চার যুবক। দালালরা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নিয়ে যুবকদের তুলে দিয়েছে সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে। এরপর তাদের নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে চাওয়া হচ্ছে মুক্তিপণের টাকার। ঘটনার শিকার চার জনই চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা।

তারা হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. ওয়াসিম (২২), একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৯), আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম (১৯) ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২০)। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মি সদস্যদের পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার চার যুবককে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

অপহৃতদের স্বজনরা জানায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম কাউকে মসজিদ, কাউকে হাসপাতাল আবার কাউকে দোকানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নেন। প্রথমে যুবকদের ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের তুলে দেওয়া হয় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজানের হাতে।

মিজান তিন দিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেন। সাত দিন পর দুবাই থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মিশর হয়ে তাদের লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে মিজান অন্য দালালের হাতে তুলে দেন চট্টগ্রামের এই চারজনকে। ওই দালালরাই এখন তাদের স্বজনদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করছে। মুক্তিপণ না পেলে অপহৃত যুবকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন।

জিম্মি যুবক বোরহান উদ্দিনের বড় ভাই সালাউদ্দিন বলেন, ‘২০ অথবা ২১ মার্চ আমার ভাইসহ চারজনকে জিম্মি করে দালালরা। এরপর ২৪ মার্চ সকালে মোবাইলে কল করে আমাদের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না হলে আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা পর পর হোয়াটসঅ্যাপে কল করে মুক্তিপণ পাঠানোর জন্য তাগাদা দিচ্ছে। কল করে বলে, আমি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিচ্ছি ওই অ্যাকাউন্টে টাকা দাও। টাকার জন্য প্রতিনিয়ত কল দিচ্ছে। মোবাইল বন্ধ থাকলে তখন ভয়েস মেসেজ পাঠাচ্ছে। টাকা কেন দিতে হবে জানতে চাইলে অপহরণকারীরা আমাদের বলে, তোমার ভাইকে আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তাই এখন ছাড়াতে হলে মুক্তিপণ দিতে হবে।’

সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘মুক্তিপণের জন্য যারা যোগাযোগ করছেন সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। অপহরণকারীরা সবাই বাংলাদেশেরই লোক। যেসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য বলা হচ্ছে, সবগুলো চকরিয়া ব্র্যাঞ্চের। তাই আমাদের ধারণা, এই অপহরণের সঙ্গে বাংলাদেশের লোকজনই জড়িত।’

;

জুনেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, তৃতীয় ধাপে জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০ টায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিক্ষায় সচেতনতা নিশ্চিতে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। আমরা ডিভাইসের মাধ্যমে পরিক্ষার্থী নিশ্চিত করেছি। কোনও আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, উপাধ্যক্ষ মৃণাল কান্তি গোস্বামী ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই ধাপে কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।

;

সার্টিফিকেট ছাড়াই দাঁতের চিকিৎসক আবু বক্কর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নের কাটখইর বাজারে বেশ কয়েক বছর ধরে দাঁতের ডাক্তার সেজে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নের হাঁসাইগাড়ি গ্রামের ছামছুর রহমানের ছেলে। 

প্রায় সাত বছর ধরে উপজেলার কাটখইর বাজারে 'সেবা ডেন্টাল কেয়ার’ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন তিনি। অথচ নেই কোনো চিকিৎসা সনদ, এমনকি নেই মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল, বিএমডিসির নিবন্ধন অথচ নামের আগে ডা. পদবী ব্যবহার করেন তিনি। প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামের মানুষরা দোকানটিতে আসছেন দাঁতের চিকিৎসা নিতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দাঁতের ফিলিং, স্কেলিং, লাইট কিউর, ফিলিং ক্যাপ, দাঁত ওঠানো, দাঁত বাঁধানোর সব কাজই করা হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। এমনকি নামের আগে ডা. লেখা সিল ব্যবহার করে সাদা প্যাডে প্রেসক্রিপশন লিখেও দিচ্ছেন তিনি। 

বিভিন্ন কাজে রোগীদের কাছ থেকে পাঁচশত টাকা থেকে  শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে সে। এসএসসি পাশ বলে দাবি করলেও তবে সেটির সনদপত্রও দেখাতে পারেননি তিনি।

দাঁতের সব রকম চিকিৎসা চলে ভূয়া দাঁতের ডাক্তার আবু বক্কর সিদ্দিক এর গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানে। আবার দেখা যায় কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই দাঁতের নানারকম ঔষধ ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিচ্ছেন তিনি। দিচ্ছেন অ্যান্টিবায়োটিক মেডিসিন আবার কখনো করছেন ঝুকিপূর্ণ দাঁতের সার্জারি, এতে রোগীদের প্রাণ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন, ‘তার বড় ভাইয়ের সাথে তাকে প্রায়ই দেখতাম। হঠাৎ করে কয়েক বছর আগে বিদেশ চলে যান তার বড় ভাই। এরপর সে প্রতিষ্ঠান খুলে কোনো সার্টিফিকেট ছাড়াই। নামের আগে ডা. বসিয়ে দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন সাধারণ মানুষদের।

এলাকার আরেকজন বাসিন্দা বলেন, প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার হাটবারে সকাল থেকে রাত অব্ধি নানা বয়সের মানুষ তার নিকট ভীড় করে দাঁতের চিকিৎসকা নেয়ার জন্য। শুনেছি হঠাৎ করেই সে নামের আগে ডা. পদবী ব্যবহার করে নিজেকে জাহির করেন। 

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে ডাক্তার বনে যাওয়া দেখে আমরাও অবাক হয়েছি তবে জানতাম না তার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, আমাদের এলাকাবাসীর দাবি তার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষকে তার হাত থেকে রক্ষা করা।

ভুয়া দাঁতের ডাক্তার, আবু বক্কর সিদ্দিক নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো দাঁতের চিকিৎসক না, আমার কোনো সার্টিফিকেট নেই।নওগাঁ সিভিল সার্জন অফিস থেকেও নিবন্ধন নেই আমার তবে আমরাই একটা সংগঠন বানাতে চেয়েছিলাম। বড় ভাই এর কাছ থেকে শিখেছে, তিনি বিদেশ চলে যাওয়ার পড়ে আমি প্রতিষ্ঠান দিয়েছি ,আমি কোনো দাঁতের ডাক্তার নই।’ 

এ বিষয়ে হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান  জানান, সে প্রায় অনেক বছর ধরে ডাক্তারি করে। তার সার্টিফিকেট (আরএমপি) আছে মনে হয়, চিকিৎসাও ভালোই।

সার্টিফিকেট ছাড়া কিভাবে ডাক্তার হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সাটিফিকেট লাগবে ঠিক আছে তবে তার চিকিৎসা ভালো। ইউএনও মহোদয় আমাকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে আমি তার সার্টিফিকেটটা দেখবো এখন। ডেন্টালে আমি দেখি অনেক মানুষ তার কাছে ভিড় করে তবে ভুল চিকিৎসার জন্য যদি ক্ষতি হয় এটাও বিষয়।  ইউএনও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’ 

এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুনির আলী আনন্দ মুঠোফোনে বলেন, এমবিবিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। গ্রাম্য চিকিৎসক হয়ে থাকলে গ্রাম্য চিকিৎসক লিখতে পারে সেটা আইনে বলায় আছে। ভুয়া ডাক্তার হলে আমরা তো কিছু করতে পারবো না, তবে কোর্টে পাঠাতে পারবো। সেটা কোর্টের ব্যাপার। সে যদি ভুয়া হয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে হবে।

;

ফেনীতে চলতি বছরে সর্বোচ্চ ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে চলতি বছরে সর্বোচ্চ ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়ছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলায় অস্থায়ী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত কয়েক দিনের গরমের পর বৃষ্টিতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে। কিছু সড়কে ​​​​​​​অবৈধ মাটি পরিবহনের সময় ট্রাক থেকে মাটি পড়ে তা বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় লোকজন। এছাড়াও খেটে-খাওয়া মানুষজন ও বিভিন্ন শপিং মল ও বিপনী বিতানের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।

ফেনী শহীদ মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায়ী ফাহিম রিমু বলেন, ঈদ পর্যন্ত এখন প্রতিটি দিনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখন বেচাবিক্রির সেরা সময়। বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। দোকানে ক্রেতাও খুব একটা নেই। মানুষজন বৃষ্টিতে সচারাচর ঘর থেকে বের হতে চায়না।

আবুল কাশেম নামে এক রিকশাচালক বলেন, রমজানে সারাদিন রোজা রেখে এমন আবহাওয়া স্বস্তির। তবে বৃষ্টির জন্য বাইরে রিকশা চালিয়ে কষ্ট হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো রাস্তায় তেমন যাত্রী ছিল না।

অন্যদিকে বৃষ্টির কারনে ফসলের বিভিন্ন ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। তবে কৃষি অফিস দিচ্ছে স্বস্তির খবর।

ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জমিতে পানি না জমলে বৃষ্টিতে ফসলের খুব বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বরং আউশ আবাদের জন্য এই সময়ের বৃষ্টি কৃষকের উপকার হবে। তবে সূর্যমুখী ও ভুট্টার গাছ নুয়ে পড়তে পারে। এছাড়া নিচু জমির পানি না নামলে ফলন কম হবে।

;