ছবি তুইলতে দিলে কী টেহা পাব?



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এই যে ভাই, একটু আয় তোরে দেইকা লই, একটা তাবিজ দেই, বিপদ আপদ থেকে বাঁইচবেনে’। এ কথাগুলো সিলেট আদালত পাড়ার দেয়াল ঘেঁষে ফুটপাতে বসা সুমি বেগমের। গ্রাম থেকে শহরে আসা অনেক উঠতি বয়সী তরুণ সুমির ডাকে সারা দেয়। আবার কেউ কেউ শুনেও না শোনার ভান করে চলে যায়। সিলেট জেলা পরিষদের উল্টো দিকে আদালত পাড়ার দেয়াল ঘেঁষা ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গেলেই এভাবেই সুমির মতো বেদে তরুণীদের ডাক শোনা যায়।

সুমী বেগমের বয়স হবে আনুমানিক ১৫ বছর। এই বয়সেই এক সন্তানের মা হয়েছে সে। সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল ফর্সা ওই তরুণী তার ছবি উঠাতে দিতে না চাইলেও কথা বলেছে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে। সুমির বক্তব্য ‘ছবি তুইলা কী অইব? ছবি তুইলতে দিলে কী টেহা পাব?’ যাদের সঙ্গে একবার সুমির কথা হয়েছে, সবাই ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় একবার ডাক দিয়ে বলে ‘ওই টুনটুনি’। সে বলে ‘যা ইহান তাকি (চলে যা সামনে থেকে)’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/01/1538402872668.jpg

একটা সময় আদালতের অভ্যন্তরে কাস্টমার খোঁজ করত বেদে সম্প্রদায়ের নারীরা। তখন অনেক তরুণীকে দেখা যেত। এখন এর সংখ্যা কমে এসেছে। আদালতের নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের যেখানে সেখানে বসতে দেয়া হয় না। বর্তমানে অধিক কাস্টমারের আশায় আদালত প্রাঙ্গণের বাইরের মূল সড়কের ফুটপাতে বসে তারা। কখনো প্রচণ্ড রোধ, কখনো বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলে তাদের জীবিকা নির্বাহের সংগ্রাম।

আদালত পাড়া সংলগ্ন ফুটপাতে বসা নারীদের কেউই শহরের বাসিন্দা নয়। ছবি তুলতে চাইলে তারা ছাতা দিয়ে নিজেকে আড়াল করে নেয়।

বেদে নূর জাহান বেগম (৪০) জানান, প্রতিদিন সকালে ট্রেনে করে ছাতক থেকে সিলেট আসেন। বিকেলে পুনরায় ফিরতি ট্রেনেই বাড়ি চলে যান।

তিনি জানান, সুনামগঞ্জের সোনাপুরে তাদের বাড়ি রয়েছে। তবে বসবাস করেন গোবিন্দগঞ্জে। সেখান থেকে প্রতিদিন আরও ৪-৫ জন নারীও তার সঙ্গে সিলেটে আসেন। দিন শেষে ২-৩শ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। নূর জাহানের বক্তব্য এখন আর আগের মতো কেউ শিংগা লাগায় না, তাবিজ নেয় না। কোনো রকমেই বেঁচে আছেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/01/1538402896959.jpg

রাশেদা বেগম জানান, শিংগা লাগানো আর তাবিজ বিক্রিই তার মূল পেশা। এ কাজ করে তিনি তার ১ মেয়ে আর ২ ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। স্বামীর কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘হেয় বাড়িত থাহে, বাচ্চা সামলায়।’

বেদে ছফিনা বলেন,‘সবাই এখন ডাক্তারের কাছে দৌড়ায়। আমাদের কাছে আসে না। ফুটপাতে বসে ছাতা ধরে দিন পার করতে হয়। দিন শেষে যা পাই, তা নিয়েই বাজার করে বাড়ি যাই।’

সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেদে সম্প্রদায় বসবাস করছে। তবে বেশিরভাগ সময়ই তারা নৌকায় জীবনযাপন করেন। সিলেট নগরীর অদূরে শাহপরান মেজরটিলা এলাকায়, বাদাঘাট চেঙ্গের খাল নদীর তীরে অস্থায়ীভাবে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনকে বসবাস করতে দেখা গেছে।

   

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

আইজিপি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। আমি আশা করছি— আমাদের ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। সেই সঙ্গে যথাসময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি।

;

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;

সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

এর আগে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুরের সদর থানার কুতইড় এলাকার বাসিন্দা ও আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো.ফরিদুল ইসলাম (৪৪) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (৪৫)।

ডিবি পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় তা বিক্রি করত তারা। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

;

বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযান, ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ৪ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল শহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন, বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মারজানুর রহমান, মোঃ শহীদ উল্লাহ ও শাহরুখ আলম শান্তনু।

এ সময় তারা নগরীর পোর্ট রোড পাইকারী ও খুচরা বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূলে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ৪টি মামলায় ৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র‌্যাব-৮ এর ৩টি টিম।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;