৫২ বিদেশি সাংবাদিক ঢাকা আসছেন মঙ্গলবার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছয় দেশের ৫২ জন বিদেশি সাংবাদিক ঢাকা আসছেন ২ অক্টোবর (মঙ্গলবার)।

‘ভিজিট বাংলাদেশ’ কর্মসূচির অধীনে তাদের এ সফর বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আগামী ২ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তারা বাংলাদেশ সফর করবেন। বিদেশে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য প্রতি বছর ভিজিট বাংলাদেশ প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে সাংবাদিকরা আসেন। সে অনুযায়ী এই ৫২ জন সাংবাদিক বাংলাদেশে আসছেন।

ভিজিট বাংলাদেশ প্রোগ্রামের আওতায় এবার ভারত, ব্রাজিল, তুরস্ক, কানাডা, ওমান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবাদিকরা বাংলাদেশ সফর করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিদেশি সাংবাদিকরা। এছাড়া আন্তর্জাতিক ইস্যুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা রোহিঙ্গা শিবির ও পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজও পরিদর্শন করবেন বাংলাদেশে সফররত সাংবাদিক প্রতিনিধি দলটি।

   

সরকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি টার্গেট করে প্রতারণা, পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি টার্গেট করে প্রতারণা, পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি

সরকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি টার্গেট করে প্রতারণা, পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি

  • Font increase
  • Font Decrease

রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং সেনাবাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন পত্রিকায় আসার পরে একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। পরীক্ষা ছাড়াই সহজেই সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাকরির নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি তারা। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন ও বেশকিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।

যেভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা-

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে যেয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যেকোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশস্থ করতো। চাকরিপ্রার্থী তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে তাদের কাছ থেকে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল‍্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি মাঠকর্মী তাদের কাছ থেকে এডভান্স হিসেবে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা গ্রহণ করে।

ডিবি প্রধান বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব এজেন্টের কাছে প্রেরণ করে। এরপর সাব এজেন্ট এই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সকল চাকরি প্রার্থীকে নির্দিষ্ট একটা দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠায়। পরবর্তীতে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরি প্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা গ্রহণ করে। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে এইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা গ্রহণ করে।

এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট একটা দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড প্রদান করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যায়।

চাকরিতে যোগদান করতে গেলে জানতে পারে নিয়োগপত্র ভুয়া-

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে প্রার্থীরা জানতে পারে, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে প্রত্যেক চাকরি প্রত্যাশিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় দশ থেকে বিশ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি দুই/তিন বছর ধরে এভাবে চাকরি প্রত্যাশিদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়্যান্সঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং সেনাবাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

গ্রেফতারদের যার যে দায়িত্ব ছিল প্রতারণার কাজে-

গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠ কর্মী হিসেবে, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব এজেন্ট হিসেবে ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব এজেন্ট হিসেবে এবং চক্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মো. ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

একজন ভুক্তভোগীর কাছে ১২ লাখ টাকা হাতিয়েছে চক্রটি এরপর মামলা করেন তিনি-

মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি নিয়োগপত্র প্রদান করে এ নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন যে নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের ব্যবহৃত সকল যোগাযোগ নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারো চাকরি দিতে পারেনি তারা। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট দপপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।

তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ডিবির পরামর্শ-

১. যে কোনো চাকরিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। অনৈতিক উপায়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা না করা।

২. অনেক প্রতারক চক্র রয়েছে যারা ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়েও প্রতারণা করে থাকে। তাই বিজ্ঞপ্তিগুলোর সত্যতা যাচাই করার জন্য জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েবসাইটের সহায়তা নেওয়া।

৩. সরকারি চাকরিতে কেবলমাত্র সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত নির্দেশনা মোতাবেক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা।

৪. প্রতারিত হলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে তাৎক্ষনিক অবহিত করতে হবে।

;

রংপুর মেডিকেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর মেডিকেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

রংপুর মেডিকেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজে গত রোববার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা মাসিক ভাতা ১৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। তারা জানান, গত বছর তারা মাসিক বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তখন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন–ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

এ দিকে, মধ্যস্তরের চিকিৎসকদের দিয়ে পালাক্রমে সেবা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কারণে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ রংপুরের আহ্বায়ক চিকিৎসক রানা জানান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসক সুরক্ষা আইন ও চিকিৎসকদের কর্মস্থল নিরাপদের দাবিতে পরিচালককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি।

এদিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান ওয়ার্ডে কর্তব্যরত অবস্থায় বলেন, ইন্টার্নিদের অনুপস্থিতিতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে আমাদের বিভাগের মিড-লেভেল (মধ্যস্তর) চিকিৎসক বেশি। সেবার ত্রুটি করা হচ্ছে না।

;

বরিশাল এবায়দুল্লাহ জামে মসজিদে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল সদরে চকবাজার এলাকায় এবায়দুল্লাহ জামে মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এর দুর্ঘটনা ঘটে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশের একাধিক টিম ও স্থানীয় সাধারণ জনগণ কাজ করছে।

বিস্তারিত আসছে.....

;

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশু অপহরণের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর একটি অপহরণ চক্রকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রমনা বিভাগ।

ডিবি বলছে, অপহরণকারীরা নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে চাহিদা মতো অর্ডার নিয়ে এরপর মাঠে নামত। পরবর্তীতে চাহিদা মতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিত। সম্প্রতি একই কায়দায় রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় নিয়ে বিক্রি করে দেয় চক্রটি। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারকৃতরা হলো- অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২), তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) ও ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।

ঘটনার বিষয়ে হারুন বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ থানার নিউ মডেল টাউন এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশা চালক নুরল দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। গত ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ৬ বছর বয়সী মেয়ে তাবাস্‌সুম ও ছেলে তাওসীন খেলতে যায়। এই সময়ে শিশুদের নারী তাদের সঙ্গে ছিল। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পড়া নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানির সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এর কিছু সময় তাদের নানি বাচ্চাদেরকে বাসার সামনে রেখে বাসায় চলে যায়। এ সুযোগে বোরকা নারী শিশুদেরকে ইশারা দিয়ে ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেয়। চিপস নিয়ে তাবাচ্চুম বাসায় ফিরে গেলেও মিশু তাহসিনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে ওই নারী তাহসিনকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যায়।


তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়া তদন্তে নেমে অপহরণ চক্রটিকে শনাক্ত করেন ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের সদস্যরা। পরবর্তীতে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ফজলে এলাহীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার লালমাই থানার বড়তোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ৫০ হাজার টাকায় শিশুটিকে সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে কিনে নেন। এরপর আগে এই দম্পতির কাছে তার জন্য একটি ছেলে শিশুর অর্ডার দিয়েছিলেন।

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে চাহিদা মতো শিশু চুরি করে বিক্রি করতেন। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোকরা পড়ে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে শিশুদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল।

নিঃসন্তান সম্পত্তির উদ্দেশ্যে হারুন বলেন, যাদের সন্তান নেই বা হয় না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা সঠিক পদ্ধতিতে শিশু দত্তক নিন। কারো কোলের শিশু চুরে করে বা অপহরণ করে নিয়ে আপনাদের কাছে দিলো আপনারা শিশুটিকে রাখলেন এটা অপরাধ। আর এমন অপরাধে আপনারাও একই মামলার আসামি হবেন। পাশাপাশি সন্তানদের পিতামাতাকে বলবো আপনার বাচ্চা বাসার বাইরে গেলে তাদের সঙ্গে পরিবারের বড় সদস্যরা থাকবেন। না হলে এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে।

;