সাংবাদিক ফরহাদ দম্পতি হত্যায় হাইকোর্টে দু’জনের যাবজ্জীবন
সাংবাদিক ফরহাদ খান ও স্ত্রী রাহিমা খানম হত্যা মামলায় ২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আসামিরা হচ্ছেন সাংবাদিক ফরহাদের ভাগ্নে নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজু আহমেদ ওসান।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মবিনের হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১২ সালের ১১ অক্টোবর ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক এবিএম সাজেদুর রহমান দুই খুনের জন্য দু’জনকে আলাদা আলাদাভাবে দুইবার ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
হাইকোর্টে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামা রুবেল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান।
আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী, আব্দুর মতিন খসরু এমপি, আহছান উল্লাহ ও সুব্রত সাহা।
আসামি নাজিমুজ্জামান ইয়নের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলার আলোয়া গ্রামে। তার পিতার নাম আনিসুজ্জামান। আসামি ওসানের বাড়ি ঢাকার সাভার থানার কাউন্দিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম শামসুল হক।
২০১২ সালের ২ জানুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের মাতুব্বর সাংবাদিক ফরহাদ খানের ভাগ্নে নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজু আহমেদ ওসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন।
সাংবাদিক ফরহাদ দম্পতির হত্যাকাণ্ডের পরপরই মামলাটির তদন্ত শুরু করেন পল্টন থানা পুলিশের এসআই জিল্লুর রহমান। কিন্তু বিষয়টি চাঞ্চল্যকর বিধায় এর তদন্তের ভার দেওয়া হয় ডিবি পুলিশকে।
২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর ৭৭, নয়াপল্টনের বাসার ২য় তলার বেডরুম থেকে সাংবাদিক ফরহাদ খান ও তার স্ত্রী রাহিমা খানমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফরহাদ খান দৈনিক জনতার জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের দিনই ফরহাদ খানের ছোট ভাই আব্দুস সামাদ খান বাদি হয়ে আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।