শীতের আগেই লক্ষ্মীপুরে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান
শীতে থর থর কাঁপুনিতে বেশ মজাদায়ক খাবার গরম গরম পিঠাফুলি। এ জন্যই শীতের সকাল কিংবা রাতে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে পিঠাফুলির ধুম উঠে। তৈরি হয় নানা রকম ও নানা নামের পিঠা। বেশ আনন্দ করেই পরিবারের সবাই পিঠা উৎসবে মেতে উঠেন।
পিঠা ছোট-বড় সবারই পছন্দের। এদিকে শীত আসলেই লক্ষ্মীপুরের হাট-বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান দেখা যায়। কিন্তু এবার শীত আসার আগেই দেখা মিলছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানের।
শরৎ কাল এখনো শেষ হয়নি, শীতও আসেনি। তবে কুয়াশা ভেজা ঘাস, গাছ-গাছালি, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মিলছে শীতের আবাস। খুব শীঘ্রই শীতের চাদরে ঢাকবে প্রকৃতি ও পরিবেশ। শীতের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতেই যেন দোকান নিয়ে বসেছেন লক্ষ্মীপুরের পিঠার দোকানিরা।
শীতের সকালে কিংবা রাতে গরম গরম চিতই কিংবা ভাপা পিঠা দেখলেই ছোট-বড় সবার জিবে জল এসে যায়। কাঁচা মরিচ কিংবা সরিষা বাটা দিয়ে পিঠাগুলো আরো মজাদার হয়ে উঠে। তবে সন্ধ্যা কিংবা রাতে হাট-বাজারে বন্ধুদের সঙ্গে এসব পিঠা খেলে অন্যরকম এক অনুভূতির জন্ম দেয়।
শীত আসলেই লক্ষ্মীপুরের হাট-বাজারগুলোতে বিভিন্ন পিঠার দোকান নিয়ে বসেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। গরম গরম পিঠা খেতে এসব দোকানের চারপাশে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। তাৎক্ষণিক মুখরোচক পিঠা তৈরি করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেন দোকানিরা।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের বাগবাড়ি এলাকায় দেখা যায়, সদর উপজেলার রাজীবপুর গ্রামের শহীদ মিয়ার ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। ছেলেকে নিয়ে রাস্তার মোড়ে ভ্যানে করে পিঠা বিক্রি করছেন। তখনও ৩-৪ জন ক্রেতাকে পিঠা খেতে দেখা গেছে। তার ছেলে ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র, শখের বসে পিঠা বিক্রি করতে এসেছে।
ভ্যানে গ্যাস সিলিন্ডার সংযোগের দুটি চুলা দেখা যায়। এর একটিতে ভাপা ও অন্যটিতে চিতই পিঠা তাৎক্ষণিক তৈরি করে বিক্রি করছেন শহীদ মিয়া। পিঠা তৈরির চালের গুড়ি, মরিচ ও সরিষা বাটা বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছেন। পাঁচ ও ১০ টাকা দামে তিনি পিঠাগুলো বিক্রি করছেন।
শহীদ মিয়া জানান, পেশায় তিনি একজন রিকশা চালক। গত ২-৩ বছর ধরে শীতের মৌসুমে তিনি পিঠা বিক্রি করেন। এতে তার বাড়তি আয় হয়। এবার ৩-৪ দিন হয়েছে ব্যবসাটি শুরু করেছেন। আছরের পর থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত তিনি পিঠা বিক্রি করে থাকেন।