জাতীয় ঈদগাহে আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা অনুষ্ঠিত
ভক্তদের ভিড়ের মধ্যে আইয়ুব বাচ্চুর লাশ নিয়ে আসা হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এখানে জুমার নামাজ শেষে দুপুর ২টায় তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের খতিব আবু সালেহ সাইফুল্লাহ।
জানাজায় তার হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগীর সমাবেশ ঘটে। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় দু:খভারাক্রান্ত তার সহশিল্পীদের শান্তনা দেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর। মাইকে কথা বলেন আইয়ুব বাচ্চুর ছোট ভাই। তিনি বলেন, গানে উনার গল্প থাকতো। কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। পরিবারের বাবা মায়ের প্রতি তার শ্রদ্ধা ছিলো অনেক।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২টার পযর্ন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার প্রতি সর্বস্তরের মানুষ জানায় ।
ঈদগাহে জানাজার নামাজ শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মগবাজারে তাঁর নিজের স্টুডিও এবি কিচেনে। বিকেলে আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় জানাজা হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে।
দ্বিতীয় জানাজা শেষে এই শিল্পীর মরদেহ ফের স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।
অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব ও ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তাঁরা এলে চট্টগ্রামে শনিবার মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু।
১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাত্র ৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু মারা যান। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারবাদক, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের এনায়েতবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ ইসহাক ও মা নূরজাহান বেগম। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে তাঁর পথচলা শুরু। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছিলেন সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট।
আইয়ুব বাচ্চুর অ্যালবাম এলআরবি বাজারে আসে ১৯৯২ সালে। এলআরবিই দেশের প্রথম ডাবল ও আনপ্লাগড অ্যালবাম প্রকাশ করে। সুখ, তবুও, ঘুমন্ত শহরে, ফেরারি মন, আমাদের বিস্ময়, মন চাইলে মন পাবে, অচেনা জীবন, মনে আছে নাকি নাই, স্পর্শ, যুদ্ধ এলআরবির জনপ্রিয় অ্যালবাম।