হলমার্কের ছয় মামলায় এজাজ আহম্মেদকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
দেশের বৃহত্তম ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় হলমার্কের বিরুদ্ধে দুদকের করা দুর্নীতির ৬ মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) এজাজ আহম্মেদের জামিন বাতিল করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃ্ত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এজাজের জামিন বাতিল করে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করে অ্যাডভোকেট তৌসিফ হাসান। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে এজাজ আহম্মেদকে ছয় মামলায় জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।
দেশেরে বৃহত্তম ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর হোসেন ও চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করে দুদক।
আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিক তানভীর মাহমুদ, তানভীরের স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, জামাল উদ্দিন, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম মীর মহিদুর রহমান, দুই উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত), মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ (সাময়িক বরখাস্ত), হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. আব্দুল বাছির, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদ, সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।
কারাগারে মারা গেছেন সোনালী ব্যাংক হোটেল রূপসী বাংলা শাখার ব্যবস্থাপক একেএম আজিজুর রহমান।
২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় তানভীর মাহমুদসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করে দুদক। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।