‘দুনিয়াতে এখনো ভালো মানুষ আছে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিপন চন্দ্র রায় একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। ছবি: বার্তা২৪.কম

রিপন চন্দ্র রায় একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রিপন চন্দ্র রায়। একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার থুমনিয়া কামারপাড়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা মায়ের ৩ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে রিপন। তার বাবা ভবেশ চন্দ্র রায় একজন মুদি দোকানদার। অর্থের অভাবে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।

কিন্তু দরিদ্র হলেও থেমে ছিল না রিপনের পড়াশোনা ও মেডিকেল কলেজে পড়ার স্বপ্ন। অনেক কষ্টের মধ্যেও নিজের পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন । রিপনের স্বপ্ন, তিনি ভালো একটি মেডিকেল কলেজে পড়বেন এবং বড় একজন ডাক্তার হবেন।

২০১৫ সালে জননন্দা এস.সি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন রিপন। এরপরে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ৪.৯০ জিপিএ পেয়ে আবারো বাবা মায়ের মন জয় করেন তিনি। এরপর থেকে তার ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে।

চলতি বছরের ৫ অক্টোবর যশোর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন রিপন। এর দুইদিন পর ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান। তবে মেডিকেলে ভর্তিসহ পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে শঙ্কা দেখা দেয়।

কিন্তু বুধবার (২৪ অক্টোবর) ‘রুরাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস (আরডিএস) নামে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে রিপনের পড়াশোনার খরচ বহনের ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন- ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. একেএম কামরুজ্জামান সেলিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

এ সময় আরডিএসের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর হোসেন ১০ হাজার টাকা তুলে দেন রিপন চন্দ্র রায়কে। আলমগীর হোসেন জানান, রিপনের মেডিকেলে পড়ার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবেন তারা।

রিপন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি একজন বড় চিকিৎসক হতে চাই। আমাকে সাহায্য করার জন্য আরডিএসকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে সাহায্য করে বুঝিয়ে দিল যে দুনিয়াতে এখনো অনেক ভালো মানুষ আছে।’

   

প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে রয়েছে নয়টি লোহার দানবাক্স। প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এতে মিললো রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট।

এমন একটি চিরকুট পাওয়া যায় গেল পাগলা মসজিদের দানবাক্সে। যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চিরকুট লিখেন।

চিরকুটে লেখা ছিল, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. পারভীন আক্তার ও আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন।

এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা, আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই। একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

;

বান্দরবানে কেএনএফ'র বিরুদ্ধে ১১ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিবাদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে কেএনএফ'র অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা। সশস্ত্র সংগঠনটির সাথে অপর ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জড়িত থাকার দাবিও অস্বীকার করেছেন তারা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেএসআই মিলনায়তনে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত সেই মতবিনিময় সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি খুশি রায় ত্রিপুরা, বম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি লালজারলম বম, এডভোকেট কাজী মহিতুল হোসেন যত্ন, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, ম্রো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাংলাই ম্রো, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনুসহ অনেকে।

মতবিনিময় সভায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ কেএনএফ সদস্যদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অনুরোধ জানান। সেই সাথে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে শান্তি কমিটির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারও অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দ।

এসময় প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের মদদ না দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানানো হয়।

বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

খেলাধুলা শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও দেশপ্রেম শেখায়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং দেশপ্রেম শেখায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে খেলাধুলার বিকাশে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যখনই ক্ষমতায় এসেছেন, শিশুদের খেলাধুলায় আরও উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং দেশপ্রেম শেখায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি চান ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে দেশকে পরিচিত করতে পারি। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত যে, আমাদের ছেলেরা তো বটেই, মেয়েরাও দেশের বাইরে গিয়ে পারদর্শিতা দেখাতে পারছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে যখন আমরা এই প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করলাম ছেলেদের এবং মেয়েদের। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে গিয়েও আমাদের ছেলে-মেয়েরা চমৎকার পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা সাফ ওমেন-২০২২ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ অর্জন করেছে। এটা আমাদের মেয়েরাই এই অর্জন এনে দিয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে, যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা শরীর চর্চা ওর সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এই সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।

;

খাতুনগঞ্জে বাজার মনিটরিং, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বৃহৎ ভোগ্য পণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসময় ক্রয়-বিক্রয়দের রশিদ সংরক্ষণ না করায় দুই ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম শামীমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় বিভিন্ন আড়তে মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হয়৷

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম শামীম বলেন, ঈদ পরবর্তী সময়ে পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলাপ্রশাসনের নিয়মিত কার্যক্রমে অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানে রশিদ ছাড়া পণ্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই কৃষি বিপনন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান দুটির মালিককে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং কোতোয়ালী থানার একটি পুলিশের একটি টিম সঙ্গে ছিলেন।

;