মৃত্যুর আগে ফেসবুকে কী লিখেছিল ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ?
মৃত্যুর ঘণ্টাখানেক আগেও প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেছিল সিলেটে নিজ দলের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে নিহত জাহিদ আল হাসান। ওই ছবির ক্যাপশনে সে লিখেছিল ‘মৃত্যু শেষ ঠিকানা’। তবে কী জাহিদ জানত আর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে সে?
নিহত জাহিদ নগরীর সীমান্তিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
জাহিদের বন্ধুরা জানায়, ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় তার ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের কয়েকজন। তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না সহপাঠী ও বন্ধুরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপশহর সরকারি তিব্বিয়া কলেজের সামনে নিজ দলের কর্মীরা ছুরিকাঘাত করে জাহিদকে। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন বিকেলে তিব্বিয়া কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক জাকারিয়া গ্রুপের জুনিয়র সদস্যদের সঙ্গে সংগঠনের সদস্য হুমায়ুন রশিদ সুমন গ্রুপের কর্মী জাহিদের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ ছেলেরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
এ ঘটনার পরপরই উপশহরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে জাহিদের অনুসারীরা। এতে কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
ভাঙচুরের চিত্র সংগ্রহ করতে গেলে এ সময় দৈনিক সিলেটের ডাকের স্টাফ ফটো সাংবাদিক জাবেদ আহমদ হামলার শিকার হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম জানান, ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। সহপাঠীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। হয়তো এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। জাহিদের লাশ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।