ইলিশে সয়লাব মোকামগুলো, দামেও সস্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইলিশে সয়লাব মোকামগুলো। ছবি: বার্তা২৪.কম

ইলিশে সয়লাব মোকামগুলো। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাগর ও নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। তাই মোকামগুলোতেও ছোট ও বড় ট্রলারে আসতে শুরু করেছে এই ইলিশ।

তাছাড়া ইলিশ মাছে এখন কানায় কানায় পূর্ণ পাইকারি বাজারের প্রতিটি আড়ত। এতে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে বরিশাল পোর্ট রোড মৎস অবতরণ কেন্দ্রে।

দীর্ঘ ২২ দিন পর ইলিশের আমদানির কারণে ব্যস্ততা বেড়েছে এখানকার মৎস শ্রমিক, আড়তদার এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে নগরীর পোর্ট রোডস্থ বরিশাল মৎস অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

পুরো মোকাম জুড়ে পাইকারি থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ী সবাই ব্যস্ত ইলিশ সংগ্রহে। গত ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর চাহিদার থেকে ইলিশের আমদানি বেশি হওয়ায় মাছের দামও ক্রেতাদের হাতের নাগালে রয়েছে বলে জানা গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/29/1540804799667.gif

এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে তিনগুণ। মাছের দাম সহজলভ্য হওয়ায় চাহিদার থেকে বেশি পরিমাণ কিনে নিয়ে যাচ্ছে তারা।

পাইকারি বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ আসায় ব্যস্ত সময় পার করছে এখানকার মৎস শ্রমিকরা। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল, ছোট ও বড় ট্রলার থেকে মাছ খালাসে ব্যস্ত তারা। এ যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।

এদিকে সাগর ও নদীতে ইলিশের প্রচুর আমদানি থাকায় পাইকারি এবং খুচরা বাজারে পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে মাছের দামও এখন সস্তা। এছাড়া বরফ কলের শ্রমিকরাও ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছে।

বরিশাল পোর্টরোডস্থ মৎস অবতরণ কেন্দ্রে রফিক নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘প্রায় ১ মাস আমাগো কোনো কাজ ছিল না। ২২ দিন পর মাছের আমদানি শুরু হয়ে গেছে। তাই আমদানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাগো কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে। শ্রমিকদের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।’

ভোলা জেলা থেকে আসা মো. আবদুল মাঝি জানান, আবার ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মাছের আমদানিও ভালো। কিন্তু প্রচুর মাছ আসায় দাম অনেকটা কমে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/29/1540804826161.gif

বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ইজারাদার ও মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত দাস জানান, নিষেধাজ্ঞার পর মাছের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দামও একটু কম রয়েছে। তাছাড়া সকাল থেকেই অর্ধশতাধিক ট্রলার মাছ বোঝাই করে এখানে এসেছে।

তিনি জানান, বর্তমানে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের মণ ১৬ হাজার টাকা। ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের মণ ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া এক কেজি সাইজের প্রতি মণ ইলিশ ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা মৎস কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। সোমবার (২৯ অক্টোবর) বরিশাল পোর্ট রোড মৎস অবতরণ কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। আর ইলিশের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

   

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;

ফেনীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ফুলগাজীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিনহাজ মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কমুয়া চৌধুরী বাড়ির আবদুল মতিন চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার ভাই ভাই অটো রাইস মিল সংলগ্ন একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনহাজের বাবা প্রবাসে থাকায় সে মায়ের সঙ্গে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বুধবার বাসার ছাদের রেলিংয়ে উঠে পাশের আরেকটি ভবনের রেলিংয়ে পা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত নিচে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি গেইট এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক মজুমদার টিপু বলেন, সকালে খেলতে গিয়ে মিনহাজ ছাদ থেকে পড়ে যায়। তার বাবা ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুবাই থেকে বাড়ি চলে এসেছেন। তিনি আসার পর উপজেলার পূর্ব দরবারপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মিনহাজকে দাফন করা হয়।

ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিচ্ছেন ৮০ বলী, লোকারণ্য লালদীঘি মাঠ 



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে শুরু হলো ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল চারটা ২৫ মিনিটে বলীখেলার ১১৫ তম আসর শুরু হলেও দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে লালদীঘি মাঠ।

এবারের বলীখেলায় অংশ নিতে অন্তত ১০০ জন বলী আসেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনকে নিবন্ধন করে আয়োজক কমিটি। প্রথম রাউন্ড শেষে চ্যালেঞ্জ রাউন্ড হয়। এরপরই হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।


যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। ১৯০৯ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একবছর বাদ দিলে প্রতিবছর এই মেলা হয়ে আসলেও করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। পরের বছরেও এই মেলা হয়নি একই কারণে। ২০২২ সালেও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলেছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সড়কের মাঝখানে অস্থায়ীভাবে রিং তৈরি করে আয়োজন করা হয় বলীখেলায়। গত বছর থেকে বলীখেলা ফিরেছে নিজের পুরনো ঠিকানা-লালদিঘী ময়দানে। এবারও সেখানেই হচ্ছে শতবর্ষী এই আসর।

বলীখেলাকে কেন্দ্র করে মাঠের আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে বৈশাখী মেলা।

;

বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাঁধবাজার থেকে মাদুলিয়া পর্যন্ত সড়কের ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বাতিল ও বিগত দিনে একই সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলেছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশ ২০২৩ সালে ঐ সড়কের ১০ হাজার গাছ কেটেছে বনবিভাগ। সম্প্রতি একই সড়কে আরো ৩ হাজার গাছ কেটেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় জনসাধারন ও পরিবেশবীদদের মতামত উপেক্ষা করে ঐ সড়কে আরো প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার জন্য নম্বরিং করেছে বনবিভাগ। এর চেয়ে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা। কিন্তু আমাদের আছে ৯ শতংশের কম। এভাবে বনাঞ্চাল নিধন করার কারণেই দেশ আজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন যে আজ অতিষ্ঠ, যথেষ্ট গাছপালা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যেত।

বিবৃতিতে বলেন, অন্যদিকে রাজধানীতে সড়ক ও ভবন তৈরীর জন্য ইতোমধ্যেই দেদারছে কেটে ফেলা হয়েছে হাজার গাছ। অপরিকল্পিত ও আত্মঘাতি এমন সিদ্ধান্তে রাজধানী বসবাসের অনুপযোগি হয়ে আছে। পরিবেশবীদদের মতে রাজধানীতে ২০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ শতাংশ। প্রয়োজন হলে গাছ না কেটেও সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করা সম্ভব। তাই কারনে-অকারনে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে।

আগে বন থেকে গাছ চুরি হতো, এখন বনে ডাকাতি শুরু হয়েছে। বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়। বনখেকো ও বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের মুখোমুখি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

;