মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হলে জেলে পরিবার পাবে এক লাখ



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
সাগরে বা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হলে প্রত্যেক জেলের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেবে সরকার। মৃত্যু ছাড়াও মাছ ধরতে যাওয়ার কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলেও ওই পরিমাণ অনুদান দেওয়া হবে প্রত্যেক পরিবারকে। এ জন্য ‘নিহত জেলে পরিবার বা স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেদের প্রণোদনা সহায়তা প্রদান নীতিমালা’ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, মৎস্য অধিদফতরের নিবন্ধিত ও পরিচয়পত্রধারী জেলে মাছ ধরার সময় ঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, জলদস্যুদের হামলা বা বাঘ, কুমির, সাপ ইত্যাদির কামড়ে বা মাছ ধরা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে নিহত হলে তার পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান বা অন্যান্য সহায়তার পরিমাণ হবে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা। এছাড়া স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেদের আর্থিক অনুদান বা অন্যান্য সহায়তার পরিমাণ হবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আগামী ১৫ এপ্রিল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নীতিমালাটি চূড়ান্ত হতে পারে বলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশে প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্য উপ-খাতের উপর নির্ভর। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, জেলেরা অত্যন্ত দরিদ্র। কিন্তু অনেক সময়ই তারা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে পড়ে জীবন হারায়, স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যায়। তাই জেলেরা নিহত কিংবা কাজ করার ক্ষমতা হারালে তাদের পরিবারকে অনুদান দেবে সরকার। এটা কিছুটা হলেও তার পরিবারের জন্য সহায়ক হবে। যদিও এর আগেও আমরা কিছু কিছু সহায়তা দিতাম। এখন সেটা একটা নিয়মের মধ্যে আসছে। আগামী ১৫ এপ্রিল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নীতিমালাটি চূড়ান্ত হবে বলেও আশা করেন তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আমিষের উৎস, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা তথ্য সার্বিক গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। দেশের মোট জিডিপির শতকরা ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মোট কৃষিজ জিডিপির শতকরা ২৪ দশমিক ৪১ ভাগ মৎস্য ভাত থেকে আসে। দেশের প্রায় এক কোটি ৮৫ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের উপর নির্ভরশীল। দেশের জেলে সম্প্রদায় সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণির সদস্য। মাছ ধরা ছাড়া তাদের জীবিকার বিকল্প কোন উৎস নেই। এমনকি মাছ ধরার জাল ও নৌকা কেনার সামর্থ্যও অনেকের নেই। তিনি আরও জানান, তারা অনেকটা দিনমজুর হিসেবে মহাজনের নৌকা ও জাল দিয়ে মাছ ধরে। যখন মাছ আহরণ বন্ধ থাকে তখন অর্ধাহারে অনাহারে তাদের জীবন চলে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে তাদের মাছ ধরতে যেতে হয়। এতে কখনও কখনও ঝড় বা দুর্ঘটনায় পড়ে তারা প্রাণও হারান। নীতিমালার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, মাছ ধরার জন্য তারা যে নৌযান ব্যবহার করেন, তাতে কোন আধুনিক জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম থাকে না। এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাসও তারা ঠিক মতো পান না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কখনও ৭ দিন বা কখনও ১৫ দিনের জন্য পরিবার ছেড়ে মাছ ধরতে যান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরার নৌকায় কখনও কখনও জলসদ্যুরা আক্রমণ করে মাছ নিয়ে যায়। এছাড়া অনেক জেলে মাছ ধরার সময় সাপ, কুমির বা বাঘের হামলায় মারা যান। প্রকৃতপক্ষে জেলে পরিবারগুলো আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নয়। জেলেরা যখন নদী মাছ ধরতে যায় তখন পরিবারের সদস্যরা কোন রকমে এক বেলা খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটায়। তাদর সঞ্চয় বলে কিছু থাকে না। পরিবারের একমাত্র রোজগারকারী সদস্যের মৃত্যু হলে পরিবারগুলো একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। এ জন্যই জেলে পরিবারকে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ‘জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১৬ লাখ ২০ হাজার জেলে নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলে নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া।  
   

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ‘নব্বই ডিগ্রি’ এলাকায় সাড়ে ৫ টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে গেলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থলেই ৬ শ্রমিক নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন ৮ জন। ট্রাকটিতে ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে করে শ্রমিক বহনকারী ট্রাকটি মূল স্টেশনে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। সাজেক থানায় ৫ জনের মরদেহ আছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ৪ জনের মরদেহসহ মোট ৯ জন নিহত হয়েছে এ দুর্ঘটনায়। হতাহতদের নাম ও পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান। 

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাগর দেব তপু জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন ৬ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। 

;

ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: ঘটনাস্থলে রেল ও মৎস্য মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন লাগার সহিংস ঘটনার সন্দেহে ১৮ এপ্রিল আপন দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। 

বুধবার রাত ৮ টার দিকে দুই মন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ধর্মতলা আদর্শ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। 

শান্তি ও সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম কোন মানুষ হত্যাকে সাপোর্ট করেনা। যারা মানুষ হত্যা করে তারা নিকৃষ্ঠ। পাশের ইউনিয়নে (ডুমাইন) মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সন্দেহে যে দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তা বর্বরচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে স্বীকৃত। একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানিয়ে দেশকে অস্থীতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তা কখনো হতে দেবনা। 

পঞ্চপল্লীর পাশের এলাকা সনাতন ধর্মাম্বলী অধ্যাষুত জঙ্গল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আপনাদের কোন ভয় নেই। আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রকারি রক্ষা পাবেনা। যারা প্রকৃত হত্যাকারি তাদের বিচার হবেই। আপনারা নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন। কোন গুজবে কান দেবেন না। যে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে জানাবেন। 

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন, জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু, সমাধীনগর আর্য সংঘ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারোদ বাছার প্রমুখ। শান্তি সমাবেশে প্রায় সহস্রাধিক সনাতন ধমাম্বলী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শান্তি ও সম্প্রতী সমাবেশ শেষে রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থল ডুমাইনের পঞ্চপল্লী পরিদর্শনে যান। সেখানে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দর রহমানও পরিদর্শনে আসেন। দুই মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির ও পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে দুই ভাইকে হত্যা করা হয় সেখানে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার দিন মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ যিনি জ্বালিয়েছিলেন সেই তপতী রাণীর সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান সাংবাকিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ যে পাহাড়া দিচ্ছে এটা কতদিন চলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বলেন, যতদিন এলাকা স্বাভাবিক হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে না করবে ততদিন পর্যন্ত পুলিশ পাহাড়া দিবে।

;

আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

;

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

;