পাবনা-৫: প্রিন্স-শিমুলই সম্ভাব্য প্রার্থী



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
পাবনা-৫ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

পাবনা-৫ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব স্থানে বইছে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উষ্ণ উত্তাপ। কে হচ্ছেন কোন দলের প্রার্থী এ নিয়ে চলছে আলোচনা। কাকেই বা দেয়া হচ্ছে দলীয় মনোনয়ন। সে আলোচনা থেমে নেই পাবনা-৫ (সদর) আসনেও। তবে জেলার অন্য আসনগুলোর মতো এই আসনের প্রার্থীদের তেমন নির্বাচন মুখী তৎপরতা নেই।

পাবনা-৫ সদর উপজেলা মোট ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ জেলার রাজনীতিতে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন। এই আসনটিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত তিন দলেরই রয়েছে ভালো ভোট ব্যাংক।

১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম বকুল ও বিএনপির অ্যাডভোকেট আবুল আহসানকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন জামায়াতের মাওলানা আব্দুস সোবহান। ১৯৯৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেন রফিকুল ইসলাম বকুল। পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এ কে খন্দকার ও জামায়াতের মাওলানা সোবহানকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির রফিকুল ইসলাম বকুল। ২০০০ সালের নির্বাচনে বিএনপির রফিকুল ইসলাম বকুল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সোবহানকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তিনি আওয়ামী লীগের ওয়াজি উদ্দিন খানকে হারিয়ে সাংসদ হন। ২০০৮ সালে মাওলানা আব্দুস সোবহানকে হারিয়ে চমক দেখান আওয়ামী লীগের সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা গোলাম ফারুক প্রিন্স। ২০১৪ সালে তিনি আবারো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন।

বকুলের মৃত্যুর পর এ পর্যন্ত প্রায় সকল নির্বাচনেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে জোটগত জামায়াত প্রার্থী আর আওয়ামী লীগের মধ্যে। এ আসন থেকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দী জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সোবহান নিজদল ও জোট থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে জামায়াত মনে করে এই আসনটি সারাদেশের মধ্যে তাদের অন্যতম দুর্গ। ফলে জোটগত হোক আর এককভাবে হোক, আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী আশা করেন তারা। মাওলানা সোবহান নির্বাচন করতে না পারলে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য ক্লিন ইমেজের কোনো নেতাকে প্রার্থী করতে চান তারা। তাদের দাবি গত উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইকবাল হুসাইন পরিচিতি পেয়েছে অনেক। তাকে প্রার্থী করার ব্যাপারে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর বাইরে নাম শোনা যাচ্ছে মাওলানা সোবহানের ছেলে নেছার আহমেদ নান্নুর।

এদিকে এ আসনে বিএনপির কোনো নেতা নিজেকে প্রার্থী হিসেবে এখনো ঘোষণা দেন নাই। তবে ২০ দলীয় জোটে ও এলাকার মানুষের মুখে মুখে রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের নাম। দলে প্রকাশ্যে কোনো কোন্দল না থাকায় এ আসনে মনোনয়ন নিয়ে দলীয় নেতাদের মধ্যে বিভেদ বা দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছে দলটির সিনিয়র নেতারা। দলের অনেক নেতাকর্মী ও জোটের কতিপয় নেতাকর্মীরা নিজেদের উদ্যোগে শিমুল বিশ্বাসের নাম ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।

বিএনপির একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা শোনা গেলেও সদর আসনে তেমন কারো নাম এখন পর্যন্ত মাঠে নেই। কোনো নেতাকর্মীর বিলবোর্ড বা পোস্টার এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, দলের জেলা নেতাকর্মীরা শিমুল বিশ্বাসের প্রার্থী হওয়ার কথা বললেও তিনি এখন পর্যন্ত কিছুই পরিষ্কার করে বলেননি। তার কোনো পোস্টার বা ব্যানার কিছুই নেই। তিনি আদৌ প্রার্থী হবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি নিজে কিছু না বলা পর্যন্ত প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া সম্ভব নয়।

তবে একটি সূত্র জানায়, শিমুল বিশ্বাস প্রার্থী না হয়ে তার নিজের পছন্দসই কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার চেষ্টা করবেন।

এদিকে জেলা কাউন্সিল হওয়ার পর থেকে সদর আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক শক্ত হয়ে গেছে। বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন এটা নিশ্চিত। দলে প্রকাশ্যে কোনো দলাদলি নেই। দলটির সিনিয়র নেতারা মনে করেন দলাদলি বা কোন্দল না থাকায় এই আসনে মনোনয়ন নিয়ে দলীয় নেতাদের মধ্যে বিভেদ বা দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের মনোনয়ন প্রাপ্তিকে একরকম নিশ্চিতই ধরে রেখেছেন তারা।

অপরদিকে জামায়াতের ভোট ব্যাংক বেশ ভালো বলে সদর আসনে প্রার্থী থাকার সম্ভাবনাও বেশি। যদি জোটগতভাবে না হয়, তাহলে জামায়াত তাদের দলীয় প্রার্থী দেবে। সেক্ষেত্রে জেলা জামায়াত নেতা পাবনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হুসাইনের জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরেও মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের খান কদর। তিনিও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টার লাগিয়েছেন।

এছাড়াও জেলা জাসদের সভাপতি আমিরুল ইসলাম রাঙা, ওয়ার্কার্সপার্টির সভাপতি কমরেড জাকির হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে মাওলানা মুহাম্মদ আরিফ বিল্লাহের নাম শোনা যাচ্ছে।

   

মেঘনায় লঞ্চে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৩ নামে একটি লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় চালক কৌশলে লঞ্চটি একটি চরে ভেড়ালে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় শত শত যাত্রী। তাদের একটি চরে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই আগুনে কোনো প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও ‍চরম দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

লঞ্চের যাত্রীরা জানান, ভোলার ইলিশাঘাট থেকে প্রায় ৯০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুই ঘণ্টা চলার পর হঠাৎ মধ্য মেঘনায় ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীরা আতঙ্কে লঞ্চের ভেতর ছোটাছুটি ও চিৎকার করতে থাকে।

তারা জানান, লঞ্চ স্টাফরা নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে চালক লঞ্চটি কোনো মতে চাঁদপুর এলাকায় একটি চরের কাছে নিয়ে গেলে যাত্রীরা নদীতে লাফিয়ে পড়ে তীরে আশ্রয় নেয়। এসময় শত শত যাত্রীদের পানিতে ভিজে, রোদে পুড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা চরম বিপাকে পড়েন। 

কর্ণফুলী লঞ্চের ভোলা অফিসের কর্মকর্তা লিটন জানান, আগুন নেভানো হয়েছে। যাত্রীদের চাঁদপুরে হরিনা এলাকা থেকে অন্য লঞ্চে করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। 

;

মোটরসাইকেল সড়কের বড় উপদ্রব: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইদানিংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এটা (মোটরসাইকেল) এখন সড়কের বড় উপদ্রব।

তিনি বলেন, সড়কের জন্য এখন কোনো দুর্ঘটনা হচ্ছে এমন দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এবছর ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইদানিংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এটা এখন সড়কের বড় উপদ্রব। এখন সড়কের জন্য কোন এক্সিডেন্ট হচ্ছে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে। এখানে সমন্বয়ের সমস্যা আছে। বিভিন্ন রকমের স্টেক হোল্ডার আছে। এদের সকলের সমন্বয়টা জরুরি।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেশী দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সৌদি আরবে, আমেরিকায় আমাদের চেয়েও বড় বড় দুর্ঘটনা হয়, সেটা নিয়ে সেখানে কোন উচ্চবাচ্চ হয় না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক সঙ্গে অনেক হতাহত হয়। এরকম দুর্ঘটনা আকাঙ্ক্ষিত নয়। আমরাও চাই না কিন্তু আমাদের এখানে কিছু সমস্যা আছে। সমন্বয়ের অভাব আছে সেটা আমরা মনিটর করছি। আজকে রাস্তা ভাল হয়েছে, সেখানে একটা স্পিড আছে, স্পিডটা সবাই যদি মেনে চলতো তাহলে হয়তো এমনটি হতো না।

বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আমাদের এখনো হয়নি। তবে জনগণের কাছে আমরা বিএনপির সন্ত্রাসী রাজনীতির ব্যাপারে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিতে পারি। তাদেরকে জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন, আরও অপ্রাসঙ্গিক করার বিষয়ে প্রয়াস আমরা চালাতে পারি। কারণ বিএনপি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেওয়ার মতো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপিকে কানাডার ফেডারেল আদালত পর্যন্ত সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আসলে বিএনপি কোন রাজনৈতিক দলের কোন বৈশিষ্ট্য এখন প্রকাশ করে না। তাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসীদের মতো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ সাবেক চেয়ারম্যান আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অস্ত্র ও গুলিসহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাদিমপুর স্কুলমাঠ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত সোহেল রানা বিশ্বাস (৪৭) বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে বহলবাড়ীয়া এলাকায় মাদক অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় খাদিমপুর স্কুলমাঠ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ সোহেল রানাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে, সোহেল রানা বর্তমানে যুবলীগের কোনো দায়িত্বে নেই বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক স্বপন। তিনি বলেন, ‘সোহেল রানা বর্তমান কমিটির কেউ নন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।’

;

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা: পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পারিবারিক কলহের জের ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক গৃহবধূ স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গৃহবধূ ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোররাতে কলারোয়ার পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আজহারুল ইসলাম উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আজহারুল ইসলামের দুই স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ঝর্না খাতুন। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে গত কয়েকদিন দিনে ধরে স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনের সঙ্গে আজহারুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলছিল। তার জের ধরে শনিবার রাতে আজহারুল ইসলামকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান ঝর্না খাতুন। পরে ঘুমন্ত স্বামী আজহারুল ইসলামের হাত-পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি। এ সময় ঝর্না খাতুনও ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ভোররাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্টার ডা. মানস কুমার জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই ঝর্না খাতুনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;