নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ পুলিশ, সেল ও কমিটি গঠন



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে চলছে নির্বাচনী আমেজ। নির্বাচনের এই উৎসব মুখর আমেজ শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয় রয়েছে বিভিন্ন মহলে।

যদিও সরকারি দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে বার বার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন হবে সুষ্ঠু। তবে ক্ষমতাসীনদের আশ্বাসের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছেনা বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। তারা বরাবরের মতো নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ করে আসছে।

ইতিমধ্যে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এছাড়া ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ইসিতে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের পরিবেশকে সুষ্ঠু রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোন কর্মকাণ্ডই সংগঠিত হতে তারা দেবে না বলে বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত  করেছে পুলিশ। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সমন্বয় কমিটি ও সেল গঠন করেছে পুলিশ।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক সভায় ৬ ও ৮ সদস্যের পৃথক কমিটি ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এলাকা ভিত্তিক সেলের কার্যক্রম ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

কার্যক্রমগুলো হল- নির্বাচন কমিশনের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালন। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান। শান্তিপূর্ণ সুশৃংখলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনানুগ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিকভাবে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাকর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান।

বিভিন্ন সংস্থা (নির্বাচন কমিশন, সিভিল প্রশাসন, নির্বাচন অফিস, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার) ইত্যাদির সঙ্গে সমন্বয় সাধন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে সম্পৃক্ত সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষেত্রে আইনানুগ বিধি-বিধান প্রতিপালন পেশাদারিত্ব ও যথাযথ সর্তকতা অবলম্বন এবং যথাসম্ভব দলবদ্ধভাবে অবস্থান করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত নির্বাচন সংস্কার সংক্রান্ত তথ্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ইউটিউব, ব্লগ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট মন্তব্য বা ছবি আপলোডকরণ মনিটরিং ও বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট অপসারণে সংশ্লিষ্ট পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান।

গার্মেন্টস শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, ছাত্র সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব সহকারে মোকাবেলার ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদান এবং নজরদারি বৃদ্ধি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা প্রদান। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনানুগ পদ্ধতিতে সমাধানের গ্রহণের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান।

পুলিশ সদস্যদের আচরণ কর্মকাণ্ড মনিটরিং করা যাতে সামগ্রিকভাবে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত থাকে।

নির্বাচন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ অন্যান্য রায়ট সামগ্রী স্টক যাচাই এবং প্রয়োজনে চাহিদাকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সমন্বয় সাধন।

সহিংসতা নৈরাজ্য অপতৎপরতার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর নগর বিশেষ শাখা/জেলা বিশেষ শাখার নজরদারি বৃদ্ধি করাসহ আগাম তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদার করণের লক্ষ্যে পরামর্শ প্রদান করা।

সূত্র মতে, এই পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধান হলেন, পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী ও সেলের প্রধান এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

কমিটির সহ-সভাপতি হলেন অতিরিক্ত আইজিপি (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশনস) মোখলেসুর রহমান ও সদস্য সচিব ডিআইজি (অপারেশনস) আনোয়ার হোসেন।

এছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত আইজিপি (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি (টিঅ্যান্ডআইএম) ইকবাল বাহার ও এআইজি (অপারেশনস) সৈয়দ তরিকুল হাসান।

এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশও জারি করা হয়েছে। অফিস আদেশে গঠিত সেল সদস্যদের দেশের পৃথক পৃথক এলাকার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, র্যাব মহাপরিচালক ( ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম রাজশাহী মেট্রোপলিটন, রংপুর মেট্রোপলিটন, রাজশাহী রেঞ্জ ও রংপুর রেঞ্জে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন, ঢাকা রেঞ্জ ও ময়মনসিংহ রেঞ্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ও কাউন্টার টেররিজমের স্পেশাল অ্যাকশন ইউনিটের উপ-কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে।

খুলনা মেট্রোপলিটন, বরিশাল মেট্রোপলিটন, খুলনা রেঞ্জ ও বরিশাল রেঞ্জের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামকে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন, সিলেট মেট্রোপলিটন, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ও সিলেট রেঞ্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতি নির্বাচনের আগেই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশ সদর দফতর থেকে এমন একটি মনিটরিং কমিটি ও সেল গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশকে সুষ্ঠু রাখতে গৃহিত সকল পদক্ষেপ এ কমিটি ও সেলের মাধ্যমে সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে।

 

   

গরমে স্বস্তি আনে নরসিংদীর বাঙ্গি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মকালের এমন তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড রোদের কারণে অস্থির মানুষজন। কাজকর্মে নেমে এসেছে অসহনীয় অবস্থা। এই অবস্থায় ঠান্ডা জাতীয় খাওয়ার পাশাপাশি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগণ। বেশি করে ফলমূল ও পানি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলমূলের মধ্যে, ডাব, শসা, পেপে, বাঙ্গি আনারস ইত্যাদি। এই অবস্থায় জেলার চরাঞ্চলের মিষ্টি মধুর বাঙ্গির কদর বেড়েছে কয়েকগুন। এর ফলে একদিকে বেড়েছে বাঙ্গির উৎপাদন, অপরদিকে বেড়েছে মৌসুমি শ্রমিকের কর্মসংস্থান। আর এই নরসিংদীর সাগরকলা, লটকটন, বোম্বাই লেবুর পর এবার বাঙ্গি দিয়ে পরিচিত হচ্ছে নরসিংদী। মূলত মৌসুমি ফল হিসেবে নরসিংদীতে চাষাবাদ হয়ে থাকে এই বাঙ্গি।

গ্রীষ্মের অন্যতম ফল বাঙ্গি গ্রীষ্ম আসার আগেই নরসিংদীর চরাঞ্চলের মাঠে বেড়ে উঠে। ইতিমধ্যে বাঙ্গি চাষে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠছে নরসিংদীর রায়পুরা ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল। এ অঞ্চলের বাঙ্গি আকারে বড়, দেখতে সুন্দর ও সুস্বাদু হওয়ায় রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প শ্রম ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাঙ্গির চাষ। ফলে এ অঞ্চলে সৃষ্টি হচ্ছে মৌসুমি কর্মসংস্থানের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত বাঁশগাড়ি, শ্রীনগর, চরমধূয়া ও মির্জাচর ইউনিয়নের সর্বত্র বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে। তুলনামূলকভাবে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নেই সবচেয়ে বেশি বাঙ্গির আবাদ হয়ে আসছে। গত মৌসুমে রায়পুরার চরাঞ্চলে প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষাবাদ হয়েছে। যা আগের বছর হয়েছিল ৪০ হেক্টর জমিতে। এ বছর বাঙ্গি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন।

বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যনগর ও চান্দেরকান্দি গ্রামের কৃষকরা তাদের জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাঙ্গি চাষ করে। শুধু মধ্যনগর বা চান্দেরকান্দি নয় আশপাশের বেশ কয়েকটি চরে বাঙ্গির আবাদ হচ্ছে। এই সকল চরের উৎপাদিত বাঙ্গির আকার বড় ও হলদে রঙের উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

বাঁশগাড়ি ও শ্রীনগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে পলি দ্বারা বিস্তৃত চর। বিস্তৃর্ণ পূর্ব পুরুষদের অনুকরণে চরে ধান জাতীয় ফসলের পাশাপাশি বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। মাটির উপর ছড়িয়ে রয়েছে বাঙ্গিগাছের সবুজ লতা। লতার ফাঁকে ফাঁকে কাঁচা-পাকা বাঙ্গি শোভা পাচ্ছে। জমি থেকেই বাঙ্গি কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারগণ জমিতে ছুটে আসেন। জমিতেই পাইকারগণ দরদাম  করে নিয়ে যাচ্ছেন যার যার মতো।

বাঙ্গি চাষীরা জানান, আগে নিজেরা খাওয়ার জন্য অল্প জমিতে বাঙ্গিচাষ করা হতো। পরবর্তীতে এটি লাভ জনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। ফলে বর্তমানে চরের অর্ধেক জমিতেই বাঙ্গি চাষ হয়ে থাকে।

কৃষকরা আরো জানান, বাঙ্গি চাষ করতে তেমন খরচ লাগে না। রসুন ও বাঙ্গি দুই ফসল একবারে যায়। রসুনের জন্য সার দেয়ায় বাঙ্গির জন্য আলাদা করে সার লাগেনা। বীজ ও ঔষুধে এবছর দুই বিঘা জমিতে মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করা যায় আড়াই লাখেরও বেশি টাকা বিক্রি করা সম্ভব।

বাঙ্গি চাষ শুধু কৃষকদের সমৃদ্ধিই বয়ে আনেনা, সৃষ্টি হয়েছে মৌসুমী কর্মসংস্থানের। মৌসুমি শ্রমিকরা জমি থেকে বাঙ্গি ঝুঁড়িতে তুলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নৌকা কিংবা ভ্যানে ভর্তি করে থাকেন। এতে পুরো চরে চোখে পড়ে কৃষক-শ্রমিকের কর্মচঞ্চলতা।

মৌসুমি শ্রমিকরা জানান, বাঙ্গির পুরা মৌসুমে এই গ্রামের কেউ বসে থাকেননা। সকলেই কিছু না কিছু কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জমি থেকে প্রতিটি বাঙ্গি ঘাটে নৌকায় বা ভ্যানে বোঝাই করে দিলে ৫ টাকা পান। এতে প্রতিদিন গড়ে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার করা সম্ভব হয়। আকারভেদে পাইকারী হিসেবে একশ বাঙ্গি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এই এলাকার বাঙ্গি দেখতে সুন্দর, মিষ্টি ও ভালো মানের হওয়ায় ব্রাহ্মনবাড়িয়া, বাঞ্ছারামপুর, যাত্রাবাড়ি, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট,নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।  

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, চরাঞ্চলখ্যাত রায়পুরায় বাঙ্গি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাঙ্গি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মাঠ পরিদর্শনসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কৃষকরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বীজ কৃষকরা ব্যবহার করছেন। বাঙ্গি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি বিভাগের।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পর ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁও শহরের মাদ্রাসা পাড়া থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর বাড়ির পাশের গলি থেকে নিবির (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের গলিতে ছেলের অর্ধগলিত মরদেহটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন নিবিরের মা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিবির ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাসা পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলুর ছেলে। সে সালান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- একই এলাকার শিপন আলীর ছেলে আলিফ ও ফজর আলীর ছেলে লিখন।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি নিবির। এ নিয়ে সদর থানায় জিডি, মাইকিং ও ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রচার করা হলেও সন্ধান মেলেনি তার।

বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্য রাতে (শনিবার, ২০ এপ্রিল) বাড়ির জানালায় বিকট শব্দ করে দুর্বৃত্তরা। ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বাইরে আসেননি। তবে সকালে বাড়ির পাশের গলিতে নিবিরের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন নিবিরের মা। এরপর পরিবারের সবাই সেখানে হাজির হয়। পরে থানায় জানানো হয়।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

;

হাতিরঝিল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা থানার হাতিরঝিল অংশের পুলিশ প্লাজার পেছনের ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতের নাম- মো. রবিন (২৯)। পিতা আব্দুল সাত্তার। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়।

এর আগে, শনিবার সকাল বেলা ব্রিজ ধরে যাওয়ার পথে মরদেহ ভাসতে দেখে পথচারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থল বাড্ডা থানাধীন হওয়ায় পরে বাড্ডা থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন গাজী।

তিনি বলেন, হাতিরঝিল থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি পুলিশ প্লাজার পেছনে ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। পরে বাড্ডা থানার একটি টিম গিয়ে উদ্ধার করে মরদেহটি।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পুলিশ কাজ করছে। তবে তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

;

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে মনিরুজ্জামান বাচ্চু (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।

তিনি গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কাশেম গাজীর ছেলে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সাথে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যান। সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই  মধ্যে বনবিভাগের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।



;