ময়মনসিংহের ১১ আসনে ২৩ প্রার্থীকে বিএনপির চিঠি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ময়মনসিংহের ১১ আসনে ২৩ প্রার্থীকে বিএনপির চিঠি, ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ১১ আসনে ২৩ প্রার্থীকে বিএনপির চিঠি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে ২৩ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছে বিএনপি। চিঠিপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরনো মুখের সঙ্গে রয়েছে নতুন মুখ।

এ তালিকায় শুধুমাত্র ময়মনসিংহ-১১ আসন ব্যতিত বাকি সব আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে। এসব আসনে শেষ পর্যন্ত কারা হচ্ছেন ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থী- এমন প্রশ্ন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের।

মনোনয়নের চিঠিপ্রাপ্তরা হলেন, ময়মনসিংহ-১ আসনে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আলী আজগর, আফজাল এইচ খান ও সালমান ওমর রুবেল।

ময়মনসিংহ-২ আসনে শাহ শহীদ সারোয়ার ও আবুল বাশার আকন্দ। ময়মনসিংহ-৩ আসনে ডা. আব্দুস সেলিম ও আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ।

ময়মনসিংহ-৪ আসনে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। ময়মনসিংহ-৫ আসনে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও জাকির হোসেন বাবলু।

ময়মনসিংহ-৬ আসনে ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমেদ ও আখতারুল আলম ফারুক। ময়মনসিংহ-৭ আসনে ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন ও আমিন সরকার। ময়মনসিংহ-৮ আসনে শাহ নূরুল কবির শাহীন ও লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু।

ময়মনসিংহ-৯ আসনে খুররম খান চৌধুরী ও ইয়াসের খান চৌধুরী। ময়মনসিংহ-১০ আসনে এবি সিদ্দিকুর রহমান ও আখতারুজ্জামান বাচ্চু এবং ময়মনসিংহ-১১ আসনে ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু।

   

রাঙামাটিতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যরাতের ঝড় বৃষ্টিতে মুহুর্মুহু বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রাঙামাটির বরকলে জটিলা চাকমা (৫৮) নামের এক গৃহবধু নিহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় বরকল উপজেলাধীন ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভুধছড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামী প্রমোদ কানু চাকমা জানান, রাতে হঠাৎ বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। 

এসময় আমি খাটের ওপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর আমার স্ত্রীও তার মেয়ে ও নাতনি সহ মাটিতে বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ আচমকা বাড়ির ছাদে বজ্রপাত হলে আমার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার গুরুতর অবস্থা দেখে নিকটস্থ বরকল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে তার ছোট মেয়ে ও নাতনিসহ ঘুমাতে বিছানায় শুয়ে পড়েন। এই সময় হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। তবে সাথে থাকা তার ছোট মেয়ে ও নাতনি কাকতাঁলীয়ভাবে প্রাণে বেঁচে যান।

;

গাইবান্ধায় গরু চুরি মামলার আসামির হাতে বাদী খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরি মামলার আসামির ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন ওই মামলার বাদী রাহিদুল ইসলাম বাবু (৩২) নামে এক যুবক। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এরআগে একইদিন রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি।

নিহত রাহিদুল ওই ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, চলতি বছরের একটি গরু চুরি মামলার বাদী ছিলেন নিহত রাহিদুল ইসলাম। আর ওই মামলর আসামি ছিলেন খলিলসহ অন্যরা।

সেই মামলার জেরে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় একই মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাহিদুলের উপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা রাহিদুলের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে (রাহিদুলকে) চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে আসামিরাই রাহিদুলকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। চুরি মামলার মূল আসামি ও ঘটনার সাথে জড়িত খলিলসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

;

দক্ষিণের সড়কে বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল, চালকদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়কে মৃত্যুর মিছিল যেনো থামছেই না বরং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির সংখ্যা। সরু রাস্তা ও চালকদের অদক্ষতার কারণে নিয়মিত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

ঈদের দু'দিন আগে থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত বরিশালের ঝালকাঠির গাবখান ব্রীজের টোলঘরের দুর্ঘটনাসহ সারাদেশে শতাধিক প্রাণ ঝরে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সংস্থার প্রধান মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ঈদের আগের দিন থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৫ জনের মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরো বেড়েছে বলে জানান তিনি।

যাত্রীদের অভিযোগ বেপরোয়া গাড়ি চালকদের শাস্তির আওতায় আনা হয়না বলেই এতো দুর্ঘটনা বাড়ছে বাংলাদেশে।

গতকাল বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে চলে যায়। এ সময় ট্রাকটির নিচে চাপা পড়া প্রাইভেটকারে শিশুসহ ৭ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ইজিবাইকের আরও ৪ যাত্রী।

বুধবার দুপুর দেড়টায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় আরো ১৫ জনকে মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্য থেকে আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মোট ১৪ জনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আফরুজুল হক।

ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দুপুর দেড়টায় গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় টোল দিতে অপেক্ষায় ছিলো ৩টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, একটি প্রাইভেটকার ও একটি পিকআপ। হঠাৎ করে একটি বালুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে চালিত অটোরিকশা পরে প্রাইভেটকার ও ট্রাককে আঘাত করে।

নিহতদের বেশিরভাগই ঝালকাঠি জেলার। তাদের মধ্যে প্রাইভেকার চালক ইব্রাহিম, স্ত্রী তাহমিনাসহ ৭ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, জনতার ভিড়ে উদ্ধার কাজে কিছুটা সমস্যা হলেও আমরা আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে পেরেছি। প্রাইভেটকার একদম দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ভেতরে কেউ আটকা পড়েনি তা নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত বছর ২২ জুলাই ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় ইউপি ভবনের সামনে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৩ জন নিহত হয়। ওই দুর্ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হয়।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে বরিশালের বানারীপাড়ায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নাছির উদ্দিন নামে এক মোটরসাইকেল চালক (৪০) নিহত হয়েছেন।

গৌরনদীতে ৯ এপ্রিল ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- উজিরপুর উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের হাবুল সরদারের ছেলে উজ্জল সরদার (৩২) ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদী গ্রামের মো. জালাল মিয়ার ছেলে মো. দ্বীন ইসলাম (২২)। ঝালকাঠির রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে মালবাহী নসিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাহাঙ্গীর (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হন ৩ জন।

কলাপাড়া-পটুয়াখালী সড়কের টিয়াখালীর বিশকানিতে সিএনজি অটোরিকশা উলটে দুই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। ভান্ডারিয়া-কাঁঠালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে সোমবার বাস চাপায় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত আবু তালুকদার উপজেলার দক্ষিণ কৈখালী গ্রামের ইসমাইল তালুকদারের ছেলে।

সর্বশেষ,বরিশাল- পটুয়াখালি মহাসড়কের বাকেরগঞ্জের রুহিতারপার নামক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে চলন্ত মোটরসাইকেল ট্রাককে ধাক্কা দিলে দুজন নিহত হয়। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

দুর্ঘটনার পর মুমূর্ষু অবস্থায় দুই জনকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে চিকিৎসক মাহামুদুল হাসান দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতরা হলেন, বরিশাল সদর উপজেলার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের পুত্র মনিরুজ্জামান কোম্পানি লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান (৬২) অপরজন হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের মৃত মজনু বাড়ি সিকদারে পুত্র ও আহসান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকার বদরুল আহসান সিকদার (৬০) পেশায় দুজনই ঠিকাদার।

পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ছুটে আসা গাড়ির চাপ যেমন বেড়েছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সড়কে মৃত্যুর পরিসংখ্যান। নগর চিন্তাবিদরা জানান, ফোরলেন যথেষ্ট নয়, সড়ক নিরাপদ রাখতে হলে গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ ও তাদের দক্ষতা যাচাই পক্রিয়া কঠিন করতে হবে।

;

বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের পূর্বে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের কর ও মূল্য উচ্চ হারে বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে টাঙ্গাইল জেলার বিড়ি শ্রমিকগণ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিক নেতারা দেশে তামাকের স্বাস্থ্যক্ষতির ভয়াবহতা কমাতে বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি করেন।

বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তামাকপণ্যের বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে প্রায় ১৫ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে এবং প্রায় ১০ লক্ষ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ১১ লক্ষ জনগোষ্ঠির তামাক ব্যবহারজনিত অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। অন্যান্য স্তরের তুলনায় নিম্ন স্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের ধূমপায়ীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করবে এবং উচ্চ স্তরগুলোতে সিগারেটের দাম বাড়লে ধূমপায়ীদের সস্তা ব্র্যান্ড বেছে নেয়ার আগ্রহ কমবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশকৃত সুনির্দিষ্ট কর প্রবর্তনের মাধ্যমে কর পদ্ধতির সংস্কার (যা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে প্রচলিত রয়েছে) সিগারেট করকাঠামোর কার্যকারিতাকে আরো শক্তিশালী করবে।

মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে টাঙ্গাইল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, তামাকজাত পণ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকায় প্রতিনিয়তই আমরা নানাবিধ স্বাস্থ্যসমস্যা যেমন শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, মানসিক অবসাদ ইত্যাদির সম্মুখীন হই। এই প্রক্রিয়ায় আমরা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে যুক্ত হয়েছি। তবে আমরা চাই তামাক পণ্যের উপর উচ্চ কর আরোপ করা হোক এবং মূল্য বাড়ানো হোক। পাশাপাশি আমাদের (বিড়ি শ্রমিকদের) বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার সুযোগ দেয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে কম দামি বিড়ি ও সিগারেটের কর-মূল্য ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে যাতে এগুলো আর সুলভ না থাকে।

টাঙ্গাইল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জয়মনি বেগম বলেন, যেহেতু বারংবার কর বৃদ্ধি করেও নিম্ন স্তরের সিগারেট ও বিড়ির দাম সুলভ রয়ে যাচ্ছে তাই নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী কর আরোপ করার। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম বাড়ান যাতে তা জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।

টাঙ্গাইল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব জসিম উদ্দিন দাবি তোলেন প্রতি প্যাকেট ধোঁয়াযুক্ত তামাকপণ্যের দাম সর্বনিম্ন ৬০ টাকা করার যাতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিড়ি বা নিম্ন শ্রেণীর সিগারেট সেবনে নিরুৎসাহিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের মধ্য থেকে আরও অনেকেই তামাকপণ্যের কর বৃদ্ধির দাবিতে বক্তব্য দেন। পাশাপাশি বিড়ি কারখানাগুলোতে শিশু শ্রম বন্ধ, স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে বরাদ্দ বাড়ানো, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়া, মজুরি বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন।

বিড়ি শ্রমিকদের দাবী জানান কার্যকর হারে কর বৃদ্ধি করে যেন নিম্নস্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার প্যাকেটের নূন্যতম মূল্য ৬০ টাকা, মধ্যমস্তরে ৮০ টাকা, উচ্চস্তরে ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৭০ টাকা করা হয়। 

অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুয়র (ডরূপ) এবং ডরূপ যুব ফোরাম। বিড়ি শ্রমিকদের সাথে সংহতি জানিয়ে কর বৃদ্ধির দাবিতে আরও বক্তব্য রাখেন জনাব রুবিনা ইসলাম, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, ডরূপ।

উল্লেখ্য, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৩ এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনায় তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর। এসব লক্ষ্য অর্জনে তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধি হচ্ছে একটি ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ। একইসাথে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কার্যকর উপায় তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধি।

ডরূপ বিগত ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর সাথে জড়িত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রবর্তনকারী সংস্থা হিসাবে সমধিক পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ডরূপ বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তামাক কর বৃদ্ধি বিষয়ে কাজ করছে এবং সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এসময় মানববন্ধনে প্রায় অর্ধশতাধিক বিড়ি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।

;