নিভু নিভু প্রদীপ থেকে ময়মনসিংহ বন বিভাগ এলইডিতে রূপান্তরিত!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ছবি: বার্তা২৪

সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

এতদিন বনের জায়গা দখল হয়ে যাওয়ার খবর ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এখন ঠিক উল্টো রথ শুরু হয়েছে, প্রায় সময় খবর মিলছে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে বনের জায়গা উদ্ধারের কাজ চলছে।

নিভু নিভু প্রদীপ ময়মনসিংহ বন বিভাগ এখন এলইডির মতো আলো ছড়াতে শুরু করেছে। এক সময় যাদের টিকিটি ছুঁতে সাহস পেতো না বন বিভাগ। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) তাদের ইটের ঘর গুড়িয়ে দিয়ে ভালুকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এতে দখলবাজদের হৃদকম্পন শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর লেন হওয়ার পর শিল্পপতিরা ছুটছেন ভালুকা অঞ্চলের দিকে। এরই মধ্যে ছোট-বড় অনেক শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এ অঞ্চলে। আরো অনেকে আসতে চাইছেন অঞ্চলটিতে। যে কারণে সোনার চেয়েও দামি হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের জমিগুলো। আর দামি হওয়ায় দখলবাজদের লোলুপ দৃষ্টিও থাকে বনের দিকে। হাজার হাজার একর জমি দখলবাজদের ভোগে চলে গেছে।

এতদিন বন বিভাগ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছে তাদের পরাজয়। কথিত রয়েছে, অনেকে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়ে দেখেও না দেখার ভান করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। কখনো কখনো দায়সারা গোছের মামলা দিয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে চেয়েছেন। কিন্তু  দখল কখনই থেমে থাকেনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/05/1543984034370.gif

এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দখলবাজ মনে করা হয় শহীদকে। যিনি বনের জমিতে বাউন্ডারি দেয়াল তুলে দখল করে নিতে সিদ্ধহস্ত। যে কারণে তার নামই হয়ে গেছে বাউন্ডারি শহীদ। বিএনপির নেতা হলেও আওয়ামী লীগের সময়েও তার সমান দাপট। পুরো দশ বছর তার আঙ্গুলের ইশারায় চলেছে সবকিছু।

শহীদের কর্মকাণ্ডে কেউ কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। যারাই বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তাদেরকেই সরিয়ে দিয়েছেন না হলে উপড়ে ফেলেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়।

খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি ময়মনসিংহ বন বিভাগের বদলি হয়ে আসা একজন সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমানের নাম। তিনি যোগদানের পর থেকেই নাকি দৃশ্যপট বদলে যেতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে খোদ বন বিভাগের লোকজন। এখন নতুন করে দখলতো দূরের কথা সপ্তাহে না হলে প্রতি মাসে নতুন নতুন জায়গা অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে।

সৎ ও সাহসী অফিসার হিসেবে পরিচিত তবিবুর রহমানের যোগদানের পর যে গতির সঞ্চার করে, সেই গতি আরো বেগবান হয়েছে বিভাগীয় বন সংরক্ষক রুহুল আমিনের যোগদানের পর। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বাউন্ডারি শহীদের সহযোগী জয়নালের দখলে থাকা (দাগ-১৫৪) একটি ইটের স্থাপনা গুড়িয়ে ১৫ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

হবিরবাড়ি মৌজায় আমতলী বাজারের মহাসড়ক সংলগ্ন উদ্ধার হওয়া এই জমির মূল্যমান প্রায় দুই কোটি টাকার মতো। অর্থের মূল্যের চেয়েও এই উদ্ধার অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে এর মাধ্যমে দখলবাজদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বন বিভাগ। দখলবাজরা এখন কানাঘুষা শুরু করেছেন এবার কার পালা। কারণ প্রত্যেকের কাছে শতশত একর জমি দখলে রয়েছে। এমনকি সংরক্ষিত বনের জায়গাও দখল করে বসে আছে প্রভাবশালী এই দখলবাজরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/05/1543985442189.jpg

সংরক্ষিত বন সম্পর্কে বন আইনে বলা হয়েছে, এই জায়গা দখল থাকাতো দূরের কথা, প্রবেশ করতে গেলে বন বিভাগের পূর্বানুমতি প্রয়োজন হবে। বিনা অনুমতিতে কেউ প্রবেশ করলে তাকে গুলি করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বন আইনে। তেমন সংরক্ষিত বনের জমিও হাজার হাজার একর দখলবাজদের  ভোগে চলে গেছে।

ভালুকা রেঞ্জ অফিসার আবু তাহের (ফরেস্টার) বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গত অক্টোবর মাসে হবিরবাড়ি মৌজার ১৫৪ দাগে ১০ একর জমি উদ্ধার করে বাগান করা হয়েছে। ওই দাগে বন বিভাগের জমি রয়েছে ২০১ একর। এরআগে আগস্ট মাসে কাদিগড় জাতীয় উদ্যানের কাদিগড় মৌজায় ৫ একর জমি অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করে বাগান করা হয়েছে। আরও অনেকগুলো ছোট ছোট জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।’

এরআগে প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা মনিরের অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বনের জমি থেকে মাটি কাটার সময় মেশিনসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে মামলা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অর্থাৎ বন বিভাগ এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে থেমে নেই প্রভাবশালী দখলবাজরাও। তারা এখন এসব সৎ অফিসারদের প্রলুব্ধ করতে না পেরে বদলী করানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।

   

এক দিনের ব্যবধানে আরও কমল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

;

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দু'হাত ভরে তাঁর বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাঁদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রী রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা-সহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডিপিডিটি'র মহাপরিচালক মোঃ মুনিম হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ এখন কোন খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।

সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি। বিশেষ অতিথি বলেন, আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একইসঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি, ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবস্থা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়। সেগুলো হলো যথাক্রমে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

;

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি'র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, শেখ আফিল উদ্দিন, মো. মঈন উদ্দিন এবং বেগম জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার সর্বশেষ অগ্রগতি ও তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কমিটি তিন পার্বত্য জেলায় এনজিওগুলোর যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলোর উদ্দেশ্য ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য অবশ্যই জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে অবহিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে বিনামূল্যে তিলের বীজ সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর ব্যবহারের ব্যবস্থা করার একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ; পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য; চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;