অপমানের বিচারের দাবিতে স্লোগান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতিবাদমূলক প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

প্রতিবাদমূলক প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভিকারুননিসা স্কুলের সামনে অবস্থান করেছে অরিত্রির সহপাঠীরা। এ সময় তারা অরিত্রির অপমানের বিচার চেয়ে স্লোগান দিচ্ছে।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুল ভবনের মূল গেটে অবস্থান করছে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুন আক্তার নামের একজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের সহপাঠীর অপমানের বিচার চাচ্ছি। আমরা আমাদের অপমান মেনে নিতে পারব। কিন্তু আমাদের বাবা-মার অপমান মেনে নিতে পারব না। এ কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষার্থীদের বাবা-মাকে বেশি অপমান সহ্য করতে হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই মনে করি, অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনার পিছনে আমাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়ী। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

মালিহা নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা ফাতেমা চৌধুরী বার্তা২৪. কমকে বলেন, ‘রাজধানীর নামকরা এই স্কুলে থেকে যদি বাবা-মাকে অপমানিত হতে হয় এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না।’

দুই দিন আগে দীপন অধিকারী (অরিত্রির বাবা) অপমানিত হয়েছেন। আগামীকাল আমি হতে পারি। আমার মেয়েও তো অরিত্রীর মত আত্মহত্যা করতে পারে। আমরা পুরো ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি বলে এ অভিভাবক নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

এদিকে এ ঘটনার জের ধরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আজকের সকল পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করেছে। বেলা ১২টায় হতে চলা পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ভিকারুননিসা নূন স্কুল শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে আসায় তার বাবাকে ডেকে এনে অপমান করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার জের ধরে অরিত্রি বাসায় গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে। কর্তব্যরত  চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় স্কুল গেটের সামনে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

   

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ শুরুর কদিন আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে সূর্য তার পূর্ণ উত্তাপ দিচ্ছে পৃথিবীতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বৈশাখের শুরু থেকে ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করছে রাজধানী ঢাকায়। যা দাবদাহে রূপ নিয়েছে। তীব্র গরমে নাকাল হয়ে পড়ছে জনজীবন। পাশাপাশি প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের উপর পড়েছে বিরূপ প্রভাব।

তবে গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তরমুজ ও ডাবের বাজার। গরমে পানি স্বল্পতা রোধের সক্ষমতা ও রসালো ফল হিসেবে মানুষের চাহিদার প্রথম পছন্দ হয় তরমুজ। তবে মৌসুম শেষ হওয়ায় তরমুজের সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে। সংকটের সাথে চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে তরমুজের।

রাজধানীর কাওরান বাজার, মগবাজার, মহাখালীসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ টাকার নিচে মিলছে না প্রতি পিস তরমুজ। কেজি দরে হিসেব করলেও প্রতি কেজি তরমুজে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। রোজার মধ্যে কেজি প্রতি তরমুজের ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও, এখন ৬০-৭০ টাকা কেজি দর ধরে রাখছে বিক্রেতারা।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র তাপে প্রচুর তৃষ্ণায় একেবারে নিষ্ক্রিয় হয় ওঠে শরীর। এ সময় প্রচুর পানির চাহিদা তৈরি হয়। পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম ফল তরমুজ। পানি স্বল্পতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফল। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করে, আবার শরীরে পানির চাহিদাও মেটায়। তরমুজে ৯২ শতাংশই পানি, যা সহজেই গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মেটাতে কাজ করে।আর এসব গুণের জন্য তরমুজ মানুষের চাহিদার প্রথম পছন্দ হয় । হঠাৎ অতিরিক্ত গরম পড়ায় সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

আরিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, তরমুজ এখন পেঁয়াজের মত হয়ে গেছে। কখনো আকাশে কখনো মাটিতে। এটা তো ইচ্ছার বলি মাত্র। একটা তরমুজ ৪০০ টাকা নিচে নাই। তাহলে গরিব মানুষ খাবে কীভাবে?

মাহমুদা বেগম নামের এক সমাজ কর্মী বলেন, গরমে তরমুজ সবার প্রিয় খাবার।  আমরা স্বস্তির জন্য কিনিতে আসলেও দামের অস্বস্তিকর অবস্থা আমাদের ভোগায়৷ খেতে হবে তাই কিনছি। এই ইচ্ছার জন্য আমরা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার বাজারে এখন তরমুজের সরবরাহ কম, তাতে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। আড়তে দাম বৃদ্ধিতে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে দাবি বিক্রেতাদের।

কারওয়ান বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, একটা তরমুজের দাম আমাদের হাতে নাই। চাহিদা বেশি কিন্তু সরবরাহ নাই। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তরমুজ শেষের দিকে। দাম কমার কথা থাকলেও গরমের বেড়েছে।


আবির হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ১ হাজার কেজি তরমুজ কিনেছি ৪২ হাজার টাকায়। এখন বলেন কত টাকা লাভ করব? দাম বেশি তো আর আমরা করি না। চাষিরা দাম পায় না আড়ৎদারদের লাভ হয় আমরা তো বলির পাঠা।

অন্য দিকে ডাবের দাম আকাশচুম্বী। ৫০ টাকা মূল্যের ডাব পাওয়া যাচ্ছে না ১০০ টাকায়। গত দুইদিনের ব্যবধানে ডাব প্রতি দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। এতে অতিষ্ঠ গরমে বাধ্য হয়েই ডাব কিনছেন ক্রেতারা।

সুকুমার রায় নামের এক ক্রেতা বলেন, একটা ডাব ঈদের আগেও কিনেছি ৬০ টাকা। একি ডাব আজ ১১০ টাকা। এটা তো মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। কিছু করার নাই আমাদের বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা তীব্র তাপপ্রবাহ বইতে পারে । এছাড়া আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরর।


আবহাওয়াবিদ খোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

;

পটুয়াখালীতে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় জরিমানা, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীতে যাত্রীবাহি বাসে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী পরিবহন করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানার প্রতিবাদে সড়কে বাস করে রেখে অবরোধ করেন বাস মালিক শ্রমিকরা। এতে ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে ঘণ্টা ব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পটুয়াখালীর চৌরাস্তায় যানবাহন চলচল বন্ধ করে রেখেছিলেন পটুয়াখালী বাস মালিক ও শ্রমিকরা।

পরবর্তীতে বাস মালিক ও শ্রমিকদের সাথে জেলা প্রশাসনের আলোচনায় বিষয়টি সমাধান হয়। এ সময় জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে মহাসড়কে যান চলচল নির্বিঘ্ন রাখা ও যাত্রী ভোগান্তি লাগবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিলো। এ সময় রুদ্র-তূর্য পরিবহনের একটি বাসে অধিক যাত্রী পরিবহন করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.এস. নুরুল আখতার নিলয়। তবে বাস শ্রমিকরা জরিমানা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সড়কে বাস আড়াআড়ি করে রেখে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ঈদের সময় হওয়ায় যাত্রী চাপ বেশি, সে কারণে কিছু কিছু বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী যাচ্ছে। যাত্রীদের চাপের কারণে কিছুই করার নেই। কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকাল থেকে প্রতিটি গাড়িকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করছিলেন। পরে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে দেয়।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিব বলেন, কিছু সময় বাস চলাচল বন্ধ ছিলো, তবে বর্তমানে মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম বলেন, একটি বাসকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়ছিলো। পরে বাস মালিক ও শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। তবে বর্তমানে মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

;

আমতলীতে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘প্রাণীসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই শ্লোগান নিয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী - ২০২৪ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় আমতলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। আমতলী উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ কাদের মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আমতলী পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান,। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি, খামারী মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

প্রদর্শনীতে ৪০টি খামারের মালিকরা তাদের গরু, মহিষ, ছাগল ও কবুতর প্রদর্শনী করে।

খামারী শাহিনুর বেগম বলেন, মোরা সবসময় আমতলী প্রাণিসম্পদ হাসাতাল থেকে বিনা মূল্যে সেবা পাই। এহন যে মোগো নাজমুল ছারে আছে হে মোগো সব সময় খোজ খবর লয়। হাঁস মুরগীর কোন সমস্যা হলে স্যারে সব সময় গ্রামে যাইয়া গরু ছঅগল ও হাসমুরগীর চিকিৎসা দেয়।

বেঠাকাটা গ্রামের গরু খামারী মো. বাবুল মোক্তার বলেন, মোগো গরু ছাগলের কোন সমস্যা দেখা দিলে মোরা ছ্যারেরে খবর দিলে ছ্যারে মোগো বাড়ি আইয়া গরু দেইখ্যা আয়। হেএর লইগ্যা কোন টাহা পয়সা নেয় না।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক জানান, প্রাণীসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের সামাজিক লক্ষ্য হলো সকলের জন্য নিরাপদ পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রানিজ আমিষ নিশ্চিত করার জন্য প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও দুºজাত পন্যের বাজার সৃষ্টি, ক্ষুদ্র খামারী ও উদ্যোক্তাদের প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলায় সক্ষমতা সৃষ্টি করা, বিজ্ঞানভিত্তিক লালন-পালন কৌশল অবহিত করা, উন্নত জাতের পশু পাখি পালনে আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা

প্রাণীসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমতলীতে ১২টি উৎপাদন গ্রুপ রয়েছে। যার মোট সদস্য সংখ্যা ৪৪৩ জন। এদেরকে নগদ প্রনোদনাসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরন, প্রশিক্ষন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ৭৭টি মুরগীর ঘর ও ৩২টি ছাগলের ঘর সরবরাহ করা হয়েছে। তাছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় আমড়া গাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিদিন মিল্ক ফির্ডিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সকল খামারীদের আমতলী উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে সকল ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

;

চল্লিশ বছর ধরে দই বিক্রি করে সংসার চালান সঞ্জিত



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাঁধে বাঁশের ফলা, দুই পাশে ঝুপড়ি দুটি। গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেঁটে চলেছেন এক বৃদ্ধ। ওই দই লাগবো নি দই বলে হাঁকডাক দিয়ে চলেছেন তিনি। ছোট ছেলেমেয়েরা দই ওয়ালা এসেছে বলে পেছনে ছুটতে থাকে। এভাবেই চল্লিশ বছর ধরে এই পেশা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন সঞ্জিত ঘোষ (৬০)। 

তিনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফেরি করে দই বিক্রি করেন। চল্লিশ বছর ধরে এই পেশা নিয়ে আছেন তিনি৷ গ্রামের মানুষের কাছে দই সঞ্জিত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।

সঞ্জিতের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া এলাকায় তাদের বাড়ি। বংশ পরম্পরায় এই পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বাবা-দাদারা। বয়স বাড়লেও কাজের প্রতি মনোযোগী তিনি। শরীরের ঘাম ঝাড়ানো পরিশ্রম তাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। সকাল থেকে তিনশো থেকে চারশো দই নিয়ে বের হন। বিকেলের আগেই তা বিক্রি হয়ে যায়। মূল ক্রেতা হচ্ছে গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েরা। এছাড়াও সববয়সী মানুষ এই দই নিয়ে থাকেন।


সঞ্জিত ঘোষ আরও বলেন, এই দইয়ে কোনো ভেজাল নেই। আমি নিজের হাতে দই তৈরি করি৷ গরমে এই দই শরীরে জন্য খুবই উপকারী। হাজার টাকার মতো দই বিক্রি করি। এ টাকা দিয়েই সংসার চালাই। দই তৈরি আমাদের বংশের পেশা৷ প্রতি গ্লাস দই ২০ টাকা করে বিক্রি করি। কোনোরকম মান ঠিক রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছি৷

;