‘বাবাকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে যুদ্ধে যাই’



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মুক্তিযুদ্ধের বছর ১৯৭১ সালে আমি গৌরীপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। তখন আমি ডিগ্রি ফাইনাল ইয়ারে পড়ি। একদিন শনিবার বাবাকে বললাম পাশের গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছি। এরপর কাপড়ের ব্যাগ গুছিয়ে ঘরে থাকা দশ টাকা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে পায়ে হেঁটে বিজয়পুর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত যাই। ভারতের মেঘালয় প্রদেশে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় যুদ্ধ করি। এরপর ৫ নভেম্বর গৌরীপুর ফিরে আসি। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গৌরীপুর হানাদার মুক্ত করি।’

১৯৭১ সালে দেশ রক্ষার যুদ্ধে যাওয়ার গল্পটা এভাবেই বার্তা২৪.কমের কাছে তুলে ধরেন সেদিনের বিশ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ।

আবুল কালামের বাড়ি উপজেলার বেকারকান্দা গ্রামে। তার বাবা মৃত জোবেদ আলী সরকার। মা মৃত আমেনা বেগম। দুই ভাই চার বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ জেলা শহরের জজ কোর্টে আইন পেশায় আছেন। দাম্পত্য জীবনে তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে পৌরশহরে হাতেম আলী রোডস্থ আবুল কালামের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসে কথা হয় এ প্রতিনিধির। কথা প্রসঙ্গে যুদ্ধদিনের নানা ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। আবুল কালাম বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এই ভাষণ শোনার পর আওয়ামী লীগ নেতা হাতেম আলী মিয়া এমসিএর নেতৃত্বে আমরা ২০-২৫ জনের একটি দল সংঘবদ্ধ হই। ২৬ মার্চ যুদ্ধ শুরু হয়। ১৬ এপ্রিল হাতেম আলী ভাইয়ের নির্দেশে আমরা কয়েকজন সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাটের কুদরত আলী মণ্ডল এমসিএর কাছে যাই অস্ত্র আনার জন্য। কিন্তু কুদরত ভাই অস্ত্র না দিয়ে ভারত চলে যান। তাই খালি হাতে ফিরতে হয় গৌরীপুর।

এদিকে গৌরীপুর ফিরে জানতে পারি হাতেম আলী তার লোকজন নিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারত চলে গেছেন। মন খারাপ হয় আমার। কিন্তু আমি দমে যাওয়ার পাত্র নই। ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল আমি বাবাকে জানাই পাশের গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছি। এরপর কাপড়ের ব্যাগ ও দশ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে ভারতের পথে রওনা হই। আমার সঙ্গে আরও ছিলেন স্থানীয় কনু মিয়া, নূরুল আমিন ও একটি হিন্দু ছেলে। পথিমধ্যে দূর্গাপুর থানার কাকুড়াকান্দা গ্রামে পৌঁছালে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতিকারী আমাদের গতিরোধ ও মারধর করে বেঁধে রেখে মালামাল লুট করে।

এর একদিন পর দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দূর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের বাঘমারা বিএসএফ ক্যাম্পে যাই। সেখানে গিয়ে দেখা হয় গৌরীপুরের হাতেম আলী ভাই, ফজলুল হক, ডা. এম এ সোবহান, নজমুল হুদা এমসিএ, তোফাজ্জল হোসেন চুন্নু, হাসিম ভাইসহ পরিচিত অনেকের সঙ্গে। সেখান থেকে মেঘালয় ক্যাম্পে গিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেই। ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় দক্ষতা থাকায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আমি দোভাষীর দায়িত্ব পালন করতাম।

যুদ্ধের প্রশিক্ষণ শেষে আমিসহ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সশস্ত্র দল মেঘালয় সীমান্তের জক্স গ্রামে আস্তানা করি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ওই দলটির কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন চুন্নু। ভারত থেকে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে প্রায়ই পাকিস্তানি ক্যাম্পে হামলা করে আস্তানায় ফিরে আসতাম।

১৯৭১ সালের ২৫ জুন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মুরারি আমাদের নিয়ে বিজয়পুর পাকিস্তানি ক্যাম্প আক্রমণের পরিকল্পনা করে। ২৬ জুন ভোর ৬টায় বিজয়পুর বাঘমারা এলাকার মধ্যবর্তী পাহাড়ে আমরা ৭২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দল ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সশস্ত্র অবস্থান নেই। সাড়ে ৬টায় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। অর্ধশতাধিক পাকসেনা মারা যায়। একটি গাছের আড়াল থেকে আমি ও সহযোদ্ধা সন্তোষ পাকবাহিনীদের লক্ষ্য করে গুলি করছিলাম। এ সময় পাকবাহিনীর একটি মর্টার শেল সন্তোষের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় সে। ওই যুদ্ধে অর্ধশতাধিক পাকসেনা আমাদের হাতে মারা যায়। আমরা জয়ী হয়ে বিজয়পুর ক্যাম্পে লাল সবুজ পতাকা ওড়াই। তবে প্রতিকূল পরিবেশের কারণে সেদিন সন্তোষের মৃতদেহ ধর্মীয় রীতিনীতি ছাড়াই পুড়িয়ে ফেলতে হয়েছিল।’

কথা প্রসঙ্গে আবুল কালাম বলেন, ‘বিজয়পুর ক্যাম্প দখলের কিছুদিন পর দূর্গাপুর থানার কলসিন্দুর গ্রামে আমার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল পাকবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। ওই যুদ্ধে নয়জন পাকসেনা মারা যায়। আগস্ট মাসে আমরা তোফাজ্জল হোসেন চুন্নুর নেতৃত্বে দূর্গাপুরের ঘোঁষগাও গ্রামে পাকিস্তানি ক্যাম্পে হামলা চালাই। দেড়ঘণ্টার যুদ্ধে আমাদের দুজন মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ হারায়।’

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৫ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নিয়ে গৌরীপুর আসেন আবুল কালাম। পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকাররা তখন গৌরীপুর থানায় অবস্থান করে মুক্তিযোদ্ধাদের গতিবিধি পাকবাহিনীকে অবহিত করত।

আবুল কালাম বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও আমাদের দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গৌরীপুর থানা দখল করি এবং লাল সবুজ পতাকা ওড়াই। তখন পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে। অনেকে পালিয়েও যায়। হানাদার মুক্ত হয় গৌরীপুর।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পর পাকবাহিনী যেন এলাকায় না ঢুকতে পারে সেজন্য ৮ ডিসেম্বর রাতে গৌরীপুর-ময়মনসিংহ রেলপথের একটি ব্রিজ ও ৯ ডিসেম্বর গৌরীপুর-ময়মনসিংহ সড়কপথের গুজিখা ব্রিজ বোমা মেরে ধ্বংস করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেই। ১০ ডিসেম্বর ব্রহ্মপুত্র নদী পাড় হয়ে জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ময়মনসিংহ হানাদার মুক্ত করি।’

আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ ১৯৭২ সালে ডিগ্রি, ১৯৭৬ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি এলএলবি কোর্স সম্পন্ন করে আইন পেশায় যুক্ত হন। একই বছর তিনি গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। আইন পেশার পাশাপাশি তিনি বর্তমানে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গৌরীপুর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

   

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একটি কূটনৈতিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, পারস্পরিক সুবিধাজনক নতুন তারিখে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনার অংশ।

২০ এপ্রিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদেরও এ সংক্রান্ত একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।’

সফরের বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও শনিবার সংক্ষিপ্ত সফরে তার ঢাকায় আসার কথা ছিল।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকের কথা ছিল।

;

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;