এমপি মকবুলের ঘরে ২ হাজার টাকার আসবাবপত্র!
পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর)। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন এমপি। একবার পরাজিত হলেও তিনি দু’বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিটেই নির্বাচনী মাঠে আছেন।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি তার ব্যবহৃত আসবাবপত্র হিসেবে দেখিয়েছেন ২টি খাট, ২টি আলনা, ড্রেসিং টেবিল ১টি, সোফা ১ সেট। যার মূল্য মাত্র ২ হাজার টাকা। একই সাথে ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে আছে ২টি ফ্রিজ, ২টি টিভি, ১০টি ফ্যান। অথচ এসব সামগ্রীর মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৫৩ হাজার টাকা।
তিনি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সরদার পাড়ার মহসীন আলীর ছেলে। শিক্ষাগত যোগত্যা এসএসসি পাশ। পেশায় তিনি জোতদারী। অতীত-বর্তমান মিলে তিনি ফৌজদারী মামলা মুক্ত একজন মানুষ।
হলফনামার তথ্য মতে, আয়ের উৎস হিসেবে মকবুল হোসেনের বছরে আয় ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৮০৮ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ১ লাখ টাকা। বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকা। জমি লীজ দেয়া বাবদ আয় বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে বছরে সম্মানী পেয়েছেন ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে মকবুল হোসেনের নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। তবে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার টাকা জমা নেই। তার একটি মিটসুবিসি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-৫৫৪৪) জীপ আছে, যার মূল্য ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭১ টাকা। অলংকার আছে ১০ তোলা।
অপরদিকে স্থাবর সম্পদের মধ্যে মকবুল হোসেনের আছে কৃষি জমি ২০ বিঘা, স্ত্রীর নামে ০.৯০ একর, কৃষি জমি ০.০৭ একর, আবাসিক ভবন হিসেবে তার একটি দালান বাড়ি রয়েছে, যার মূল্য দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা।
তার কোনো ব্যাংক ঋণের বকেয়া নেই। ইতিপূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে মকবুল হোসেন ভোটারদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার প্রায় সকল প্রতিশ্রুতি তিনি বাস্তবায়ন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়। মকবুল হোসেনের আয়ের উৎস ও স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ নেই।