ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত ৩০
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার গজারিয়া নামক স্থানে দুইটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি পিকাপ ভ্যানের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে ঐ সড়কে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নড়াইল থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৯৮৩১) একটি বাস ঘটনাস্থলে এসে ইউনিলিভার কোম্পানীর একটি পিকাপকে (ফরিদপুর ন ১১-০১২২) ধাক্কা দেয়। এতে পিকাপটি সামনে থাকা পিরোজপুরগামী ইমাদ পরিবহনের বাসের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৪৯০৪) সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঈগল পরিবহনের বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে পাশের খাদে পড়ে যায়।
এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে এক জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরো এক জন নিহত হন। দুর্ঘটনায় দুই বাসের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মুকসুদপুর ও ভা ঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতরা হলেন পিকাপ ভ্যানের হেলপার, ভাঙা উপজেলার সদরদী এলাকার আব্দুল মালেক মুন্সীর ছেলে আজিজার রহমান মুন্সী (৫৫) ও অপরজন বাসের যাত্রী টুঙ্গিপাড়া এলাকার বরনী গ্রামের সোলায়মান মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান বাদল (৪০)। এ ছাড়া ঈগল পরিবহনের বাসের চাপায় রাস্তার পাশে থাকা একটি গরুও মারা যায়।
দুর্ঘটনার পরে এই সড়কে চলাচলকারী স্বাধীন লিংক পরিবহন (পিকাপে মডিফাই করে বানানো যাত্রীবাহী যান) বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় খালেদ হোসেন বাকী জানান, এই স্বাধীন লিংক যেখানে সেখানে দাড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করায়, রাস্তার অর্ধেকটা জুড়ে স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলে, ট্রাফিক আইনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করার কারণেই এই মহাসড়কে দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়ছে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজীব হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মুকসুদপুর ও ভাঙা থেকে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, দুঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করাসহ যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।