নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউপি ভবনের বেহাল দশা
গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে ই-সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর সংলগ্ন যন্ত্রাইল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের এখন বেহাল দশা।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বার্তা২৪কে জানায়, ২০১৩ সালে ৬ এপ্রিল এই ভবনটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন দোহার-নবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খাঁন।
এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় জমির পর্চা, সরকারি ফরম, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্তি, পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, অনলাইন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ভিজিএফ-ভিজিডি তালিকা, নাগরিক সনদ, নাগরিক আবেদন, কৃষি তথ্য, স্বাস্থ্য তথ্য প্রাপ্তি উদ্দেশ্যে এ ভবন নির্মিত হয়।
এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ছবি তোলা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল, চাকুরির তথ্য, কম্পোজ, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংরেজী শিক্ষা, ভিসা আবেদন ও ট্র্যাকিং, ভিডিওতে কনফারেন্সিং, প্রিন্টিং, স্ক্যানিং, ফটোকপি, লেমিনেটিংসহ বিভিন্ন ই-সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করলেও খোদ রাজধানীর নিকটবর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার এই ইউপি ভবনটি এখন গুদাম ঘর ও মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ই- সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি এই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। যন্ত্রাইল ইউপি চেয়ারম্যান নন্দলাল সিংহের অনীহা ও গাফিলতির কারণে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইউপি ভবনটি ব্যবহার না করায় এখন ধানের গুদামে পরিণত হয়েছে। যেখানে দিনের বেলা ধান, গমসহ বিভিন্ন ফসল গুদামজাত করা হয়ে থাকে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ বার্তা২৪কে জানান, ইউপি ভবনটি ব্যবহার না হওয়ায় সন্ধ্যা হলেই জমে উঠে তাস, জুয়া, মাদক সেবনের আসর। এছাড়া মূল ইউপি ভবনের কয়েকটি কক্ষ ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শ্রী নন্দলাল সিংহ বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে ইউপি ভবনটি দূরে হওয়া ও যাতায়াতসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদে বসে কাজ করি।’
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বার্তা২৪কে বলেন, ‘জনস্বার্থে বিষয়টি গুরুত্বেও সাথে দেখা হবে। এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে বলা হবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বার্তা২৪কে বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হবে।’