ড. কামালের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি ঐক্যফ্রন্টের
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্ববায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ওপর হামলারর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের কাছে এ দাবি করা হয়। বিএনপির যুগ্ম-মহাসিচব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শনিবার ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে এ সংক্রান্ত লিখিত দাবি জানায়।
সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আলাল সাংবাদিকদের বলেন, সব জায়গায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই তিন বাহিনীর মোকাবেলা করা আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া। এই তিন বাহিনীকে মোকাবেলা করতে তো আমরা পারবো না। তারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এগুলো করছেন।
তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে ইসি সচিব বলেছেন, উনারা নাকি অবহিতই না। এটা খুব অবাক লাগে আমাদের কাছে। খুব কষ্ট লাগে। এটা আমাদের কাছে খুব বিস্ময়কর লাগে। এটা কিভাবে সম্ভব?
তিনি বলেন, গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন আসনে যে হামলা ও সহিংসতা হয়েছে, সে বিষয়গুলো আমরা ইসিকে জানিয়েছি। আক্রমণ বন্ধ করতে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করছি। নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছেন, উনারা জানতেন না এবং টিভিতেও দেখতে পারেননি। পরবর্তীতে উনারা ঘটনাটি শুনেছেন অফিস আওয়ারের পর। উনারা কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলাল বলেন, যে পুলিশের দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে আক্রমণ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি, সে পুলিশদের বিরুদ্ধে আমরা যত অভিযোগ করেছি, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে এতকজন পুলিশকেও বদলী বা ক্লোজ করা হয়নি। একথাগুলো আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি। আমরা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু তারা তো এই সুযোগে দ্বিগুণ উৎসাহে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে।
তিনি বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের স্ত্রী ও বিএনপি প্রার্থী রোমানা মাহমুদের নির্বাচনী প্রচারণায় গুলি করা হয়েছে। তিনি আহত এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। তার কর্মীরাও গুলিবিদ্ধ। আমরা মামলা করতে গিয়েছি, পুলিশ মামলা নেয়নি। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু দাউদকে প্রত্যাহার করতে বলেছি।
তিনি বলেন, বড় কিছুই চাইনি নির্বাচন কমিশনের কাছে। তাদের ক্লোজ করার জন্য বলেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কয়েকদিন আগে বললেন- নির্বাচনের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আমরা তো জীবন নিয়েই বাঁচতে পারছি না।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি উপস্থিত ছিলেন।