বিজয় দিবস উপলক্ষে সেনা ও নৌবাহিনীতে অনারারি কমিশন প্রদান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর মোট ১১০ জনকে পদোন্নতি পূর্বক অনারারি কমিশন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ৩৩ জনকে অনারারি ক্যাপ্টেন ও ৫৭ জনকে অনারারি লেফটেন্যান্ট এবং নৌবাহিনীর ২০ জনকে মাস্টার চিফ পেটি অফিসকে (এমসিপিও) অনারারি কমিশন প্রদান করা। এ পদোন্নতি ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনারারি লেফটেন্যান্ট থেকে অনারারী ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি পাওয়া সদস্যরা হলেন- অনারারি লেফটেন্যান্ট (করণিক) মো. আব্দুস সাত্তার, আর্মড; অনারারি লেফটেন্যান্ট (ড্রাইভার) মোহা. সেলিনুর রহমান, আর্মড; অনারারি লেফটেন্যান্ট (গানার) আবু জাফর মাহমুদ, আর্টিলারি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (টিএ) মো. সিদ্দিকুর রহমান আর্টিলারি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (টিএ) মে. গোলাম মোস্তফা, আর্টিলারি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (গানার) মো. বশির আহম্মেদ, আর্টিলারি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (গানার) মো. মিনহাজ উদ্দিন, আর্টিলারি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (করণিক) মো. মনির হোসেন, আর্টিলারি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (করণিক) মো. মহিদুল মাওলা, আর্টিলারি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (কার্পেন্টার) মো. ইউসুফ আলী, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারি লেফটেন্যান্ট (করণিক) ফকির মো. আবুল বাশার, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারি লেফটেন্যান্ট (ডিএমটি) মো. বশীর উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারি লেফটেন্যান্ট (ওয়াইঅবএস) মো. জিয়াউল ইসলাম, সিগন্যালস; অনারারি লেফটেন্যান্ট (ওয়াইঅবএস) মো. ইউসুফ আলী, সিগন্যালস; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এফঅবএস) মো. শাহ আলম, সিগন্যালস; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. আব্দুল বাতেন, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট(জিডি) মো. মোখলেছার রহমান, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মোহা. শামসুজ্জোহা খাঁন, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. আবুল বাশার খায়রচল আলম, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. মফিজুল ইসলাম, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. আনিসুজ্জামান, বীর; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. শফিকুল আলম, বীর; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মোহা. মসলেম উদ্দিন, বীর; অনারারি লেফটেন্যান্ট(জিডি) মো. বাহারচল আলম, বীর; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এমটি) মো. আব্দুস সালাম, এএসসি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এমটি) মো. ইমাদুল হক হাওলাদার, এএসসি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এসএমএস) জি এম কবিরচল ইসলাম, এএসসি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এসএমএস) মো. মনিরচল ইসলাম, এএসসি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) কাজী মাহমুদুর রহমান, ইএমই; অনারারি লেফটেন্যান্ট (করণিক) মো. আমির হোসেন, সিএমপি; অনারারী লেফটেন্যান্ট (শিক্ষা জেসিও) মো. লোকমান হোসেন, এইসি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এমএ) শেখ আনিচুর রহমান, এএমসি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (আইসিএ) মো. মহিদুল ইসলাম, এএমসি;

সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার থেকে অনারারি লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন প্রাপ্তরা হলেন:- মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ড্রাইভার) শিবনাথ বিশ্বাস, আর্মড; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অপারেটর) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, আর্মাড; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (গানার) মো. ফিরোজ খাঁন, আর্মড; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার(গানার) মো. ফেরদৌস মিয়া, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ডিএমটি) মো. আকতার হোসেন, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ডিএমটি) মো. বাহার আলম, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ডিএমটি) মো. আবুল কাশেম ভুইয়া আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ডিএমটি) মো. আবুল কালাম, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. ওয়াজেদ আলী, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওসিইউ) মো. জাহাঙ্গীর আলম, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. হেলাল উদ্দিন, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. মোজাম্মেল হক, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ড্রাফট্সম্যান) মো. এনায়েত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এই) মো. নুরচল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওবিএম) মো. আলমগীর হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওসিইউ) মো. মাসুদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার( করণিক) মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার( ওয়াইঅবএস) শরীফ গোলজার রহমান, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওয়াইঅবএস) মো. এমদাদুল হক, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওয়াইঅবএস) মো. হান্নান মিয়া, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওয়াইঅবএস) কে এম রফিকুল ইসলাম, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. আবদুল লতিফ, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. ছফি উল্লাহ, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি), মো. ইয়াকুব আলী, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মোহা. আব্দুল মান্নান, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. নুরচল ইসলাম প্রামাণিক, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. ইসমাইল ভূঞা, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. সাদেকুর ইসলাম খন্দকার, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. মনিরচল ইসলাম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো.বকুল হোসেন, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. হেদায়েতুল ইসলাম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. শফিকুল ইসলাম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. হুমায়ুন কবির খান, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) জসিম উদ্দিন, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. খাইরচল ইসলাম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার(জিডি) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস,বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) বাদল কুমার রায়, বীর; মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এমটি) সৈয়দ মো. আব্দুল হাদী সরকার, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) মো. মিনারচল ইসলাম, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার(এমটি) মো. মহিবুল্লাহ মিয়াজী, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) মো. আবুল কাশেম মিয়াজি, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. আব্দুল মান্নান খান, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) মোহাম্মদ হাদিছুর রহমান, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) মো. আনোয়ার হোসেন, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. ইউনুচ আলী, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এএভেহি) মো. নুরচল ইসলাম (মন্টু), ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (পেইন্টার) মো. মনিরচল ইসলাম, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার এএ(এসি) মো. কায়কোবাদ ইসলাম, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এএগান) মো. রমিজ উদ্দিন, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার(ডিডবি­উ) মো. মিজানুর রহমান, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (শিক্ষা জেসিও) মো. আনছার আলী, এইসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (স্টেনো) মো. সাঁছি মিয়া, এসিসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (স্টেনো) মো. গোলাম মোস্তফা, এসিসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডিএ) এস এম জিয়াউর রহমান, এএমসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (আইসিএ) এস এম রফিকুল ইসলাম, এএমসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (মেডি:এ্যাসি) মো. সফিকুল ইসলাম,এএমসি ।

এদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাস্টার চিফ পেটি অফিসার (এমসিপিও) পদমর্যাদার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার থেকে অনারারি সাব লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন প্রাপ্তরা হলেন- মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান, এমসিপিও (এক্স)(পিটি-১); মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, এমসিপিও (ই); এস এম ইকবাল হোসেন, এমসিপিও (এক্স)(এসআর-১); মোহাম্মদ দাউদ হোসেন, এমসিপিও (এক্স)(জিআই); মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব খলিফা, এমসিপিও (ও/ই),এনপিপি; মোঃ আবুল কালাম আজাদ, এমসিপিও (এস/ডবি­উ); মোঃ আবুল কালাম আজাদ, এমসিপিও (এক্স)(পিআরআই); মোহাম্মদ ফজলুল করিম মজুমদার, এমসিপিও (এক্স)(কিউআরপি-১); মোহাম্মদ আবদুল মালেক, এমসিপিও (রেগ); মোহাম্মদ রেজাউল করিম, এমসিপিও (আর); কবির আলম খান, এমসিপিও (এক্স)(জিএ-১); মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, এমসিপিও (এস); মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সিকদার, এমসিপিও (এক্স)(জিএ-১),এনপিপি; মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান দেওয়ান, এমসিপিও (এল); নুর সালাম মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম, এমসিপিও (আর), এনইউপি; এস এম সাজ্জাদুল আলম, এমসিপিও (এক্স)(এফসি-১); মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, এমসিপিও (কম); মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম আকন্দ, এমসিপিও (এল); মোহাম্মদ আক্তারেজ্জামান, এমসিপিও (এক্স)(সিডি-১);মোহাম্মদ রেজাউল করিম, এমসিপিও (এক্স)(কিউএ-১)।

   

গরমে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। অসহনীয় এই গরম থেকে বাঁচতে সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন চার্জার ফ্যান কিংবা এসি। যে কারণে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানে বাড়ছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা। সাধারণ সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফ্যানের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যানের দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর নবাবপুরের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর পাইকারি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার মার্কেটটির সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও দেশের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে চার্জার ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু দোকান খোলা রয়েছে। এখানকার দোকানিদের দাবি, ফ্যানের চাহিদা বাড়লেও দেশে অন্যান্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি ফ্যানের দাম।

সিলিং ফ্যানের দাম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে দোকানিরা বলেন, নন-ব্যান্ড সিলিং ফ্যানের দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু এবং ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যানের দাম শুরু ২৮০০ টাকা থেকে। বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্যান্ড ফ্যান আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা এবং তার বেশি দরে। 


তবে দেশজুড়ে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদার সাথে বেড়েছে দামও। ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম রাখা হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নবাবপুরে মামুন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মীর মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমান বাজারে ফ্যানের চাহিদা থাকলেও দেশের বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র চার্জার ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে।

একই মার্কেটের হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান বলেন, গরমে চাহিদা বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। তবে ঈদ আর বৈশাখের লম্বা ছুটির কারণে দেশে যে চার্জার ফ্যানগুলো অ্যাসেম্বল করা হতো সেগুলো পর্যাপ্ত করতে না পারায় চার্জার ফ্যানের দাম কিছুটা বেড়েছে।

একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন এসেছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে গরম পড়ছে, যদি ট্যাকা থাকতো তাইলে একটা এয়ার কন্ডিশনই কিনতাম। কিন্তু চার্জার ফ্যানেরই যে বাজেট নিয়া আইসি অইটা দিয়াও হইবো না। বউরে ফোন দিয়া কইলাম আরও ৫০০ ট্যাকা মোবাইলে পাঠাইতে।


চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন এমন আরও একজন মহিমা হালদার। ১১ মাসের একটি পুত্রসন্তানের মা তিনি। গরমে বিরক্তি নিয়ে বলেন, এমন গরমে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালাইয়াও আমরা বড়রাই গরম সহ্য করতে পারতাছি না। আর ১১ মাসের ছোট্ট বাচ্চায় ক্যামনে সহ্য করব। অন্য খরচ বাদ দিয়াই একটা ফ্যান কিনতে আসা।

এদিকে চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসিরও। বেড়েছে দামও। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিক্সের কয়েকটি শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ওয়ালটনের এক টনের এসি ৬৫ হাজার ও দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়। কিছুটা কমে যমুনার এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টারসহ ৪৯ হাজার ও ইনভার্টার ছাড়া ৪২ হাজার টাকায়। আর দেড় টনের এসি ইনভার্টারসহ ৬৭ হাজার এবং ইনভার্টার ছাড়া ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওয়ালটন এবং যমুনার বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্রির সময় পণ্যের মূল দাম থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে দেশের তাপমাত্রা অসহ্য অবস্থায় পৌঁছানোয় কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 

;

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার বাতাসে নেই স্বস্তির খবর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশম অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। গতকাল শুক্রবারও ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল।

এদিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৮ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া ১৭৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, এরপর নেপালের কাঠমান্ডু ১৬২ স্কোর নিয়ে আছে চতুর্থ স্থানে। ১৫৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

 

;

শসার দাম কমে যাওয়ায় হতাশায় মানিকগঞ্জের কৃষকেরা



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমিগুলো এখন সবুজ সমারোহে ভরপুর। ধানের পাশাপাশি সবজি চাষাবাদে এখন ব্যস্ত কৃষক। জমিতে বপন করা প্রতিটি শসা গাছের ডগায় ডগায় ঝুলছে ছোট বড় শসা। ২/১ দিন পর পর জমি থেকে শসা সংগ্রহ করছে সবজি চাষিরা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। জমিতে বপন করা শসা গাছের যত্ন নিতে ভর দুপুরেও শসা ক্ষেতে ব্যস্ত কৃষকেরা। জমিতে বপন করা গাছের ফলন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিতভাবে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। এর পাশাপাশি কীটনাশকসহ ভিটামিন প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।


আশানুরূপ ফলনের পরও বাজারদর নিয়ে হতাশায় জেলার সবজি চাষিরা। কয়েকদিন আগেও প্রায় ১০০ টাকার কাছাকাছি ছিল প্রতি কেজি শসার দাম। তবে সপ্তাহ দু’য়েক সময় গড়ানোর আগেই শসার দাম নেমে এসেছে ৫০ টাকার নিচে। দ্রুত গতিতে শসার দাম কমে যাওয়ায় হতাশায় মানিকগঞ্জের সবজি চাষিরা।

রাজধানীর সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অনুকূল আবহাওয়া আর বাম্পার ফলনের কারণে দিনকে দিন মানিকগঞ্জে বেড়ে চলেছে শসাসহ নানা প্রকারের সবজির চাষাবাদ। তবে সার, কীটনাশক, বীজসহ শ্রমিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবজির দাম বাড়েনি বলে অভিযোগ সবজি চাষিদের।

মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলাতেই কম-বেশি আবাদ হয় সবজির। তবে জেলার সাটুরিয়া, সিংগাইর এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলাতে সবজি, বিশেষ করে শসার আবাদ হয়েছে বেশি এলাকায়। প্রথম দিকে শসার দাম বেশি হলেও আগামীর দিনগুলোতে শসার দর-দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষকেরা।


মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সাহেবপাড়া এলাকার সবজি চাষি মো. নয়া মিয়া বলেন, এক বিঘা জমিতে শসা আবাদের জন্য জমি তৈরি, বীজ বপন, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকসহ অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।

কয়েকদিন আগেও প্রতি কেজি শসা পাইকারি হিসেবে ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন প্রতি কেজি শসা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। বাজারদর এই গতিতে কমতে থাকলে শসা চাষে নিশ্চিত লোকসান গুনতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আনোয়ার হোসেন নামের আরেক শসা চাষি বলেন, যারা আগাম শসার আবাদ করেছে তারা দামে শসা বিক্রি করতে পেরেছিল। এখনকার বাজারদর যা আছে তাতে কোনোরকমে চালানো যাবে। কিন্তু দরপতন আরও হলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি।

মোস্তফা হোসেন নামের এক বৃদ্ধ সবজি চাষি বলেন, বাজারে গেলে সবজির দাম হাতের নাগালের বাইরে মনে হয়। কিন্তু এই সবজি চাষাবাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আর শ্রমিকের বাজারদর যে হারে বেড়েছে সেই তুলনায় সবজির দাম অনেক কম বলে মন্তব্য করেন তিনি।


মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী রবিউল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জ জেলায় মোট ১১৯১ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। সবজির আবাদ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সবজি আবাদের পরিমাণ আরও বাড়বে।

আলাদাভাবে শসা আবাদের জমির পরিমাণের তথ্য এখনো সংগ্রহ করা হয়নি। তবে জেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। শসাসহ বিভিন্ন সবজি চাষে নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে সহায়তার জন্য কৃষি বিভাগের লোকজন কাজ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

;