আলোর মানুষ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ভালো নেই



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, ছবি: বার্তা২৪

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানি শোষণের বিরুদ্ধে তরুণদের দূর্বার আন্দোলন ও সংগ্রাম চিরস্মরণীয়। ১৯৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তারুণ্যের সাহসী অংশগ্রহণ পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর শোষণের অবসান ঘটিয়েছে। আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকায় স্বাধীন বাংলাদেশের ঠিকানা। পাকিস্তানিদের কাছ থেকে মুক্তির স্বাদ ছিনিয়ে আনতে যারা পিতা-মাতা, ঘর-বাড়ির মায়াকে ছিন্ন করে গিয়েছিল রণাঙ্গণে তাদেরই একজন রংপুরের আব্দুর রাজ্জাক।

একাত্তরে আব্দুর রাজ্জাকের বয়স তখন ১৯ বছর। বাড়ির বড় ছেলে হয়েও পরিবার-পরিজন আর সংসারের চেয়ে দেশটাই যেন অনেক বড় কিছু ছিল তার কাছে। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর প্রতিনিয়ত জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা, মা-বোনের সম্ভ্রমহানির খবরে অস্থির হয়ে উঠেন আব্দুর রাজ্জাক।

দিনমজুর বাবা আব্দুর রহিমের কাছে অনুমতি নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে চলে যান। জলপাইগুড়ির মুজিব ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেন কর্নেল আবদুল বাশারের নেতৃত্বাধীন ৬ নম্বর সেক্টরে। পঞ্চগড়ের চিলাহাটি, দেবীগঞ্জ, নীলফামারীর ডোমার-ডিমলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন।

কখনও একবেলা ভাত জুটলেও অনেক সময় না খেয়ে অথবা এক টুকরো রুটি খেয়েই দিন পার করতে হয়েছে। পাকহানাদারদের আস্তানায় হানা দিতে পথ হেঁটেছেন মাইলের পর মাইল। পেটের ক্ষুধার চেয়ে যেন বড় ক্ষুধা ছিল একটি স্বাধীন বাংলাদেশের, একটি স্বাধীন পতাকার ক্ষুধা। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীরেও যেন স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন দেশ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভারতের জলপাইগুড়িতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মোজাফ্ফর হোসেন, অপিল উদ্দিন, গোলামসহ আমরা বেশ কয়েকজন সহযোদ্ধা রাতের আঁধারে নীলফামারীতে চলে আসি। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে পাকিস্তানি সেনাদের দখলে থাকা নীলফামারী, চিলাহাটি, ডিমলা, ডোমার, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় আক্রমণ চালাই।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দিনাজপুরের চিলাহাটি মুক্ত করতে গিয়ে আমাদের একটানা ১৫ ঘণ্টা খালি পেটে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করতে হয়েছিল। আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত পাকিস্তানিরা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বৃষ্টির মতো গুলি ও শেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ওই সময় পাকিস্তানি সেনাদের নিক্ষেপ করা একটি গুলি আমার মাথার খুব কাছ দিয়ে চলে যায়। একটি বোমার শেলও আমার পাশে বিস্ফোরিত হয়। আমি ঝাঁপ দিয়ে একটি গর্তে গিয়ে পড়ি। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলি ও গ্রেনেডে আমার বন্ধু মোবারক হোসেনসহ তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অনেকে আহত হন। ওই সময় আমাদের মনোবল কিছুটা ভেঙে যায়। এক পর্যায়ে আমরা পিছিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় চলে আসি এবং পরে আবার আক্রমণ চালিয়ে এলাকাটিকে শত্রুমুক্ত করি।’

অপ্রতিরোধ্য গতিতে যুদ্ধ ও বিজয় অর্জনের পথে ডিসেম্বর মাসে নীলফামারীর সৈয়দপুরের কাছাকাছি এলে দেশ স্বাধীন হয়। এরপর আব্দুর রাজ্জাকসহ তার সহযোদ্ধারা নীলফামারীতে অস্ত্র জমা দেন।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/16/1544935912743.jpg
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রংপুরে জনসভা করতে আসেন। এ সময় রংপুর সার্কিট হাউসে স্বেচ্ছাসেবক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রাজ্জাককে তার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাজ্জাক বলেন, ‘আমার ব্যবহার ও আচরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আমাকে পুনর্বাসনের ঘোষণা দেন। পরে বিপথগামী সেনাবাহিনীর কয়েক সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শহীদ হলে আমার সে আশা ভেস্তে যায়।’

মুক্তিযুদ্ধ আর জীবনযুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে কাছে এভাবেই আবেগ-অনুভূতি তুলে ধরেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক।

এরপর জীবনযুদ্ধ শুরু হয় আব্দুর রাজ্জাকের। ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে তিনি রংপুর টাউন হল এলাকায় মঞ্চ সাজানোর কাজ বেছে নেন। বয়স হয়েছে, দৃষ্টিশক্তিও কমে এসেছে তার। তবু স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানকে নিয়ে জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার সংগ্রাম করে চলেছেন তিনি। তিনি জানান, দেশ স্বাধীনের পর ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ বেছে নেন। নাটকের লাইটিংয়ে বেশ সুমানের সাথে কাজ করতে থাকেন তিনি।

ইলেক্ট্রিশিয়ানের পাশাপাশি তার নৈশ্যপ্রহরী পদে তার চাকরি জোটে রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে। স্ত্রী, ৬ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে দিনের সময়টাতে রংপুর টাউন হলে নাটকসহ বিভিন্ন আয়োজনের আলোকসজ্জার কাজ আর রাতে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। দুর্ঘটনায় এক ছেলে ও একমাত্র মেয়েকে হারানোর পর টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে ক্যান্সারে আক্রান্ত আরও এক ছেলেকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেন।

মুক্তিযুদ্ধের এ বীরসেনা জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে একটা সময় হাঁপিয়ে উঠেন। বয়সের ভারে ক্লান্ত হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। বড় ছেলে আলমগীর এখন তার বাবার পেশাটাই আগলে ধরে দিনরাত কাজ করছেন। বাকি তিন ছেলের মধ্যে একজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং অন্যজন গঙ্গাচড়ার একটি ইউনিয়নের ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে কাজ করছেন।

বর্তমানে আব্দুর রাজ্জাক রংপুর মহানগরীর গোমস্তপাড়া সংলগ্ন শ্যামা-সুন্দরী খালের ওপর খাস জমিতে ছাপড়া ঘর তুলে কোনোরকমে রাতটা কাটিয়ে দেন। আর দিনের সময়টা কাটে চিরচেনা টাউন হল চত্বরে নতুবা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে। সেখানে কাগজ কলম হাতে নাট্যজনদের সাথে গল্প-আড্ডায় যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচার চেয়ে তার লেখা নাট্যাংশ পড়ে শোনান অন্যদের। আবার কখনো কখনো সুযোগ পেলেই ছুটে যান গঙ্গাচড়ার বড়বিল ইউনিয়নের পানাপুকুর গ্রামে। সেখানে স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একখন্ড জমিতে তার স্ত্রী, ছেলে ও অন্য স্বজনরা থাকেন।

তার ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বাবা আগে টাউন হলে লাইটিংয়ের কাজ করতেন। এখন বয়স হওয়ায় তা আর করতে পারেন না । ওই কাজ আমি করি। টাউন হল এলাকায় কোনো অনুষ্ঠান হলে আমি আলোকসজ্জার কাজ করে যে টাকা পাই তা দিয়েই আমাদের সংসার চলছে।’

   

বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতারের সঙ্গে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে- উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে- কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফরে এলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করেন।

;

চট্টগ্রামে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

গতকাল চট্টগ্রামের তাপমাত্রা: সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজকের সূর্যাস্ত ও আগামীকালের সূর্যোদ : আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ২৬ মিনিটে।

জোয়ার-ভাটা: কর্ণফুলী নদীতে প্রথম ভাটা শুরু হয় রাত ১২টা ৩০ মিনিটে এবং প্রথম জোয়ার শুরু হবে সকাল ৬টা ৫৬ মিনিটে। দ্বিতীয় ভাটা শুরু হবে বেলা ১২টা ৪৩ মিনিটে এবং দ্বিতীয় জোয়ার শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে।

;

পিরোজপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সোহাগ শেখ (৩৩) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।

নিহত সোহাগ পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামের সিদ্দিক শেখের পুত্র।

নিহতের ভাই সিপন শেখ জানান, সোহাগ শেখকে মাতুব্বর বাড়ির মসজিদের পাশে স্থানীয় শামসু ও এমামসহ কয়েকজন সোহাগকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এর আগেও তার ভাইকে কয়েকবার মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের লোকজন।

তিনি আরও জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে সোহাগ ও তার পরিবারের বিরোধ ছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পর শহিদুল নামে একজন খুন হন। তিনি মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছিল নিহত সোহাগ শেখকে। গত চার মাস আগে সোহাগ সেই মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়। সেই পূর্ব শত্রুতার কারণে পরিকল্পিতভাবে তার ভাই সোহাগ শেখকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তার।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান জানান,  প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



 

;

তীব্র তাপপ্রবাহে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে ফুটপাতের শরবত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের যে কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে মেহেরপুর জেলা অন্যতম। মেহেরপুরের প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের প্রতিদিনের রেকর্ড তা ই বলে দেয়। তীব্র তাপপ্রবাহে এ জেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। এতে গত কয়েকদিনে জেলায় দেখা যাচ্ছে যততত্রভাবে শরবতের দোকান। যেখানে ফুটপাতের শরবতে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দেখা যায়, গরমে প্রাণ জুড়াতে ঠাণ্ডা পানি আর শরবতের দিকে ঝুঁকছে মানুষ।  


মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর সঙ্গে রাস্তাঘাটে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরবতের দোকান। ঠাণ্ডা পানি আর লেবু শরবতের পাশাপাশি কদর বেড়েছে আখের রসের। এসব শরবতের দোকানে সাময়িক প্রশান্তি খুঁজে নিচ্ছেন পথচারীরা।

তীব্র গরমের মধ্যে ঠাণ্ডা পানির শরবত পানে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা নিয়েও তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ছুটছেন শরবতের দোকানে। তাই শরবতের চাহিদা আর কদর বেড়ে যাওয়ায প্রতিদিনিই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দোকান।

গরমে ঠাণ্ডা পানি ও শরবতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুল আল মারুফ বলেন, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে ঠাণ্ডা পানি, ফ্রিজের পানি, ঠাণ্ডা শরবত পান করার ফলে সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। রোদ থেকে ছায়ায় আসার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পানি পান করতে হবে।


তবে ঠাণ্ডা পানি নয় টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিলেন এই ডাক্তার।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোড়ে শরবতের দোকান দিয়েছেন।

এদিকে তীব্র গরম আর প্রচন্ড রোদের কবলে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে ভারী কাজ করছেন অনেকে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কাজকর্মে ভাটা পড়েছে তীব্র গরমের কবলে।

;