শিশুকে গলা কেটে হত্যা
রাজশাহীর পবায় এক মেয়ে শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে শিশুটিকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ঐ শিশুটির নাম হাসিনা খাতুন (১১)। সে গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়নের বাইপুর গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে। কয়েক দিন আগে তার নানীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল শিশুটি।
রাজশাহী মহানগরীর কর্ণাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম বাদশা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। নিহত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, শিশুটি এবার প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা শেষে নানার বাড়ি পবার বারইপাড়াতে বেড়াতে এসেছিল। তার নানার নাম আকবর আলী। তবে শনিবার রাতে শিশুটিকে বাড়িতে রেখে নানা আকবর আলী ও নানী পাশের বাড়িতে মাদারের গান শুনতে যান।
এই সুযোগে কে বা কারা আকবর আলীর বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। এরপর গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়।
শেষ রাতের দিকে নানা-নানী বাসায় ফিরে শিশুটির মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
ওসি সেলিম বাদশা বলেন, ‘নিহত শিশুটি হয়তো ধর্ষণকারীদের চিনে ফেলেছিল। এ কারণে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’