ফেঁসে গেলেন মামলার বাদী হাছিনা!



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, পাবনা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
পাবনা ম্যাপ, ছবি: সংগৃহীত

পাবনা ম্যাপ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবেশীকে ঘায়েল করতে ‘ছেলেকে অপহরণের’ মিথ্যা মামলা দায়ের করে নিজেই ফেঁসে গেলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার আটলংকা গ্রামের আতাউর রহমান ওরফে আক্তারের স্ত্রী হাছিনা খাতুন (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, আটলংকা গ্রামের হাছিনা খাতুন তার প্রতিবেশী মকবুল হোসেন, তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে সুজনকে ফাঁসাতে অপহরণ মামলা করেছিলেন। সেই মামলা পুলিশ ও সিআইডি কর্তৃক তিনবার তদন্ত করার পর আদালতে উদ্দেশ্যমুলক মামলা হিসেবে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

আর মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করার কারণে হাছিনা খাতুনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে হাছিনা খাতুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন আদালত। চাটমোহর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন সঙ্গী ফোর্সসহ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এরপর শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

যেভাবে ফেঁসে গেলেন হাছিনা: ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর রাতে ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ এনে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন চাটমোহর উপজেলার আটলংকা গ্রামের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী আতাউর রহমান ওরফে আক্তারের স্ত্রী হাছিনা খাতুন। মামলা নং ০২। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে তার ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া (১৩) কে বাড়ি থেকে অপহরণ করে অপহরণকারী চক্রের কাছে সোয়া দুই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। মামলায় আসামী করা হয় জয়দেব নামের অজ্ঞাতনামা একজন আটলংকা গ্রামের মৃত নুরু মৌলভীর ছেলে মকবুল হোসেন (৬১), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার (৫১) ও ছেলে সুজন হোসেন (৩১) কে। আর সাক্ষী করা হয় একই গ্রামের তিনজনকে।

মামলার প্রথমে তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই তৌরিদুল ইসলাম। তিনি তদন্তে মামলার বাদিনীর অভিযোগ সাক্ষ্য প্রমাণে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা নং-৪৩, ধারা ৩৪৩/৩৬৫/৩৮৫/৩৮৭ পেনাল কোড দাখিল করেন। এরপর বাদীনি হাছিনা খাতুনের নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

২০১৭ সালের ৫ মার্চ সিআইডির এসআই এএসএম আরিফুজ্জামান জিন্নাহর উপর তদন্তভার অর্পণ করা হয়। তিনি ১৫ মার্চ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুন:তদন্ত করে বাদীনি ও সাক্ষীদের ছাড়াও এলাকার নিরপেক্ষ মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তিনিও তদন্তে মামলায় করা অভিযোগের কোনও সত্যতা না পাওয়ায় অভিযুক্ত আসামীদের মামলা থেকে অব্যাহতি ও বাদীনির বিরুদ্ধে দ: বি: ২১১ ধারায় প্রসিকিউশনের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সাক্ষ্য স্মারকলিপি দাখিল করেন।

এরপর মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তন করে একই বছরের ১৯ জুন’১৭  সিআইডি জোন পাবনার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এএফএফ তারিক হোসেন খানের উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন কর্তৃপক্ষ। তিনি ঘটনাস্থল সরেজমিনে পুন:পরিদর্শন করে মামলাটির বিস্তারিত তদন্ত করেন ও মামলার রহস্য উদঘাটনে গুপ্তচর নিয়োগ করেন। বাদী ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

সর্বশেষ তার তদন্তেও বাদীনির অপহরণের অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তিনিও আসামীদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি এবং বাদীনির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আবেদন সহ চূড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা হিসেবে দাখিল করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সাক্ষ্য স্মারকলিপি দাখিল করেন। এরপর সেখান থেকে ১৭ ডিসেম্বর’১৭ আদেশপ্রাপ্ত হয়ে ২৬ ডিসেম্বর’১৭ তারিখে চাটমোহর থানার ‘চূড়ান্ত রিপোর্ট’ মিথ্যা নং ৪৬ বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ঘটনার পেছনের ঘটনা: তিনবারের তদন্তে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই মিথ্যা অপহরণ মামলার পেছনের ঘটনা উদঘাটন করতে সক্ষম হন। বেরিয়ে আসে এক নতুন কাহিনী। তদন্তে জানা যায়, বাদীনি ও বিবাদীদের বাড়ি একই এলাকায় এবং পাশাপাশি। বিবাদী শামসুন্নাহার (স্বামী মকবুল হোসেন) এনজিওতে চাকুরী করা অবস্থায় আটলংকা গ্রামে জমি কিনে বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছিলেন।

আর্থিক সংকটের কারণে এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে গিয়ে দেনাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। সেই ধারদেনা মেটানোর জন্য তিনি বাড়ি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই বাড়ি কেনার ইচ্ছা পোষণ করেন প্রতিবেশী প্রবাসী আতাউর ওরফে আক্তারের স্ত্রী হাছিনা খাতুন। এই বাড়ী কেনাবেচা নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

এরই এক পর্যায়ে মকবুল ও তার স্ত্রী-সন্তানকে এলাকা থেকে উৎখাতের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন হাছিনা খাতুন। সেই অকৌশলের অংশ হিসেবে তিনি তার ছেলেকে অপহরণের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। মকবুল ও তার পরিবারকে হয়রানী এবং অবৈধ লাভের আশায় হাছিনার ছেলে ভিকটিম জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া ৩১ অক্টোবর’২০১৬ তারিখ দুপুর ২টার দিকে নিজে নিজে আত্মগোপন করে এবং একই তারিখ রাত ৮টার দিকে নিজে নিজে উদ্ধার হয়ে তার মামার কাছে যায়।

পরবর্তীতে বাদীনি হাছিনা খাতুন ২ নভেম্বর’১৬ তারিখ রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাটমোহর থানায় চারজনকে আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে সাজানো অপহরণ মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় জেলে যেতে হলো হাছিনা খাতুনকে।

এ বিষয়ে বিবাদী মকবুল হোসেন ও তার ছেলে সুজন হোসেন জানান, মিথ্যা মামলা দায়ের করে হাছিনা খাতুন আমাদের মানসিক, পারিবারিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। সর্বোপরি আমাদের হয়রানী করেছেন। তার কারণে গ্রাম ছেড়ে চাটমোহরে গিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। সত্যের জয় সবসময়। তাই তার ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

   

শিক্ষকের মৃত্যুতে মানববন্ধন এলাকাবাসীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গাবতলীর আমিন বাজারের বাসিন্দা মেধাবী গণিত শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নিহত আমিনুল ইসলামের পরিবার শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আমিনুল ইসলামের কথা স্মরণ করে তারা জানায়, আমিনুল ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন শিক্ষক। সকলেই তাকে অনেক ভালোবাসতেন। ধর্মীয় অনুশাসন সবসময় মেনে চলতেন আমিনুল ইসলাম স্যার। এছাড়া ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই গত ২৬ মার্চ রাতে ছাত্রীকে পড়ানো শেষ করে বাসায় ফেরার পথে রাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে চলে যায়। তারপর হাসপাতালে নেয়ার আগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সাভার হাইওয়ে পুলিশ ধামরাই থেকে তাকে আটক করেন।

এলাকাবাসী বলছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির জন্যেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হলো তাকে। তাই গাবতলি থেকে আমিন বাজার সাভারে চলাচল করা সকল ধরনের গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত গতি ঠেকাতে হবে। চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং মহাসড়কে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজসহ সড়ক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান এলাকাবাসী।

সেই সাথে দ্রুত অভিযুক্ত চালককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক এবং সড়ক নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হোক।

;

ভরসার খালে নোনা পানি, নিরুপায় কৃষক



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেও সরষে ফুলে ভরে ছিল মাঠ। এরই মধ্যে ঘরে উঠেছে সূর্যমুখী এবং আলু। এখন তরমুজ চাষাবাদের ভরা মৌসুম। বাড়ছে রোদের প্রখরতা। মাটি হারাচ্ছে জোঁ। ফলে সকাল সন্ধ্যে দুর থেকে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হচ্ছে সেখানে। যদিও ওই জামির পাশেই খুলনার কয়রা উপজেলার তেরআউলিয়া খালে ঢেউ খেলছে নোনা পানি।

ওই খালের উপর ভরসা করেই এ এলাকার কয়েক‘শ একর জমি চাষাবাদ হয় দীর্ঘদিন ধরে। তবে বর্ষার শেষ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই খালে থাকে মিষ্টি পানি। তবে বর্তমানে ইজারাদার ওই খালে কৌশলে ঢুকিয়েছে নোনা পানি। ফলে নষ্ট হতে বসেছে কৃষকের পরিশ্রমে গড়া লালিত স্বপ্ন।

যদিও এসব খালে নোনাপানি ওঠানো নিষেধ। কিন্তু ইজারাগ্রহীতারা গোপনে স্লুইস গেটের কপাট খুলে নোনাপানি তোলে। ফলে ওই সব খালের পানির ভরসা করে যারা চাষাবাদ করে। তখন তাদের কপালের ভাঁজ বাড়তে শুরু করে। প্রতিবছর ওই এলাকার কৃষকেরা তেরআউলিয়া খালের উপর ভরসা করে বীজ বুনে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই ইজারাদারের কৌশলের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় কৃষকদের। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা দূর থেকে পাতা পাইপলাইন থেকে উচ্চমূল্যে পানি আনে। বেড়ে যায় চাষাবাদের খরচ। লাভের খাতা ছোট হয়ে তৈরি হয় লোকসানের খাতা।

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানাযায়, কয়রা উপজেলার ৩৯টি খাল নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই খালগুলোতে নোনা পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করলে এবং মিষ্টি পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ওই এলাকর ৭ হাজার ২ হেক্টর জমিতে বছরে ৩শ’ ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কয়রা উপজেলার চুন্ডিপুর গ্রামের এই তেরআউলিয়া খালের একপাশ দিয়ে চলে গেছে চলাচলের রাস্তা। আর অন্য পাশে সুবিশাল ক্ষেত। এই খালটি উপজেলার মসজিদকুড় গ্রাম থেকে শুরু হয়ে চন্ডিপুর, দশবাড়িয়া, কিনুকাঠী, খেপনা গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘোষখালী খাল হয়ে শিবসা নদীতে মিশেছে।

ওই গ্রামের কৃষক আফসার আলী গাজী জানান, আমাগে খেতের পাশেই খাল। খালে পানি ভরা। কিন্তু সে পানিতে চাষাবাদ হয় না। খেতের জন্য পানি আনতে হয় ৩ রশি দূরে সেচ পাম্প থেকে। অনেক খরচ। কিন্তু করবো। খালের পানি এতো নোনা যে, ওই পানি একটু গাছের গায়ে লাগলে কচি গাছ মরে যায়।

উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইসহাক আলী সরদার জানান, আমি আমার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমন চাষের পর সবজি আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জমির পাশে তেরআউলিয়া নামের এ খালে মিঠাপানি ছিল। বর্তমানে নোনাপানি উঠিয়ে মাছ চাষ করছেন খালের ইজারাদার। ফলে খালের আশপাশে প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষাবাদে পানির স্কংট দেখা দিয়েছে। শুধু এ খাল নয়, আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এমন শতাধিক বন্ধ খাল মাছচাষিদের কাছে প্রতি ৩ বছর পরপর ইজারা প্রশাসন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ এলাকার প্রায় সব বিলের মধ্যে ছোট-বড় খাল রয়েছে। এসব খাল বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানিতে টৈটম্বুর থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ খালের পানি সেচ কাজে লাগাতে পারলে চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু সেই সময় ইজারাদাররা গোপনে নোনাপানি তোলে।

চুন্ডিপুর গ্রামের ওই তেরআউলিয়া খালের ইজারাদার মো. মইনুদ্দিন মিস্ত্রি জানান, এই খালটি স্লইজ গেটের কাছে। অন্যদিকে ওই স্লুইজ গেটের পাটা বা গেটটি নষ্ট। সেজন্য কিছু নোনা পানি উঠেছে। কদিন আগে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে আর নোনা পানি উঠবে না।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ সমস্যায় জন্য অনেক কৃষক আমাদের কাছে আসে। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেই।

কয়রা উপজেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে খাল, জলাশয়, খাস জমি ইজারা দেয়া হয়। তবে সেখানে নোনাপানি তোলা যাবে না। যদি কেউ গোপনে নোনাপানি তুলে কৃষকের ক্ষতি করে, তাহলে ওই ইজারা বাতিল করা হবে।

;

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

আইজিপি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। আমি আশা করছি— আমাদের ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। সেই সঙ্গে যথাসময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি।

;

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;