দৃষ্টিহীনদের কৃতিত্ব
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও তাদের দমাতে পারেনি কোনো প্রতিকূলতা। জেএসসি পরীক্ষায় পাবনার মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ১৩ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে। শ্রুতি লেখকের সহায়তায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এ সকল পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অশগ্রহণ করে।
জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলকারী শিক্ষার্থীরা হল- কুমিল্লা জেলার নিমাই চন্দ্র দের ছেলে বাপ্পি চন্দ্র দে, রাজশাহী জেলার মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে রুবেল ইসলাম, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আবদুল্লাহ মিয়া, নাটোর জেলা থেকে সেলিম মৃধার ছেলে আমিরুল ইসলাম মৃধা, পাবনার সুজানগর উপজেলার আজাদ শেখের ছেলে লোকমান হোসেন শেখ, পাবনার দোগাছি ইউনিয়নের মো. চাঁদ আলী শেখের ছেলে আলামিন শেখ, কুমিল্লার রাসেল আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলার মাসুদ রানা, শরীয়তপুর জেলার শাহীন আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আনসার আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন, নওগাঁ জেলার আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. কাওসার ইসলাম, পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. আবদুস সবুর এবং বগুড়ার জাকির হোসেনের ছেলে হযরত আলী।
এদিকে পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন অন্ধ শিক্ষার্থীদের ফল আশাব্যঞ্জক দাবি করে বলেন, ‘এদেরকে সরকার সম্ভাব্য সহায়তা করবে। তাদের পাশে আছি।’
পাবনা মানবকল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন জানান, অন্ধদের লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজন ব্রেইল পদ্ধতি। অথচ দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সুযোগ নেই। এখন পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন শ্রুতি লেখকের। দরিদ্র এসব অন্ধের শ্রুতি লেখক সম্মানী তো দূরের কথা, লেখাপড়া করার ন্যূনতম আর্থিক ব্যয় নির্বাহ করার সক্ষমতা নেই। তারপরও থেমে থাকেনি এসব সংগ্রামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর শিক্ষা জীবন।
অধ্যাপক আবুল হোসেন জানান, এই দৃষ্টিহীন মেধাবীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা একার পক্ষে সম্ভব নয়, এ জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, পাবনার মানবকল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তায় স্থানীয় শহীদ এম মনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয় এবং চরবলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এসব পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।