চট্টগ্রামে কাঁচাবাজারে মিলছে সুস্বাদু আপেল কুল
আগাম পাকার কারণে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার ও ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকানে আসতে শুরু করেছে টাটকা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর আপেল কুল। দেখতে হলুদাভ ও লালচে হলুদাভ রঙের এই কুলের স্বাদ ও গন্ধ অনেকটা আপেলের মতো। তবে পর্যাপ্ত চাহিদার অভাব ও বাজার মূল্যের কারণে দামে রয়েছে ভিন্নতা।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) নগরীর রিয়াজউদ্দীন কাঁচাবাজারে আপেল কুল কেজিতে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, আন্দরকিল্লা মোড় এলাকার ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকানে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম চওড়া হওয়ায় ক্রেতারা দাম জিজ্ঞেস করলেও ক্রয় করছেন না।
নুরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বার্তা২৪কে বলেন, ‘দেখতে অনেক সুন্দর, টাটকাও। বিক্রেতারা দাম বেশি চাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তারপরও শীতের নতুল কুল হিসেবে বাচ্চাদের জন্য এক কেজি কিনলাম।’
দামের বিষয়ে রিয়াজউদ্দীন কাঁচাবাজারের ফল বিক্রেতা গাজী হাশেম বার্তা২৪কে বলেন, ‘দু-একদিন ধরে রাজশাহী থেকে এসব কুল বাজারে আসা শুরু হয়েছে। চাহিদা কম তাই দাম কিছুটা বেশি। কিছুদিন পর চাহিদা বাড়লে দাম হাতের নাগলে থাকবে।’
চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, বরিশাল, ময়মনসিংহে উৎকৃষ্ট মানের আপেল কুল চাষ হয়। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফল সংগ্রহ শুরু হয়। বিভিন্ন জাতের মধ্যে আপেল কুলের রঙ ও স্বাদে শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য, ভিটামিন এ ও সি সৃমদ্ধ।
আপেল কুল ছাড়াও রাজশাহী থেকে আসতে শুরু হয়েছে ‘চিনিগুড়া’ নামে আরেকটি কুল। এটিও দেখতে টাটকা, স্বসাদু। নগরীর অভিজাত কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি চিনিগুড়া কুল ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।