বিদ্যুৎ জ্বালানিতেই থাকছেন নসরুল হামিদ
ফের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু।
বিপুর হাত ধরে বাংলার ৯৪ শতাংশের ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে, তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কোনো ফাইল রেখে বাসায় ফেরেন না।
নসরুল হামিদ বিপুকে ফের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, এতে কাজের গতি আরও বেড়ে যাবে। নতুন কাউকে দায়িত্ব দিলে এসে বুঝে নিতেও কিছু সময় লাগতো। কিন্তু তাকে দায়িত্ব দেওয়ায় চলন্ত বিদ্যুৎ বিভাগ আরও গতি পাবে।
সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার ঘোষণা দিলেও, ২০১৯ সালের মধ্যেই সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। গ্রাম থেকে গ্রামান্তর, দুর্গম পাহাড় থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে যেমন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, তেমনি বিদ্যুতের উৎপাদনেও হয়েছে অনেক রেকর্ড।
নসরুল হামিদ ২০১৪ সালে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সভায় বলেছিলেন, ‘কথায় নয়, কাজ দিয়ে দেখাতে চাই। যারা ভালো কাজ করবেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে।’ আর শেষ সভায় বলেছিলেন, ‘আমরা সংকট মোকাবেলায় শর্ট, মিড ও লংটার্ম পরিকল্পনা নিয়েছি।’
‘শর্ট ও মির্ডটার্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শতভাগ সফল হয়েছি। লংটার্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এগুলো শেষ করতে পারলে আর কোনো সংকট থাকবে না।’
তিনি বলেছেন, ‘পায়রা, মাতারবাড়ি, মহেশখালী, রামপালসহ অনেকগুলো বড় বড় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে সরকার শীত মৌসুমে বিদ্যুৎ রফতানির চিন্তা করছে। এ জন্য নেপালের সঙ্গেও আলোচনা অনেকদূর এগিয়ে গেছে।’
ধারণা করা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়টি এবারও প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতেই রাখছেন। আর তার রানিংমেট হিসেবে রাখলেন পরীক্ষিত নসরুল হামিদ বিপুকে।