লাউয়াছড়ায় বেদখল ঠেকানো যাচ্ছে না



তোফায়েল পাপ্পু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মৌলভীবাজার, বার্তা২৪.কম
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া উদ্যান/ ছবি: বার্তা২৪.কম

মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া উদ্যান/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বেদখল হয়ে যাচ্ছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল লাউয়াছড়ার বনভূমি। দিন দিন বনের জমি দখল হয়ে পড়ায় আবার সংকটে পড়েছে বন্যপ্রাণী। প্রায়ই বন্যপ্রাণী বনের বাইরে বেরিয়ে আসার ঘটনা ঘটছে।

অনেক সময় মারাও যাচ্ছে এসব বণ্যপ্রাণী। সবর্শেষ বুধবার (২ জানুয়ারি) লাউয়াছড়ায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায় একটি মায়া হরিণ। এর আগেও লাউয়াছড়ায় বেশ কয়েকটি হরিণ ট্রেনে কাটা পড়ে। দিন দিন এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মৌলভীবাজার রেঞ্জের প্রায় দুই হাজার ৭৪০ হেক্টর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত ছিল পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের। বনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্যে এই বনের প্রায় এক হাজার ২৫০ হেক্টর এলাকাকে ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ, সংশোধন) আইন অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা দেওয়া হয়।

বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় জীববৈচিত্র্যময় বন গবেষণা কেন্দ্রসহ এই উদ্যানে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীর বিচরণ। লাউয়াছড়ায় ৪৬০ প্রজাতির জীববৈচিত্র্যের মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ছয় প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী এবং ১৭ প্রজাতির পোকামাকড় রয়েছে। নানা সমস্যা ও সংকটে ওখানকার প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যগুলো এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/06/1546792350513.gif

জাতীয় উদ্যান ঘোষণার পর বনের জমি বেদখল হওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। বনের জমি দখল করে ব্যক্তিমালিকানায় লেবু, আনারসসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে। ফলে বন্যপ্রাণির আবাসস্থল সংকট ও উদ্যানের পরিসর ক্রমাম্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ডরমিটরি টিলা সংলগ্ন পূর্ব এলাকায় প্রায় ১৫ একর ভূমি দখল করে গত চার বছর ধরে লেবু বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। ডরমিটরি এলাকার পশ্চিম পার্শ্বে হীড বাংলাদেশ অফিস সংলগ্ন জাতীয় উদ্যানের আরও একটি টিলার প্রায় ১৫ একর ভূমি দখলে নিয়ে লেবু বাগান গড়ে তোলা হয়েছে।

লেবু বাগান ঘেষা টিলা সমুহে গাছগাছালি ও লতাগুল্ম কেটে টিলা খসে নতুন করে বাণিজ্যিকভাবে আবাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব টিলায় দীর্ঘদিন ধরে টিনসেড ঘর করে লোকজন বসানো হয়েছে দখলকৃত টিলা দেখভালের জন্য।

স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এসব টিলাভূমি দখলে নিলেও বনভিবাগ বিভাগ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। ফলে উদ্যানে বসবাসরত বন্যাপ্রাণীর আবাসস্থল সংকোচিত হয়ে আসছে। জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, যারা এসব ভূমি দখল করছে তারা এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হয়ে আসছে। তারা বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে লেবু বাগান গড়ে তোলেছে। এদের কেউ কেউ ইতোপূর্বে জাতীয় উদ্যান সহব্যবস্থাপনা কমিটির সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় সহকারী বন সংরক্ষক মো.আনিসুর রহমান বলেন, ‘গত ৫ ডিসেম্বর ডরমিটরি এলাকা সংলগ্ন দখলকৃত এলাকা উচ্ছেদ করে আমাদের আওতায় নিয়ে আসছি। তবে হীড বাংলাদেশ সংলগ্ন অফিসের পার্শ্ববর্তী টিলা দখলে নিয়ে টিনসেড ঘরে লোকজনের বসবাস বিষয়ে জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

   

পিরোজপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সোহাগ শেখ (৩৩) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।

নিহত সোহাগ পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামের সিদ্দিক শেখের পুত্র।

নিহতের ভাই সিপন শেখ জানান, সোহাগ শেখকে মাতুব্বর বাড়ির মসজিদের পাশে স্থানীয় শামসু ও এমামসহ কয়েকজন সোহাগকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এর আগেও তার ভাইকে কয়েকবার মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের লোকজন।

তিনি আরও জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে সোহাগ ও তার পরিবারের বিরোধ ছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পর শহিদুল নামে একজন খুন হন। তিনি মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছিল নিহত সোহাগ শেখকে। গত চার মাস আগে সোহাগ সেই মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়। সেই পূর্ব শত্রুতার কারণে পরিকল্পিতভাবে তার ভাই সোহাগ শেখকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তার।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান জানান,  প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



 

;

তীব্র তাপপ্রবাহে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে ফুটপাতের শরবত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের যে কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে মেহেরপুর জেলা অন্যতম। মেহেরপুরের প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের প্রতিদিনের রেকর্ড তা ই বলে দেয়। তীব্র তাপপ্রবাহে এ জেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। এতে গত কয়েকদিনে জেলায় দেখা যাচ্ছে যততত্রভাবে শরবতের দোকান। যেখানে ফুটপাতের শরবতে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দেখা যায়, গরমে প্রাণ জুড়াতে ঠাণ্ডা পানি আর শরবতের দিকে ঝুঁকছে মানুষ।  


মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর সঙ্গে রাস্তাঘাটে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরবতের দোকান। ঠাণ্ডা পানি আর লেবু শরবতের পাশাপাশি কদর বেড়েছে আখের রসের। এসব শরবতের দোকানে সাময়িক প্রশান্তি খুঁজে নিচ্ছেন পথচারীরা।

তীব্র গরমের মধ্যে ঠাণ্ডা পানির শরবত পানে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা নিয়েও তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ছুটছেন শরবতের দোকানে। তাই শরবতের চাহিদা আর কদর বেড়ে যাওয়ায প্রতিদিনিই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দোকান।

গরমে ঠাণ্ডা পানি ও শরবতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুল আল মারুফ বলেন, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে ঠাণ্ডা পানি, ফ্রিজের পানি, ঠাণ্ডা শরবত পান করার ফলে সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। রোদ থেকে ছায়ায় আসার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পানি পান করতে হবে।


তবে ঠাণ্ডা পানি নয় টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিলেন এই ডাক্তার।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোড়ে শরবতের দোকান দিয়েছেন।

এদিকে তীব্র গরম আর প্রচন্ড রোদের কবলে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে ভারী কাজ করছেন অনেকে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কাজকর্মে ভাটা পড়েছে তীব্র গরমের কবলে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩০

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩০

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮১৬ পিস ইয়াবা, ২৯ কেজি ২৫ গ্রাম গাঁজা, ৩ গ্রাম হেরোইন ও ৮৪ বোতল বিদেশি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২১টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়। 

;

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে, সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।

একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম।


এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফরে এলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করেন।

;