সুবিচার নিশ্চিত করাই চ্যালেঞ্জ: আইনমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিজ দফতরে আইনমন্ত্রী মো. আনিসুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

নিজ দফতরে আইনমন্ত্রী মো. আনিসুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে সুবিচার নিশ্চিত করা। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা। তবে আমাদের কিছু কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো আমরা নির্ধারণ করে সমাধানের চেষ্টা করবো। আমরা গত সরকারের সময় অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম, সেগুলো আরও জোরদার এবং সুদৃঢ় করা হবে।

মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে আইনমন্ত্রী মো. আনিসুল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমি একটি কথা বলতে চাই, গতবার আমাদের মন্ত্রণালয়ের দু’টো বিভাগই আমাকে সহযোগিতা করেছে। যার ফলে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়েছে। গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে অসম্পাদিত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভব নয় তবে কঠিন। এটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হওয়ার কারণ আছে। আর সেটা হলো- ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় তাদের দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। দেশেও অনেককে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

আপনারা জানেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। এমনকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব বিমান বন্দরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মেজর ডালিমের স্ত্রীর লাশ রিসিভ করেছে- যোগ করেন আইনমন্ত্রী।

‘এরপর ২০০৮ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে পারিনি, তবে ব্যর্থ হয়েছি এটা ঠিক নয়। আমরা একটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ করেছি। তবে এ প্রক্রিয়া অনেক বেশি লং হবে।’

‘আর এসব খুনি কোথায় আছেন তাদের সনাক্ত করাও একটু কঠিন। তবে বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে কারা দায়ী তাদের সনাক্তে আমরা কমিশন গঠনের চেষ্টা করবো।’

আমি ধন্যবাদ জানাই ও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। তিনি আমাকে আবারও আইনমন্ত্রী বানিয়েছেন। আমার প্রায়োরিটি হবে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা। মানুষের সুবিচার কী হওয়া উচিত- সেটা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সংবিধানে উল্লেখ আছে। সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই মানুষের সুবিচারের ব্যবস্থা করা হবে, বলেন আইনমন্ত্রী।