মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য-ম্যুরালের নগরী রংপুর



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য-ম্যুরালের নগরী রংপুর। ছবি: বার্তা২৪.কম

মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য-ম্যুরালের নগরী রংপুর। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির উর্বর ভূমি রংপুর। রঙে রসে সমৃদ্ধ প্রাচীনতম এ জেলার রয়েছে দিগন্ত জোড়া সৌন্দর্য। প্রকৃতির রঙ আর ভাওয়াইয়ার সুর রয়েছে এই নগরীতে। ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গৌরবময় ইতিহাসের আলো ছড়ায় এ জেলা। এই আলোতে রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ আর সংগ্রাম ইতিহাসের কথা।

 

তীরধনুক আর লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণের অবিস্মরণীয় ইতিহাসের জন্ম দিয়েছিল স্বাধীনতাকামী রংপুরের মানুষরা। সেই সাহসী অগ্রজদের অনেকেই হয়তো বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের সে দিনের স্মৃতি আজও বেঁচে আছে। উজ্জ্বল হয়ে আছে সাহস, দৃঢ়তা আর আত্মত্যাগের অনবদ্য ইতিহাস।

একাত্তরে রংপুরবাসীর স্মৃতিবিজড়িত সংগ্রামের কথাগুলো শুধু বইয়ের পাতাতে নয়, তুলে ধরা হয়েছে ভাস্কর্য-ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনাতে। অসংখ্য শহীদের রক্তে ভেজা রংপুর মহানগরীতে ইতিহাস যেন বরাবরই জাগ্রত। একটু সময় নিয়ে পুরো নগরীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরলেই চোখে পড়বে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্কর্য আর ম্যুরাল।

রংপুরের প্রবেশদ্বার দমদমা পার হয়ে মডার্ন ব্রিজের কাছে এসে মাথা উঁচু করতেই নজর কাড়বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি। বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এ সন্তানের প্রতিকৃতিসহ গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ফুটে উঠেছে ‘অর্জন’ নামক ভাস্কর্যটিতে। মডার্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এ ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উচ্চারিত হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা। শিল্পীর শৈল্পিক ভাবনায় তুলে ধরা হয়েছে ২৫ মার্চের ভয়াল কালো রাতে পাকিস্তানি হায়েনাদের বর্বরতার চিত্র। রংপুরের মানুষের ২৮ মার্চের ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণে ব্যবহৃত তীরধনুক আর লাঠিসোঁটাও রয়েছে ভাস্কর্যের বুক জুড়ে। অর্জনে ফুটে উঠেছে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের সফলতম দিন ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় উল্লাস আর পরাজিত বাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবি।

সেখান থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পার হয়ে সোজা কারমাইকেল কলেজ রোডে এলেই গর্জন শুনতে না পেলেও দেখা মিলবে বাঘ মামার সঙ্গে। লালবাগ বাজার মোড়ে জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে দাঁড়িয়ে। রেলক্রসিং পার হয়ে সোজা যেতে যেতে ‘শাপলা চত্বরে’ দেখা যাবে প্রস্ফুটিত ও অপ্রস্ফুটিত শাপলা ফুলের। ‘একটি ফুলের জন্য’ শিরোনামে নির্মিত হয়েছে এই ভাস্কর্য। ভাসমান শাপলার চারপাশ অঙ্কিত হয়েছে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে লালন করে। সেখানে প্রায় সময়ই বিভিন্ন বসয়ী মানুষ নিজেকে ক্যামেরা বন্দী করেন জাতীয় ফুলের সঙ্গে।

শাপলা চত্বর থেকে নাক বরাবর যেতে যেতে জাহাজ কোম্পানি মোড়। এখান থেকে সোজা পায়রা চত্বর। এই চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা পাখা মেলে আকাশ পানে তাকিয়ে আছে। পায়রার নিচের অংশ জুড়ে আছে ভাষা শহীদদের প্রতিকৃতি, আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি আর একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের মুক্তি দিতে অসময়ে বিদায় নেয়া সন্তানদের মুখ। মুক্ত পায়রায় জড়িয়ে আছে লাল-সবুজের প্রিয় পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম দুই চরণ।

পায়রা চত্বর থেকে সুপার মার্কেট মোড় ও রংপুর সিটি করপোরেশন ভবন পার হলেই ঐতিহাসিক পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ। এই মাঠের প্রবেশদ্বারে তৈরি ভাস্কর্যের কারুকল্পে আছে ভাওয়াইয়ার সুর, গরুর গাড়ি আর মুক্তিযুদ্ধ-ভাষা আন্দোলন। সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’ ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে রয়েছে পাকিস্তানিদের টর্চার সেল ঐতিহাসিক রংপুর টাউন হল আর শহীদের রক্তমাখা বধ্যভূমি।

পাবলিক লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানের দিকে গেলে চোখে পড়বে রংপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলক। সেখান থেকে জিলা স্কুল মোড়ের দিকে এগোলে জাতির জনকের বিশাল ম্যুরাল। এই ম্যুরালে প্রতিদিনই ভালোবাসার ফুল পড়ে পিতার প্রতি সন্তানের শ্রদ্ধা থেকে। বিকেলের পর এখানকার আশপাশ মুখরিত থাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা অনুরাগীদের আড্ডায়।

জিলা স্কুল মোড় থেকে সোজা গেলেই ধাপ চেক পোস্ট। এখানে ক্যান্টনমেন্টের প্রবেশ তোরণের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ‘অংশুমান’। হাতে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা আর ঘাড়ে রাইফেল। এটি বিজয় বাংলাদেশের চিত্র। এ ভাস্কর্যটিতে ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৮ মার্চ রংপুরে ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণে শহীদ হওয়া সাওতাল অংশুমানের নাম।

এসব ভাস্কর্য ও মুর‌্যাল ছাড়াও রংপুর মহানগরীর নিসবেতগঞ্জ এলাকাতে রয়েছে তীরধনুকের আদলে তৈরি ‘রক্তগৌরব’। মুলাটোল পাকার মাথা মোড়ে রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতি। সাতমাথা মোড়ে রয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির চাদরে তুলে ধরা হয়েছে শহীদ সাত বীরশ্রেষ্ঠের প্রতিচ্ছবি।

স্বাধীনতাকামী রংপুরের মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে তৈরি এসব ভাস্কর্য ও মুর‌্যাল একদিকে নগরীর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরছে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস। এতে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এমনটাই দাবি সচেতন মহলের।

ইতিহাস চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে নগরীর ভাস্কর্য ও মুর‌্যালগুলো সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জ। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা। নতুন প্রজন্মের মাঝে এ অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিজড়িত এসব ভাস্কর্য ও মুর‌্যালের ভূমিকা অনেক বেশি।’ এ সময় তিনি রংপুরে আরও বেশি করে ভাস্কর্য মুর‌্যাল তৈরি এবং সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

   

যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত

যশোরে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হেলপার নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চৌগাছায় চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে শামীম হোসেন (২৭) নামে বাসের এক হেলপার নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চৌগাছা-যশোর সড়কের চৌগাছা সরকারি কলেজে পাশে ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুঘর্টনা ঘটে।

নিহত শামীম হোসেন উপজেলার সুখপুকরিয়া ইউনিয়নের আড়সিংড়ী সুখপুকুরিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী অন্য একটি বাসের চালক রানা এবং একটি বাসের সুপারভাইজার লাভলু বলেন, শামীম যশোর-চৌগাছার লোকাল বাস ইউএ ট্রাভেলসের একটি বাসে (যশোর-ব-১১-০২০৫) চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চৌগাছা মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যশোরে যাওয়া এএ আফ্রিদি নামের একটি বাসে (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-জ ০৪-৭১৬) করে চৌগাছা ফিলিং স্টেশনে যাচ্ছিলো। ফিলিং স্টেশনে পৌঁছে বাসটির সামনের গেইট দিয়ে নামতে গিয়ে পা-পিছলে পড়ে গেলে একই বাসের পিছনের চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই চৌগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি হেফাজতে নেয়।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক লুৎফুন্নেছা লতা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কানুটিয়া ও চরপাড়া গ্রামে পৃথক বজ্রপাতে দুই জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন একই উপজেলার কানুটিয়া গ্রামের জামান মির্জার ছেলে তন্ময় মির্জা (২২) ও চরপাড়া গ্রামের আকুল শেখের ছেলে উমেদ আলী (২০)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সাথে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনায় এ দুইজন নিহত হয়।

মাগুরা মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহানুল ইসলাম জানান, বিকালে জমিতে কৃষি কাজ করার সময় আকস্মিকভাবে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত শুরু হয় এ সময় বজ্রপাতে তন্ময় ও উমেদ আলী আহত হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পদের বিভাজন রোধে সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে, ডুপ্লিকেশন এবং ওভারল্যাপিং কমানো প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অসংখ্য চ্যালেঞ্জ এবং অস্তিত্বের হুমকির সঙ্গে, আর্থিক এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সম্পদের সুরক্ষা অপরিহার্য।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস ২০২৩ : বিল্ডিং ব্যাক এ গ্রিনার বাংলাদেশ বিল্ডিং ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যই সর্বাগ্রে এবং সরকার বায়ু ও পানির গুণমান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জলবায়ু কর্মের জন্য অগ্রাধিকারমূলক হস্তক্ষেপগুলি ক্রমানুসারে করা হচ্ছে, এবং সরকার সক্রিয়ভাবে একটি সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।

তিনি বলেন, উদীয়মান চাহিদা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় নীতির সমন্বয় করা হবে। মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী টেকসই অনুশীলনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

;

নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে বিএনপি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে বিএনপি: নাছিম

নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে বিএনপি: নাছিম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম যাতে আরও বেড়ে যায়, সেজন্যই ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিরোধিতার নামে দেশের মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে বিএনপি। তারই নতুন সংস্কার ভারত বিরোধিতা। নিত্যপণ্যের দাম যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সেজন্যই তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কখনোই দেশের মানুষের ভালো চায় না। মানুষ শান্তিতে থাকুক- তারা এটা চায় না। জন্মলগ্ন থেকেই তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড করছে, মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজ করছে আর ভারত বিরোধিতা তাদের তেমনই কর্মসূচি।

;