পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে গতি বাড়াতে চান এমএ মান্নান



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, সিলেট, বার্তা ২৪.কম
সাংবাদিকদের সঙ্গে চা চক্র অনুষ্ঠানে

সাংবাদিকদের সঙ্গে চা চক্র অনুষ্ঠানে

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে নতুন কোনো সিস্টেম চালু করতে পারবে না। তবে সিস্টেমে একটু গতি আনতে চান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আর সামান্য গতি বৃদ্ধি করতে পারলেই সফল বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে চা চক্র অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

দুর্নীতিকে একটি জরাব্যাধি উল্লেখ করে মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এটা দীর্ঘকালীন আমাদের সংস্কৃতিতে ঢুকেছে। দুর্নীতিকে নানাভাবে মোকাবেলর চেষ্টা করছে সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বের চার থেকে পাঁচবার একটানা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার তুলনায় পশ্চিমাদের বানানো টেবিলে ইদানিং আমাদের মান আগের চেয়ে বেড়েছে।’

তার মন্ত্রণালয়ে কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে ‘সামারি ট্রায়াল’ নয় আইনিভাবে তা মোকাবেলা করবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

   

সংবাদ প্রকাশের জেরে শার্শায় সাংবাদিকের ওপর হামলা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ প্রকাশের জেরে যশোরের শার্শার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম।

আহত সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম ও তার ভাই কবির হোসেনকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ইকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের সামনে এই হামলা চালায় সন্ত্রাসী আরিকুল। তিনি শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সাবেক সম্পাদক।

আহত ইকরামুল ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক প্রজন্ম একাত্তরের শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি।

হামলার শিকার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের অবস্থান করছিলেন তিনি। এমন সময় হঠাৎ করে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সে তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে আহত করে।

এসময় ইকরামুলের ভাই ছুটে এলে তাকেও মারধর করে জখম করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারী আরিকুল।

হামলাকারী আরিকুল শার্শার চটকাপোতা গ্রামের শফিউর রহমানের ছেলে আরিকুল ইসলাম পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। মাদক ও অস্ত্রসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়ের আড়ালে আরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছে।

তাকে একাধিকবার আটক হওয়া নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদও প্রকাশিত হয়। এতে তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলে মাদক ব্যবসায়ী আরিকুল ইসলাম।

এদিকে, সর্বশেষ গত ২১ মার্চ রাতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আকিকুল ইসলামকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিনসহ আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। এর আগেও সংবাদ প্রকাশের জেরে ইকরামুলকে কয়েকবার মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল আকিকুল। এ ঘটনায় শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান ইকরামুল।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক আহতের ঘটনায় মামলা নিয়েছি এবং অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য শার্শা থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন, শার্শা উপজেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা জামাল হোসেন, ইনামুল হক, আজিজুর রহমান। সভাপতি আজিজুল হক, সহসভাপতি আনিসুর রহমান,আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, সাংগঠনিক আরিফুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, প্রচার সম্পাদক রাসেল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাজানেওয়াজ স্বপন, কার্যকারী সদস্য শাহিদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

;

হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত নেতানিয়াহু: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সারা বিশ্বই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিলো ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে। আজকে গাজায় গণহত্যার যে নায়ক একই রূপে আবির্ভুত হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এই নেতানিয়াহু জাতিসংঘ কে মানে না, হোয়াইট হাউজকে তোয়াক্কা করে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট এর কথা শুনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে। ১৪ হাজার শিশুকে গাজায় তারা ইতিমধ্যে হত্যা করে ফেলছে।  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইরানের ইসরায়েল আক্রমণের পর পৃথিবীর ইনফ্লুএনশাল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলো। কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরান আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মনে হয় বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন। যাকে ইচ্ছা তাকে মারেনও, ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। বাউন্ডারি সাইডে সেনাবাহিনী মারেন। তাদের দুর্দমনীয় শক্তি এর অনুপ্রেরণা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এটা পৃথিবীর ভয়ংকর চিত্র। তার দাপট মনে হয় হিটলারকেও ছাড়িয়ে যাবে। 

উপজেলা পরিষদের প্রথম দফার নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৮ মে প্রথম দফার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধীতা করলেও আমাদের জানামতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: নওগাঁয় ৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৫ মনোনয়ন জমা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে নওগাঁর চারটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শেষদিন পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করেছেন ২৫ জন প্রার্থী।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বদলগাছী, মহাদেবপুর, ধামইরহাট, পত্নীতলা উপজেলার প্রার্থীরা এসব মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মো. তারিফুজ্জামান।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাদেবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শহীদুল ইসলাম, ময়নূল ইসলাম, আহসান হাবিব, আনোয়ার হোসেন, মাসুদুর রহমান, আয়েসা বেগম, সাজ্জাদ হোসেন এবং ওবাইদুল্লাহ হক বাচ্চু।

বদলগাছী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শামসুল আলম, ইমামুল আল হাসান, আবু খালেদ বুলু, বাবর আলী, হিরক তালুকদার, শহীদুল ইসলাম, মিঠু মন্ডল, জবির উদ্দিন, এসএম সাইদুর রহমান।

এছাড়া ধামইরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- ওসমান আলী, শহীদুল ইসলাম, আবু নাসের মো. আফজাল হোসেন, আজহার আলী, আয়েন উদ্দিন ও মো. আতাউর রহমান।

আর পত্নীতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আ.লীগ নেতা মো. খালেক চৌধুরি ও আব্দুল গাফ্ফার। দুজনই আ.লীগের শক্তিশালী নেতা বলে জানা গেছে। খালেক চোধুরি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও আব্দুল গাফ্ফার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে থেকেই প্রার্থীরা সরব ছিলেন মাঠে। অনেকে ফেসবুক, পাড়া-মহল্লায় ও নানা মাধ্যমে প্রার্থিতার জানান দিয়েছেন আগেভাগেই। প্রার্থীদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতা, কর্মী বা সর্মথক।

;

মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর সরকার দিবস’ পালনের প্রস্তুতি সম্পন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা প্রবাহের সাথে যে দিনটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে তা হল মুজিবনগর সরকার বা প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্বে ছিল এই সরকার। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের ঐতিহাসিক বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগরের আমবাগানে এ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল। এর মাধ্যমেই পাল্টে গিয়েছিল যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি। সেই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। 

মুজিবনগরকে বলা হয় স্বাধীনতার সূর্যোদয় ভূমি। যে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়েছিল সাত কোটি বাঙালির হৃদয়ে। তাই মুজিবনগর আর স্বাধীনতা এক সুতোয় গাঁথা রয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানালেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সরেজমিন মুজিবনগর কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে যেখানে একাত্তরে প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলেন সেখানে শেখ হাসিনা মঞ্চে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এ মঞ্চে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিবেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। দর্শনার্থীদের কাছে মুজিবনগরকে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত স্থাপনাগুলো ধুয়ে মুছে করা হচ্ছে পরিস্কার। প্রবেশ পথগুলোতে রংয়ের আঁচড় দিয়ে ফুটিয়ে তোলার কাজও শেষ পর্যায়ে। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, আমবাগান এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স পেয়েছে এক নতুন রুপ। 

মূলত জেলা প্রশাসন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিবসটি ঘিরে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে থাকছে- সকাল ৯ টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন। জাকজমকপূর্ণ কুজকাওয়াজ। এতে অংশ নেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি, পুলিশ, আনছার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গালর্স গাইড এবং ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

সকাল ১০ টায় গীতিনাট্য সোনালি স্বপ্রের দেশ উপস্থাপন করবে আনছার ও ভিডিপি অর্কেস্ট্রা দল। একাত্তরের শপথের পর গার্ড অব অনার প্রদানকারী হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে আছে ১২ আনছার সদস্যা। স্বাধীনতা যুদ্ধে আনসার সদস্যদের আত্মত্যাগের স্মৃতি সমুন্নত রাখতে মুজিবনগর দিবসে আনসার-ভিডিপির এই কর্মসূচি থাকে প্রতিবছরই।

এদিকে সন্ধ্যা ৬ টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্রের সামনে আয়োজন করা হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। দেশ বরেণ্য ও প্রশিদ্ধ শিল্পিরা সঙ্গীত পরিবেশেন করবেন এ মঞ্চে। এছাড়াও আতশবাজি উৎসব আর রঙ্গিন আলোর ঝলকানি থাকছে সন্ধ্যার পর থেকে।

এদিকে সকাল দশটায় শেখ হাসিনা মঞ্চে আলোচনার সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন। সঞ্চালনায় থাকবেন আওয়ামেী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীআহম্মেদের কন্যা রিমিন হোসেন সিমি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজ্জামেল হকসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ আলোচনা সভায় অংশ নেবেন

আয়োজন সম্পর্কে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ইতিহাসের অত্যান্ত গৌরবময় ঘটনার দিন মুজিবনগর দিবস পালনে এবারও নানা আয়োজন করা হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর অনুষ্ঠান আয়োজনে ছেদ পড়লেও এবার বড় আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হবে মুজিবনগর সরকার। দিবসটির জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলার মানুষ। অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দিবসটি আয়োজনের সকল প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত জানিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, গরমে মানুষ যাতে কষ্ট না পান তার জন্য পানি পানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী টয়লেট, মেডিকেল টিমসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। জাতীয় এ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে অনুষ্ঠান ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে জেলা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, মেটাল ডিটেকটিভ দিয়ে তল্লাশি এবং আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা হয়েছে। পুরো এলাকাকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরের জেলা থেকেও আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স। এছাড়াও থাকছে র‌্যাবের কয়েকটি দলের টহল। 

স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বাঙালির বিজয়ের গৌরবগাঁথা বীরত্ব মিশে রয়েছে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল শপথের মধ্যে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও সমুন্নত হবে এমনটাই প্রত্যাশা মেহেরপুরবাসীর।

;