উপজেলা নির্বাচন ঘিরে সরগরম রংপুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে সরগরম রংপুর, ছবি: বার্তা২৪

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে সরগরম রংপুর, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ শেষ না হতেই শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া। উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুরের গ্রামীণ হাট-বাজার থেকে শহর-বন্দর পর্যন্ত চলছে নির্বাচনী আলাপচারিতা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখরিত জনপদ। বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। প্রায় ৮০ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর পদচারণায় সরগরম পুরো রংপুর জেলা।

যদিও আগামী মার্চে সারাদেশে কয়েক ধাপে উপজেলার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন এবং এ উদ্দেশ্যে চলতি মাসেই কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে, তথাপি ভোটের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে।

রংপুরের আট উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরাও দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিং করতে ছুটে যাচ্ছেন ঢাকায়। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন ও প্রতীক পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপরতা রয়েছে সম্ভাব্যদের। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে কোথাও কোথাও সাটিয়েছে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অনেকেই চালাচ্ছেন কৌশলী গণসংযোগ।

রংপুর সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে রংপুর সদর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা জামান ববি, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বকসী, চন্দনপাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান রন্টু, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফি কামাল, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ নবী মুন্না, সদর উপজেলা সভাপতি রুহুল আমিন লিটন ছাড়াও মমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা আক্তার কল্পনা, জাতীয় ওলামা পার্টির সভাপতি মাওলানা রমজান আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, বিএনপি থেকে গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান মাবু ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন। তবে জাতীয় পার্টি থেকে এখনো কারো নাম শোনা যায়নি।

বদরগঞ্জ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট, বিএনপি থেকে সাখাওয়াত হোসেন শাহান, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম, আওয়ামী মহিলা লীগের নেত্রী আফরোজা বেগম এবং তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন, কুমারেশ রায়, মাওলানা আশরাফ আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।

কাউনিয়া উপজেলা থেকে আওয়ামীলীগের উপজেলা সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপি থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মাহফুজার রহমান মিঠু, হারাগাছ পৌর বিএনপি সভাপতি মোনায়েম হোসেন ফারুক, কমিউনিষ্ট পাটির উপজেলা সভাপতি গোবিন্দ দাস, ভূমিহীন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এম হক আকরাম নির্বাচন করবেন বলে জানা যায়। এখানে জাতীয় পার্টি থেকে এখনো কারো নাম শোনা যায়নি।

এছাড়াও পীরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলন, আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, জাতীয় পার্টি থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মো: মাহবুবার রহমান নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছে।

মিঠাপুকুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান, জাতীয় পার্টি থেকে আব্দুল হালিম মন্ডল, বাবর আলী, মেজবাহুল ইসলাম মিলন, শিল্পপতি আখতার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও শাহ হাফিজুর রহমানসহ আরো কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে পীরগঞ্জ উপজেলায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছায়াদত হোসেন বকুল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সফিউর রহমান মন্ডল মিলন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোনায়েম সরকার মানু।

রংপুর সদরের হরিদেবপুর ইউনিয়নের ভোটার মোস্তাফিজ বলেন, ‘মানুষ চায় উন্নয়ন। যার মাধ্যমে উন্নযন হবে ভোট তাকেই দিবেন।’ অন্যদিকে কাউনিয়ার থানাপাড়া এলাকার তরুণ ভোটার রোকসানা আক্তার জানান, ‘মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত উপজেলা গড়তে যার ভূমিকা থাকবে এমন ব্যক্তিকেই আমরা নতুনরা ভোট দিতে চাই।’

গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মৌলভিপাড়া এলাকার ইকবাল সুমন বলেন, ‘এই উপজেলা নদী বেষ্টিত। নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে কাজ করবে এমন ব্যক্তিকে ভোট দিবেন।’

এদিকে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন যারা মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি রুখে, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে তাকেই প্রার্থী হিসাবে বেছে নিবেন তারা। 

 

 

   

ছেঁড়া ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, বাবা সংটাপন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেঁড়া ১০ টাকার নোট না নেয়ার দ্বন্দ্বে ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সাদেক মুন্সির (৬২) অবস্থা সংটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলে ইকবাল হোসেন ও বাবা সাদেক মুন্সি একই ইউনিয়নের দিগারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে ছেলে ইকবালকে নিয়ে মুদি দোকান করেন সাদেক মুন্সি। ঘটনার দিন রাতে সিগারেট কিনতে আসেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি দশ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যায় ফারুক। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তারা কিছুক্ষণ বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পারভেজ সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই এলোপাথারি আঘাত শুরু করে ইকবালকে। ওই সময় বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইকবাল। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাদেক মুন্সির অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক ও পারভেজকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

;

সাভারের যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পাইপলাইনের জরুরি মেরামতকাজের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টা সাভারের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা সাভারের টংগাবাড়ী, আশুলিয়া, খেজুরবাগান, গৌরীপুর, খাগান, কুমকুমারি ও আক্রান এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

;

নীলফামারীতে সার্কাসে রাত হলেই শুরু হয় অশ্লীলতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ার ডাঙ্গায় সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনীর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। খোলামেলা পোশাকে এসব নাচ গানের আসরে পঙ্গপালের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও নেয়নি কোন ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টায় দি রওশন গ্রেট সার্কাসে গিয়ে দেখা যায়, সার্কাসের প্যান্ডেলের ভিতরে মেয়েদের দিয়ে খোলামেলা আপত্তিকর নাচগান প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব নাচগানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্কাসের শো পরিচালনা করার থাকলেও রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব অশ্লীল নৃত্য। এতে করে রাত যতই বাড়তে থাকে সার্কাসে শুরু হতে থাকে অশ্লিল নৃত্য ।এসময় কাউকে মোবাইলে ভিডিও না করার জন্য বারবার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবদেশ রায় বলেন, এখানে সার্কাস চলছে ভালো কথা। আমাদের বাড়ির লোকজন আসবে দেখবে কিন্তু রাত হলে অশ্লীলতা বাড়ে এলাকার সব ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এখানে চলে আসে। যুবসমাজ এভাবে নষ্টের দিকে যাচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এসে শুনি সার্কাসের কথা,সেখানে অশ্লীল কিছু হলে আমি প্রশাসনকে অবগত করব।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;

ময়মনসিংহে তিন দিনে ৪ জনের মৃত্যু, ধারণা হিটস্ট্রোক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে চার উপজেলায় তিন দিনে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহত চার জনই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার গফরগাঁও, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর উপজেলায় চার জনের মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও নিহতের পরিবার সুত্র জানায়, গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের আফাজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে ফজলুল হক ঢালী (৫৬) বাজার করে বাড়িতে ফিরে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা টয়লেটের টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন ফজলুল হক সেখানে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। পরে তার মায়ের ডাক-চিৎকারে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা ও উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ফজলুল হক ঢালির মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে, অতিরিক্ত গরমে এমনটা হতে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সুটিয়া বাজারের রমজান খলিফা (৫৫) নিজের দোকানে বসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তিনি শরীর খারাপ লাগছে বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় টের পেয়ে মাথায় পানি দিতে শুরু করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই রমজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে, হাসপাতালে নেয়া হয়নি বা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পাইস্কা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফুলপুর উপজেলায় কয়রা ইউনিয়নের ইমাতপুর গ্রামে শিল-পাটা কাটার কাজ করছিলেন রমজান আলী। হঠাৎ সেখানে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই রমজান আলী মারা যান।

নিহত রমজান আলী রমজান আলী তারাকান্দা উপজেলার ৩ নম্বর কাকনী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়াডের বগীরপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে।

তারাকান্দা বগীপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. তরিকুর রহমান খন্দকার রাশেদ বলেন, রমজান আলী গ্রামে গ্রামে ঘুরে মশলা ভাটার শিলপাটা কাটায় হস্থশিল্পী শ্রমিকের কাজ করত। প্রতিদিনের মত আজ সকালে সে বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে পাশ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলার ইমাতপুরে যায়। সেখানে কাজ করা অবস্থায় দুপুরে প্রচন্ড গরমে সে স্ট্রোক করে মারা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ‍্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ন কবীর বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই রমজান আলীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ধারনা করা যায় অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে বা অন্য কোন কারণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।

একই দিন সকালে জেলার ভালুকা উপজেলায় কামরুল ইসলাম (৩০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত কামরুল ইসলাম জেলার গৌরীপুর উপজেলার রায় শিমুল গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র ছেলে। সে ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকার পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন।

ভালুকা শিল্প পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, নিহত কামরুল ইসলাম ভালুকায় বসবাস করে পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন। ঘটনার দিন সকালে কামরুল অসুস্থ অবস্থায় তার ভাইকে নিয়ে গার্মেন্টস যান। গার্মেন্টসে গিয়ে কর্তব্যরত নার্সকে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে চলে আসেন। সেখান থেকে কামরুল ইসলাম প্রথমে চুরখাই কমিনিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, কামরুল আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন। সকালে মুলত তার ভাইকে নিয়ে ছুটি নিতে গার্মেন্টসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

;