ভ্রাম্যমাণ ‘জ্ঞানবাহন’ পৌঁছে যাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে
লোকাল বাসের জ্যামের ফাঁদে হারহামেশায় বিরক্তের সাথে প্রচুর সময় নষ্ট করতে হয় যাত্রীদের। এমন গন্তব্যের পথে যদি দেখা মিলে এলসিডি মনিটরে বড় পর্দায় শিক্ষামূলক প্রতিবেদন, ওয়াইফাই সুবিধা ও বিভিন্ন জ্ঞানমূলক বই অধ্যয়নের সুযোগ-সুবিধা।
এই বাহনে দূরত্ব ঘুছানোর সাথে পরিপাটি পরিবেশে স্বস্তির ছোঁয়ায় বিকশিত হবে জ্ঞানের পরিসীমা। শুনতে অবাক ঠেকলেও গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার এমন উদ্দেশ্য নিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ নগরীর অলি-গলিতে ঘুরে-ফেরার কথা জানাচ্ছে ‘জ্ঞানবাহন’।
মঙ্গলবার (২২জানুয়ারি) দুপুর ১টায় নগরীর জামালখান মোড় এলাকায় ড.খস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ভ্রাম্যমাণ যানবাহনের চিত্র চোখে পড়ে।
নামের সাথে মিল রেখে জ্ঞানবাহনের ওপর অংশে ফুলের টবে, তার পাশে সোলার প্যালেনের সহায়তায় ভেতরে চলছে এলসিডি মনিটর। রিমোটের সহায়তায় চলছে কৃষি, শিক্ষা, আইন, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সচিত্র প্রতিবেদন। জানার পরিধিকে সর্বত্রে ছড়িয়ে দিতে সেখানে ওয়াইফাই ব্যবস্থা। পরিষ্কার আর পরিপাটি বাসটিকে দেখতে ভিড় জমে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।
অনেকে এই বাসের উঠার নিয়ম-কানুন, কেউবা এমন নামের কারণ, কেউ বসে দেখছেন ভিডিও। সেই সাথে পড়ছেন বই।
মর্ডান ই-লার্নিংয়ের জনক ড. বদরুল এইচ খানের পরিকল্পনার সূত্র ধরে এমন পরিকল্পনা শুরু করে (ইভিই) নামের একটি ফাউন্ডেশন।
এ বিষয়ে ফাউন্ডেশনের পরিচালক (ম্যানেজমেন্ট ও অপারেশন) তারিন মহিউদ্দিন আজিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রথাগত শিক্ষার বাহিরে এসে তথ্য-প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রশাসের লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর চালক হবেন জ্ঞানের বাহক। তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্ঞানের সীমা ছড়িয়ে দিবেন। বাহনটি প্রান্তিক মানুষদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করবে।
এর পাশাপাশি বাসটিতে উভয় পাশে সোলার দিয়ে রান্নার প্রস্তুতি রয়েছে। এর কাছে অনেকে রান্না শিক্ষার বিষয়ে জানতে পারবেন।
গত বছরের ২৫নভেম্বর চট্টগ্রামের ফতেহপুর ইউনিয়নে জ্ঞানবাহনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
বাসটিতে দূরত্ব অনুযায়ী সাশ্রয়ী মূল্যে ভাড়া নেওয়া হবে। সপ্তাহের সাতদিন এই বহন কাজ করবে। এর মাঝে দু-একদিন মহিলাদের বিশেষভাবে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান কররে। প্রাথমিকভাবে জ্ঞানবাহনের একটি বাস চট্টগ্রাম নগরীতে কাজ করলেও কয়েকদিনের মধ্যে আরেকটি বাসের সহায়তায় চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জ্ঞান পৌঁছে দিবে।