কলামিস্ট ও সম্পাদক জব্বার হোসেনের জন্মদিন
কলামিস্ট ও সম্পাদক জব্বার হোসেনের জন্মদিন আগামী বুধবার (৩০ জানুয়ারি)। সাংবাদিকতার শুরু শাহাদত চৌধুরীর হাত ধরে, ‘সাপ্তাহিক ২০০০’-এর মাধ্যমে, সহকারী সম্পাদক হিসাবে। পরে ‘সাপ্তাহিক’-এ সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।
সম্পাদক হিসেবে পরিচিতি পান ‘সাপ্তাহিক কাগজ’-এর মাধ্যমে। বিসিডিজেসি কর্তৃক নাঈমুল ইসলাম খান প্রকাশিত মিডিয়া জার্নাল ‘মিডিয়াওয়াচ’-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথমে নটরডেম কলেজ, পরে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ শেষ করেন। ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। রচনা কৌশলের ওপর অর্জন করেন এমফিল ডিগ্রি।
মানববাদ, মানবাধিকার ও নারীবাদ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই। নারীবাদবিষয়ক একাধিক সেমিনার, বক্তৃতায় অংশ নিয়েছেন দেশ ও দেশের বাইরে। যৌনতা ও প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের নিয়েও তার গবেষণাপত্র রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
অনলাইন মিডিয়ায় জব্বার হোসেন পরিচিত নারীবাদী কলামিস্ট হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নারীবাদী সংস্থা ‘দ্য ফেমিনিস্ট’-এর সদস্য তিনি। তার নারীবাদবিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে ‘নারীর শক্র?’ উল্লেখযোগ্য, যার ভূমিকা লিখেছেন তসলিমা নাসরিন। বইটি একই সঙ্গে দুই বাংলা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
পার্ল পাবলিকেসন্স থেকে তার প্রকাশিত বই ‘নারীর শৃঙ্খল’ ও ‘নারী বিরোধী মিডিয়া’, যার ভূমিকা লিখেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। ‘অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক সাক্ষাৎকার’,‘একজন আদর্শ মানুষ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল’ তার আলোচিত সাক্ষাৎকার গ্রন্থ।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেসকো জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডে জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে কানাডিয়ান জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডেও জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ছিলেন তিনি। যুক্ত ছিলেন বন্ধু মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গেও।
বিশ্বাস করেন মুক্ত চিন্তায়। শুধু নিজের নয়, অন্যের মত প্রকাশের স্বাধীনতায়। অকপটে বলতে পারেন সমাজের না বলা, নিষিদ্ধসব গল্প। বর্তমানে কাজ করছেন সংবাদ মাধ্যম ‘আজ সারাবেলা’র সম্পাদক হিসেবে।
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জঙ্গিবাদবিরোধী ধারাবাহিক সেমিনার ‘জাগো তারুণ্য রুখো জঙ্গিবাদ’ প্রচার কার্যক্রমের সঙ্গেও সক্রিয়। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত থেকে পেয়েছেন পুরস্কার। দেশব্যাপী তরুণদের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলি’ শীর্ষক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন ‘নাগরিক টিভি’র সঙ্গেও।
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কার। এছাড়াও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছে।
জব্বার হোসেনের বাবা ফজলুল হোসেন গণপূর্ত বিভাগের একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।